জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে তালা দেন তাঁরা। অবরোধের কারণে উপাচার্যসহ সারা দিন নতুন প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা ঢুকতে পারেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্ষক ও তাঁকে সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
এদিকে গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ধর্ষণকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সচিব আবু হাসান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় দুজনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল ও চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সচিব আরও বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান এবং একই বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেনের সনদ বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের ছাত্র মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান ও ৪৫ ব্যাচের হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের সাব্বির হাসান সাগরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আবু হাসান আরও বলেন, ‘আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অছাত্ররা হল ত্যাগ না করলে অ্যাকাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল ও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অব্যাহতি এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন উপাচার্য।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্য সময় চেয়েছিলেন। তিনি আগে কথা না রাখলেও আমরা সময় দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হয় এমন কোনো কর্মসূচি দিইনি। তবে উপাচার্য আবারও কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও সিন্ডিকেটে প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই উপাচার্যের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।’
প্রথম দিনের মতো অবরোধ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উপাচার্য বারবার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখতে পারেননি। তাঁকে আর বিশ্বাস করতে চাই না। তাই তদন্ত প্রতিবেদনে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের গাফিলতি উল্লেখ করা হয়েছে কিনা তা সবাইকে জানাতে হবে। সে জন্য তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসনিক ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে তালা দেন তাঁরা। অবরোধের কারণে উপাচার্যসহ সারা দিন নতুন প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা ঢুকতে পারেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্ষক ও তাঁকে সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।
এদিকে গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ধর্ষণকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সচিব আবু হাসান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট সভায় দুজনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল ও চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সচিব আরও বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান এবং একই বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেনের সনদ বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের ছাত্র মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান ও ৪৫ ব্যাচের হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের সাব্বির হাসান সাগরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আবু হাসান আরও বলেন, ‘আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে অছাত্ররা হল ত্যাগ না করলে অ্যাকাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল ও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অব্যাহতি এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন উপাচার্য।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্য সময় চেয়েছিলেন। তিনি আগে কথা না রাখলেও আমরা সময় দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্ন হয় এমন কোনো কর্মসূচি দিইনি। তবে উপাচার্য আবারও কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও সিন্ডিকেটে প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই উপাচার্যের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।’
প্রথম দিনের মতো অবরোধ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। উপাচার্য বারবার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখতে পারেননি। তাঁকে আর বিশ্বাস করতে চাই না। তাই তদন্ত প্রতিবেদনে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের গাফিলতি উল্লেখ করা হয়েছে কিনা তা সবাইকে জানাতে হবে। সে জন্য তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে