গাজীপুর প্রতিনিধি
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩-এর মামলায় প্রথমবারের মতো গাজীপুরে একটি রায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদ করে মূল মালিককে দখল বুঝিয়ে দেন।
আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভূমি হুকুম দখল কর্তকর্তা (এলএও) ইশতিয়াক আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কায়সার খসরু জানান, দেশে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর এই আইনে গাজীপুরে এটি প্রথম কোনো রায় ঘোষণা করে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আদেশ হওয়া অন্যান্য রায়ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। অপর দিকে আইনে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে মামলার রায়ে ন্যায়বিচার পেয়ে মামলার বাদী ও জমির মূল মালিক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাদী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার শেখ শাহ জামাল চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ (পিটিশন মামলা নম্বর-১২/২০২৫) দায়ের করেন।
ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, সদর মেট্রো থানাথীন সাং-পশ্চিম লক্ষ্মীপুরা এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. পারভেজ মিয়া, মো. পলাশ মিয়া, মো. আলাউদ্দিন গং একই থানার চান্দনা মৌজায় বাদীর পৌনে ৯ শতাংশ জমি থেকে বাদীকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করার অভিযোগ করে মামলায় বাদীকে তাঁর দখল পুনর্বহালের জন্য আবেদন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল গাজীপুর সদরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে আদালত নির্দেশনা দেন। সেই আলোকে ৭ মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় পক্ষের লিখিত জবাব ও দাখিলকৃত নথি পর্যালোচনা করেন। আদালতের কাছে প্রমাণিত হয় যে আবেদনকারী আইনানুগভাবে তফসিলভুক্ত ভূমি দখলে রাখার অধিকারী ও তিনি ওই ভূমি দখল করছিলেন। এ ছাড়া বিবাদীরা আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া বাদীকে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করেছেন।
এ কারণে চলতি বছরের ২০ জুলাই আদালত বিবাদীগণকে ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ দখল পরিত্যাগ করে বর্ণিত জমি থেকে স্থাবর-অস্থাবর স্থাপনা (যদি থাকে) নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে বাদীর অনুকূলে ভূমির দখল হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন।
আদেশে আরও বলা হয়, ‘অন্যথায় বিবাদীগণকে অবৈধ দখল থেকে উচ্ছেদ করে আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করা হবে এবং প্রয়োজনে আপনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ/ক্রোক করা হবে এবং বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন ও আদেশ অমান্যের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিবাদীগণ আদালতের আদেশ অমান্য করায় গত ২০ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমা খাতুন পিটিশন মামলা নম্বর ১২/২৫-এর রায় বাস্তবায়নের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তাকে (এলএও) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীদের দখল থেকে উচ্ছেদ করার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এই কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা দেয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শেখ শাহ জামাল বলেন, তিনি ক্রয়সূত্রে জমির মালিক। ২০২৩ সালে বিবাদীরা তাঁকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে সেখানে টিনশেড ঘর করে ভাড়া দিয়েছিলেন। বেদখল হওয়ার দুই বছরের মাথায় মামলা দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি জমির দখল ফিরে পেয়েছেন। এ জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ অভিযান শেষে জমির মূল মালিকের কাছে দখল স্বত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩-এর মামলায় প্রথমবারের মতো গাজীপুরে একটি রায় সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলকারীকে উচ্ছেদ করে মূল মালিককে দখল বুঝিয়ে দেন।
আদালতের রায় বাস্তবায়ন ও উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভূমি হুকুম দখল কর্তকর্তা (এলএও) ইশতিয়াক আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কায়সার খসরু জানান, দেশে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর এই আইনে গাজীপুরে এটি প্রথম কোনো রায় ঘোষণা করে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আদেশ হওয়া অন্যান্য রায়ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। অপর দিকে আইনে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে মামলার রায়ে ন্যায়বিচার পেয়ে মামলার বাদী ও জমির মূল মালিক সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাদী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার শেখ শাহ জামাল চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ (পিটিশন মামলা নম্বর-১২/২০২৫) দায়ের করেন।
ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, সদর মেট্রো থানাথীন সাং-পশ্চিম লক্ষ্মীপুরা এলাকার মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. পারভেজ মিয়া, মো. পলাশ মিয়া, মো. আলাউদ্দিন গং একই থানার চান্দনা মৌজায় বাদীর পৌনে ৯ শতাংশ জমি থেকে বাদীকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করার অভিযোগ করে মামলায় বাদীকে তাঁর দখল পুনর্বহালের জন্য আবেদন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল গাজীপুর সদরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে আদালত নির্দেশনা দেন। সেই আলোকে ৭ মে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
পরে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন, দ্বিতীয় পক্ষের লিখিত জবাব ও দাখিলকৃত নথি পর্যালোচনা করেন। আদালতের কাছে প্রমাণিত হয় যে আবেদনকারী আইনানুগভাবে তফসিলভুক্ত ভূমি দখলে রাখার অধিকারী ও তিনি ওই ভূমি দখল করছিলেন। এ ছাড়া বিবাদীরা আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া বাদীকে উচ্ছেদ বা দখলচ্যুত করেছেন।
এ কারণে চলতি বছরের ২০ জুলাই আদালত বিবাদীগণকে ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ দখল পরিত্যাগ করে বর্ণিত জমি থেকে স্থাবর-অস্থাবর স্থাপনা (যদি থাকে) নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে বাদীর অনুকূলে ভূমির দখল হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন।
আদেশে আরও বলা হয়, ‘অন্যথায় বিবাদীগণকে অবৈধ দখল থেকে উচ্ছেদ করে আবেদনকারীকে দখলে পুনর্বহাল করা হবে এবং প্রয়োজনে আপনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ/ক্রোক করা হবে এবং বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন ও আদেশ অমান্যের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিবাদীগণ আদালতের আদেশ অমান্য করায় গত ২০ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমা খাতুন পিটিশন মামলা নম্বর ১২/২৫-এর রায় বাস্তবায়নের জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তাকে (এলএও) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীদের দখল থেকে উচ্ছেদ করার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এই কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা দেয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শেখ শাহ জামাল বলেন, তিনি ক্রয়সূত্রে জমির মালিক। ২০২৩ সালে বিবাদীরা তাঁকে অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে সেখানে টিনশেড ঘর করে ভাড়া দিয়েছিলেন। বেদখল হওয়ার দুই বছরের মাথায় মামলা দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি জমির দখল ফিরে পেয়েছেন। এ জন্য তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ অভিযান শেষে জমির মূল মালিকের কাছে দখল স্বত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে বয়স ২৩-২৪-এর আশপাশে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। এ বিষয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের (জুলুস আয়োজক) মিডিয়া টিমের সমন্বয়ক আবু তালেব বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান।
৪ ঘণ্টা আগে‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম-৫ আ
৪ ঘণ্টা আগেবান্দরবান শহরের পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৯ জনকে সিসা বার পরিচালনার অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৬ ঘণ্টা আগে