নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ডেঙ্গু সারা দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যয়ও। এই সংকটকে পুঁজি করে ডাব, স্যালাইন, ওষুধ ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়ে দিয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধক এসব সামগ্রীর দাম। এতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনেরা। কিন্তু দায়িত্বশীলরা এসবের দিকে নজর না দিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে। রাস্তা-সেতু দেখে মানুষ সন্তান হারানোর শোক ভুলতে পারবে না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের বোধোদয় ও সংবেদনশীলতা জাগাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল সোমবার প্রতীকী অনশনে বসেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দুই কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও রাগীব আহসান মুন্না। ‘বিচলিত-মর্মাহত-ক্ষুব্ধ নাগরিকবৃন্দ’-এর ব্যানারে ওই অনশনে সংহতি জানিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন পালন করা হয়।
অনশনে সংহতি জানিয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সরকার দেশের মানুষের সম্মতি ব্যতিরেকে ক্ষমতাসীন হয়েছে। তাই জনগণের জীবন রক্ষায় তাদের কোনো দায়বোধ নেই। এই মুহূর্তে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম না হলে সরকারের কোনো দায়িত্ববোধের পরিচয় পাওয়া যাবে না।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জনগণের সংগঠিত শক্তি যদি তৈরি না হয়, নিজেদের অধিকার দাবি করার মতো কণ্ঠ যদি তৈরি না হয়, তাহলে কোনো কিছু থেকেই বাঁচা যাবে না। সামনে ডেঙ্গুর চেয়ে আরও ভয়াবহ রোগ হবে। আমরা উন্নয়নের রাস্তা-সেতু দেখব আর আমাদের সন্তানেরা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। রাস্তা-সেতু দেখে মানুষ সন্তান হারানোর শোক ভুলতে পারবে না। প্রতিদিনের দুর্ভোগ ভুলতে পারবে না।’
ঢাকার দুই মেয়রের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘উত্তর সিটির মেয়র সাহেবের মাঝেমধ্যে লম্ফঝম্ফ দেখা যায়। এই করতে করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত চলে গেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানলেন, দেশে যে মশার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না। এটা বদলাতে হবে। কিন্তু স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বললেন, না, ওষুধ ঠিকই আছে। মূল দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন বলছেন এটা বিষ, আরেকজন বলছেন, ঠিকই আছে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘তারপর তারা বললেন, সিঙ্গাপুর থেকে নতুন ওষুধ আনা হয়েছে, এটা খুবই ভালো। কিন্তু কিছুদিন পর সিঙ্গাপুর থেকে জানানো হলো, এটা সিঙ্গাপুরের কোনো ওষুধ না। পরে দেখা গেল পুরোটাই ভুয়া ওষুধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির মেয়রকে তো দেখাই যায় না। তিনি বিভিন্ন জনকে সরকারি জায়গা ইজারা দেওয়ায় ব্যস্ত।’
ডেঙ্গু সমস্যার গোড়ায় যেতে হবে জানিয়ে সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মানুষের মধ্যে এখন অনেক আতঙ্ক। এর মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু। এই সমস্যা শুধু নগরকেন্দ্রিক সমস্যা নয়। এটা দেশের ১৭ কোটি মানুষের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
অনশনকারী আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘সরকারকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখছি না। বরং তাদের মধ্যে একধরনের নিষ্ক্রিয়তা দেখছি।’
অনশনে আরও সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, চাকসুর সাবেক ভিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরা, এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা ডা. মুশতাক আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি, শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম, শিশু-কিশোর সংগঠক তাহমিনা সুলতানা সাথী, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল প্রমুখ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ডেঙ্গু সারা দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যয়ও। এই সংকটকে পুঁজি করে ডাব, স্যালাইন, ওষুধ ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়ে দিয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধক এসব সামগ্রীর দাম। এতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিনাতিপাত করছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনেরা। কিন্তু দায়িত্বশীলরা এসবের দিকে নজর না দিয়ে উন্নয়নের গল্প শোনাচ্ছে। রাস্তা-সেতু দেখে মানুষ সন্তান হারানোর শোক ভুলতে পারবে না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের বোধোদয় ও সংবেদনশীলতা জাগাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল সোমবার প্রতীকী অনশনে বসেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দুই কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও রাগীব আহসান মুন্না। ‘বিচলিত-মর্মাহত-ক্ষুব্ধ নাগরিকবৃন্দ’-এর ব্যানারে ওই অনশনে সংহতি জানিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন পালন করা হয়।
