নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নরসিংদী থেকে খোয়া যাওয়া একটি বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া যায় ঠাকুরগাঁওয়ে। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায়, চারজনের হাতবদল হয়ে মোবাইলটি ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে সচল হয়। এক এক করে সর্বশেষ ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতেই বেরিয়ে আসে নরসিংদীর একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।
গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নরসিংদীর নির্মল দেবনাথের স্ত্রী মনি দেবনাথ ছেলে–মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাবার বাড়ি যান। মিষ্টির দোকানের কাজ শেষে নির্মল দেবনাথ রাতে বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে স্ত্রী–সন্তানরা বাড়ি এসে দেখেন খাটের ওপর নির্মল দেবনাথের ক্ষতবিক্ষত লাশ। এরপর থেকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে নির্মলের ছেলে দুর্জয় দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআইয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মল দেবনাথের মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে জানা যায়, মোবাইলটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা এলাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ১ মার্চ দুপুরে ঠাকুরগাঁও থেকে লাইলী খাতুন নামে একজনকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়।
মোবাইলের বিষয়ে লাইলী জানান, মাধবদী এলাকায় চাকরি করার সময় সাকিল নামের একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সাকিল তাঁকে মোবাইলটি দিয়েছেন। পরে সাকিলকে নরসিংদী থেকে আটক করা হলে তিনি জানান, রবিন নামে একজনের কাছ থেকে ২৫০ টাকায় মোবাইলটি কিনেছেন। একপর্যায়ে রবিনকে আটক করলে তিনি জানান, মোবাইলটি তাঁর ফুপাতো ভাই মাসুম বিল্লা তাঁকে প্রায় তিন মাস আগে বিক্রির জন্য দেন।
পরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গত ৬ মার্চ মাধবদী থেকে মাসুম বিল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাসুম বিল্লা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মাসুদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে নির্মল দেবনাথের বাড়িতে চুরি করতে যান মাসুম। বাড়ির ছাদে উঠে দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকেন। ঘুমন্ত নির্মলের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেন। এ সময় ঘুম ভেঙে গেলে নির্মলের বটি নিয়ে চোরকে ধাওয়া করেন।
ধারালো বটি হাতে নিয়ে এগিয়ে এলে মাসুম বিল্লা তাঁর হাত ধরে ফেলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মাসুম বিল্লা নির্মলকে ঘরে ঢুকিয়ে হাতে থেকে বটি কেড়ে নেন। এরপর নির্মলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মোবাইল ফোন ও টাকা–পয়সা নিয়ে পালিয়ে যান মাসুম।
নরসিংদী থেকে খোয়া যাওয়া একটি বাটন মোবাইল ফোন পাওয়া যায় ঠাকুরগাঁওয়ে। সেই মোবাইলের সূত্র ধরে জানা যায়, চারজনের হাতবদল হয়ে মোবাইলটি ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে সচল হয়। এক এক করে সর্বশেষ ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতেই বেরিয়ে আসে নরসিংদীর একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান।
গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নরসিংদীর নির্মল দেবনাথের স্ত্রী মনি দেবনাথ ছেলে–মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাবার বাড়ি যান। মিষ্টির দোকানের কাজ শেষে নির্মল দেবনাথ রাতে বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে স্ত্রী–সন্তানরা বাড়ি এসে দেখেন খাটের ওপর নির্মল দেবনাথের ক্ষতবিক্ষত লাশ। এরপর থেকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে নির্মলের ছেলে দুর্জয় দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে গত ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
পিবিআইয়ের এ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মল দেবনাথের মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে জানা যায়, মোবাইলটি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা এলাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ১ মার্চ দুপুরে ঠাকুরগাঁও থেকে লাইলী খাতুন নামে একজনকে মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়।
মোবাইলের বিষয়ে লাইলী জানান, মাধবদী এলাকায় চাকরি করার সময় সাকিল নামের একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সাকিল তাঁকে মোবাইলটি দিয়েছেন। পরে সাকিলকে নরসিংদী থেকে আটক করা হলে তিনি জানান, রবিন নামে একজনের কাছ থেকে ২৫০ টাকায় মোবাইলটি কিনেছেন। একপর্যায়ে রবিনকে আটক করলে তিনি জানান, মোবাইলটি তাঁর ফুপাতো ভাই মাসুম বিল্লা তাঁকে প্রায় তিন মাস আগে বিক্রির জন্য দেন।
পরে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গত ৬ মার্চ মাধবদী থেকে মাসুম বিল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাসুম বিল্লা জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মাসুদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, গত ১৪ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে নির্মল দেবনাথের বাড়িতে চুরি করতে যান মাসুম। বাড়ির ছাদে উঠে দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকেন। ঘুমন্ত নির্মলের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে নেন। এ সময় ঘুম ভেঙে গেলে নির্মলের বটি নিয়ে চোরকে ধাওয়া করেন।
ধারালো বটি হাতে নিয়ে এগিয়ে এলে মাসুম বিল্লা তাঁর হাত ধরে ফেলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মাসুম বিল্লা নির্মলকে ঘরে ঢুকিয়ে হাতে থেকে বটি কেড়ে নেন। এরপর নির্মলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মোবাইল ফোন ও টাকা–পয়সা নিয়ে পালিয়ে যান মাসুম।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে