নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে অশুভ শক্তি নানা ষড়যন্ত্র বা কৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের। একই সুরে কথা বলেছেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, প্রতিরোধ পর্ষদ, বিনির্মাণ পর্ষদ, সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদসহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা।
এক প্রার্থীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গতকাল সোমবার বিকেলে ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিলে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ১ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে বিক্ষোভ উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়।
ডাকসুকে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ক্যাম্পাসে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা। তাঁদের কেউ মধুর ক্যানটিন, কেউ ডাকসু কার্যালয়ের সামনে এবং কেউ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সন্ধ্যায় ডাকসু কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে একটা আশাব্যঞ্জক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একজন রিট করেছেন। এটা একটা বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যাঁরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার ইন্ধন দিচ্ছেন, তাঁরাই ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছেন।
উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ইলেকশনে জাতীয় রাজনীতির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা জাতীয় রাজনীতির ঘুঁটি হতে চাই না। ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন কমিশনকে আমরা এ ব্যাপারে বলব, যাতে বিলম্বিত না হয়।’
একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাহেদ হোসেন বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে সচেতন শিক্ষার্থীরা পরিচিত। যখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়, তখনই বানচাল করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। গতকালের যে ঘটনা, সেটি ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবেই।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের পর সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার পরিবেশ ফিরে এসেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন ঠিক সময়েই হবে, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করার সক্ষমতা কারও নেই।’
নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে বলে জোর দিয়ে আবিদুল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এমন একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে গেছে, সেখানে নির্বাচন বন্ধ করার ফাঁকফোকর রেখেছে। আমরা বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে এবং হবেই। কোনো ষড়যন্ত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।’ এ সময় নির্বাচন কমিশনকে কোনো দলের পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ডাকসু কার্যালয়ের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ‘কিছু কুচক্রী মহলের কারণে এত দিন ডাকসু নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন বানচাল করার জন্য কুচক্রী মহল যে পাঁয়তারা করছে, সেটি এখনো বন্ধ হয়নি। আমরা যে কয়েক দিন আগে আশঙ্কার কথা বলেছিলাম, সেটি আজকে স্পষ্টত হয়েছে। হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে যে ষড়যন্ত্র করছে, তা স্পষ্ট। আজ ঢাবি শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করার আদেশে হাইকোর্টকে লাল কার্ড দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, হাইকোর্ট থেকে নয়। কেউ ষড়যন্ত্র করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না, সে রায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা আজকে জানিয়ে দিয়েছে। নানা ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে ভোটারদের মধ্যে অনাগ্রহ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা সেটি হতে দেব না, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেটি হতে দেবে না।’
হাইকোর্টের আদেশের তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিরোধ পর্ষদও। এই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্ট দেখালে হবে না। ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী আইনিপ্রক্রিয়া নেবে, এটি তাদের বিষয়। আমরা জানি, ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বিপুল শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
জাবির আহমেদ জুবেল আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গোষ্ঠী আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলমান রেখেছে। আমরা এই নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকে বাস্তব হতে দেব না।’
ভিপি পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ (ইমি) বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’
হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন। ফলে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আর এস এম ফরহাদের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে রিট আবেদনকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে অশুভ শক্তি নানা ষড়যন্ত্র বা কৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের। একই সুরে কথা বলেছেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, প্রতিরোধ পর্ষদ, বিনির্মাণ পর্ষদ, সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদসহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা।
এক প্রার্থীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গতকাল সোমবার বিকেলে ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দিলে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ১ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে বিক্ষোভ উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়।
ডাকসুকে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ক্যাম্পাসে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা। তাঁদের কেউ মধুর ক্যানটিন, কেউ ডাকসু কার্যালয়ের সামনে এবং কেউ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সন্ধ্যায় ডাকসু কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে একটা আশাব্যঞ্জক ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একজন রিট করেছেন। এটা একটা বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যাঁরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার ইন্ধন দিচ্ছেন, তাঁরাই ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছেন।
উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ইলেকশনে জাতীয় রাজনীতির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা জাতীয় রাজনীতির ঘুঁটি হতে চাই না। ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন কমিশনকে আমরা এ ব্যাপারে বলব, যাতে বিলম্বিত না হয়।’
একই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাহেদ হোসেন বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে সচেতন শিক্ষার্থীরা পরিচিত। যখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়, তখনই বানচাল করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। গতকালের যে ঘটনা, সেটি ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা। সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবেই।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের পতনের পর সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার পরিবেশ ফিরে এসেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন ঠিক সময়েই হবে, সেটাকে বাধাগ্রস্ত করার সক্ষমতা কারও নেই।’
নির্ধারিত সময়ে ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে বলে জোর দিয়ে আবিদুল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এমন একটি নির্বাচনের আয়োজন করতে গেছে, সেখানে নির্বাচন বন্ধ করার ফাঁকফোকর রেখেছে। আমরা বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে ডাকসু নির্বাচন হতেই হবে এবং হবেই। কোনো ষড়যন্ত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।’ এ সময় নির্বাচন কমিশনকে কোনো দলের পক্ষপাতিত্ব না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ডাকসু কার্যালয়ের সামনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ। এই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ‘কিছু কুচক্রী মহলের কারণে এত দিন ডাকসু নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন বানচাল করার জন্য কুচক্রী মহল যে পাঁয়তারা করছে, সেটি এখনো বন্ধ হয়নি। আমরা যে কয়েক দিন আগে আশঙ্কার কথা বলেছিলাম, সেটি আজকে স্পষ্টত হয়েছে। হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে যে ষড়যন্ত্র করছে, তা স্পষ্ট। আজ ঢাবি শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করার আদেশে হাইকোর্টকে লাল কার্ড দেখিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, হাইকোর্ট থেকে নয়। কেউ ষড়যন্ত্র করলে তা প্রতিহত করা হবে।’
একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না, সে রায় ঢাবি শিক্ষার্থীরা আজকে জানিয়ে দিয়েছে। নানা ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে ভোটারদের মধ্যে অনাগ্রহ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা সেটি হতে দেব না, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেটি হতে দেবে না।’
হাইকোর্টের আদেশের তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিরোধ পর্ষদও। এই প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্ট দেখালে হবে না। ডাকসু নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী আইনিপ্রক্রিয়া নেবে, এটি তাদের বিষয়। আমরা জানি, ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বিপুল শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
জাবির আহমেদ জুবেল আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গোষ্ঠী আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলমান রেখেছে। আমরা এই নির্বাচন বানচালের চেষ্টাকে বাস্তব হতে দেব না।’
ভিপি পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ (ইমি) বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’
হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে স্থগিত করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন। ফলে ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকসুর নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আর এস এম ফরহাদের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে রিট আবেদনকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে তিতাস কমিউটার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর বগিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এতে ডাউন লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
১১ মিনিট আগেভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মিষ্টি পান চাষাবাদ করছেন কৃষকেরা। এই এলাকার মিষ্টি পানের খ্যাতি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে। বিগত সময়ে দেশের বাইরেও এ পান রপ্তানি করা হয়েছে। বিশেষ করে, বিয়ে ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের অতিথি আপ্যায়নে এ মিষ্টি পান বিবেচিত হয়ে থাকে।
১৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে ‘রেড মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
২৪ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মামুনের ওপর স্থানীয়দের নির্মম হামলার পর তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। যেখানে তাঁর মাথার খুলি খুলে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে ফ্রিজে। তাঁর মাথার ব্যান্ডেজে লেখা ‘হাড় নেই, মাথায় চাপ দিবেন না’।
২৯ মিনিট আগে