অনশনে সংহতি জানিয়ে শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সরকার দেশের মানুষের সম্মতি ব্যতিরেকে ক্ষমতাসীন হয়েছে। তাই জনগণের জীবন রক্ষায় তাদের কোনো দায়বোধ নেই। এই মুহূর্তে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম না হলে সরকারের কোনো দায়িত্ববোধের পরিচয় পাওয়া যাবে না।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জনগণের সংগঠিত শক্তি যদি তৈরি না হয়, নিজেদের অধিকার দাবি করার মতো কণ্ঠ যদি তৈরি না হয়, তাহলে কোনো কিছু থেকেই বাঁচা যাবে না। সামনে ডেঙ্গুর চেয়ে আরও ভয়াবহ রোগ হবে। আমরা উন্নয়নের রাস্তা-সেতু দেখব আর আমাদের সন্তানেরা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। রাস্তা-সেতু দেখে মানুষ সন্তান হারানোর শোক ভুলতে পারবে না। প্রতিদিনের দুর্ভোগ ভুলতে পারবে না।’
ঢাকার দুই মেয়রের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘উত্তর সিটির মেয়র সাহেবের মাঝেমধ্যে লম্ফঝম্ফ দেখা যায়। এই করতে করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত চলে গেছেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানলেন, দেশে যে মশার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না। এটা বদলাতে হবে। কিন্তু স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বললেন, না, ওষুধ ঠিকই আছে। মূল দায়িত্বপ্রাপ্তদের একজন বলছেন এটা বিষ, আরেকজন বলছেন, ঠিকই আছে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘তারপর তারা বললেন, সিঙ্গাপুর থেকে নতুন ওষুধ আনা হয়েছে, এটা খুবই ভালো। কিন্তু কিছুদিন পর সিঙ্গাপুর থেকে জানানো হলো, এটা সিঙ্গাপুরের কোনো ওষুধ না। পরে দেখা গেল পুরোটাই ভুয়া ওষুধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির মেয়রকে তো দেখাই যায় না। তিনি বিভিন্ন জনকে সরকারি জায়গা ইজারা দেওয়ায় ব্যস্ত।’
ডেঙ্গু সমস্যার গোড়ায় যেতে হবে জানিয়ে সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মানুষের মধ্যে এখন অনেক আতঙ্ক। এর মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু। এই সমস্যা শুধু নগরকেন্দ্রিক সমস্যা নয়। এটা দেশের ১৭ কোটি মানুষের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
অনশনকারী আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, ‘সরকারকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখছি না। বরং তাদের মধ্যে একধরনের নিষ্ক্রিয়তা দেখছি।’
অনশনে আরও সংহতি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, চাকসুর সাবেক ভিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরা, এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা ডা. মুশতাক আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি, শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম, শিশু-কিশোর সংগঠক তাহমিনা সুলতানা সাথী, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজিদ হায়দার চঞ্চল প্রমুখ।
সাতক্ষীরার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস প্রায় সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এতে করে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা শ্রমিকদের অনেকে এখন বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি, কারখানার বিশাল প্রাঙ্গণে বেসরকারি সহযোগিতায় একাধিক...
৪ ঘণ্টা আগেসড়কের মধ্যে থেকে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করেই প্রশস্ত করা হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক। সড়কটি ৬ দশমিক ২ মিটার থেকে উন্নীত করা হচ্ছে ১০ দশমিক ৩ মিটারে। এ অবস্থায় ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেকর্মচারীরা বাতিলের দাবি জানালেও সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। এই অধ্যাদেশ সংশোধন করে যেসব ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে, সেখানে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অধ্যাদেশ সংশোধন করে সেখানে কোন কোন বিষয় যুক্ত করা হবে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তা চূড়ান্ত করবে...
৫ ঘণ্টা আগেউত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে হাজার হাজার টন বালু। এই বালু এখন আর সীমাবদ্ধ নেই জেলার অভ্যন্তরে বা পাশের কোনো উপজেলায়। তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে; বিশেষত ঢাকা, গাজীপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাটের নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে।
৫ ঘণ্টা আগে