নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিজেকে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ঘোষণা দিয়ে সোসাইটির আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানের জমি ও প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ উঠেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সারা জীবনে কোনো কিছু দখল করি নাই, চাইলে মতিঝিলে রেখা টেনে দিতে পারতাম।’
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘এতিমের সম্পদ দখল, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কমিটি অনুমোদনের পাঁয়তারা করায় কাদের সিদ্দিকী গংয়ের বিরুদ্ধে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি, কচি-কাঁচা একাডেমি, নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারী ও ইকবাল সিদ্দিকীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল সিদ্দিকীর মেজ ভাই হায়দার সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯০ সালে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামে পারিবারিক সম্পত্তির ওপর কচি-কাঁচা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন ইকবাল সিদ্দিকী। পরে তাঁর নেতৃত্বেই গড়ে ওঠে নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি। তবে ২০২৩ সালে ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী নিজেকে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই তিনি সোসাইটির সব প্রতিষ্ঠানের জমি ও প্রতিষ্ঠান দখল করতে জাল ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে কমিটি গঠন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অপকর্ম শুরু করেছেন।
হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ২০২৩ সালের ৪ মার্চ ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর দুদিনের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে শোকাহত পরিবারের স্পর্শকাতর সময়ে তাঁর কিছু সহযোগীর যোগসাজশে নিয়মবহির্ভূতভাবে আবদুল কাদের সিদ্দিকী নিজেকে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ঘোষণা করেন। ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর থেকে জনাব কাদের সিদ্দিকীর ইকবাল সিদ্দিকী ও তাঁর উত্তরাধিকারদের সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে। কাদের সিদ্দিকীর পাশপাশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আবদুর রহমান, সিরাজুল হক, এস এম মিজানুর রহমান ও আতিক জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর মৃত ইকবাল সিদ্দিকী ও মৃত লক্ষ্মণ দেবনাথের স্বাক্ষর জাল করে এবং ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির নির্বাহী সদস্য সাজেদা রোজী, আফরোজা খানম, মো. আলাউদ্দিন, সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য ও অর্থসচিব হরিপদ সরকারের স্বাক্ষর জাল করে সিরাজুল হক যৌথ মূলধনি কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে কমিটি দাখিল করে, যে কমিটির সভাপতি হিসেবে তালিকায় রয়েছেন কাদের সিদ্দিকী। নিশ্চিত স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় দাখিল করা কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে আরজেএসসি।
কমিটি স্থগিত হলেও কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছেন দাবি করে হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ‘ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কাদের সিদ্দিকী গং প্রতিষ্ঠানের হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমানে আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ রয়েছে। তবে যেকোনোভাবে তারা ব্যাংক থেকে অর্থ ছাড় করানোর পাঁয়তারা করছে।’
তিনি বলেন, সোসাইটির কমিটি আরজেএসসি কর্তৃক স্থগিত হওয়ায় কাদের সিদ্দিকীর নিজেকে সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দাবি করার কোনো বৈধতা নেই, একইভাবে তাঁর মনোনীত আবদুর রহমানও ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের সভাপতি হিসেবে বৈধ নন। তিনি জানান, আবদুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি হলেও কাদের সিদ্দিকী তাঁকে স্নাতক হিসেবে প্রত্যয়ন দিয়ে কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
হায়দার সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, আরজেএসসির স্থগিতাদেশ গোপন করে ৯ জুলাই মাউশি মহাপরিচালককে প্রভাবিত করে কাদের সিদ্দিকী সোসাইটির সভাপতি হিসেবে চিঠি ইস্যু করান। তিনি বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল জেলার চতুর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ মাউশি ‘এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু নয়’ মর্মে চিঠি ইস্যু করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত কর্মচারীর বেতন পরিশোধ, বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতি সভায় অর্থ গ্রহণ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা ব্যয় মেটাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের প্রমাণ রয়েছে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে কাদের সিদ্দিকী, মিজানুর রহমান ও সিরাজুল হক গংয়ের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আবদুর রহমান ব্যক্তিগত নামে জমি রেজিস্ট্রি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রশাসন, সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা কামনা করে হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ‘ইতিপূর্বে কাদের সিদ্দিকী মাজারের জমি ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন বলে তিনি আমাদের জমি বা প্রতিষ্ঠান দখল করার অধিকার রাখেন না। বারবার বিভিন্নভাবে এ ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থাকার কথা বলে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাদের পালিত সন্ত্রাস বাহিনী দ্বারা নানা রকম হুমকির শিকার হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সরকারের কাছে এই অর্থলোভীদের শাস্তি দাবি করছি। আমাদের প্রাণের বিদ্যাপীঠের গতিশীল সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে এবং কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর দুষ্কৃতকারী সহযোগীরা অন্যায়ভাবে বিভিন্ন মহলের কোনো প্রকার সহযোগিতায় যাতে জমি দখল, প্রতিষ্ঠান দখল ও অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল সিদ্দিকীর ছোট ভাই মিঠু সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসমত উল্লাহ, কচি-কাঁচা একাডেমির প্রধান শিক্ষক আফরোজা খানমসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ভুক্তভোগী শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সারা জীবনে কোনো কিছু দখল করি নাই। আমি চাইলে মতিঝিলে রেখা টেনে দিতে পারতাম। যারা অভিযোগ করছে, তারা সবচাইতে বেশি অপরাধী, তারাই তো জবরদখলকারি। তারা ওই প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছিল। এগুলোতে আমার কোনো হাত নাই। আমি এগুলা কিছু করিও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটা যাতে চলে, এই জন্য তাদের কান্দাকাটিতে আমি ওখানে গিয়েছিলাম।’ এখন উনারা আপনাকে চাচ্ছেন না, তবু কেন আপনি সেখানে আছেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার প্রতিষ্ঠান, আমি ছাড়ব কেন? উনারা আন-অথরাইজ, একজনও এটার সঙ্গে যুক্ত না। এটা একটা ট্রাস্টের প্রপার্টি।’
নিজেকে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ঘোষণা দিয়ে সোসাইটির আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানের জমি ও প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ উঠেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সারা জীবনে কোনো কিছু দখল করি নাই, চাইলে মতিঝিলে রেখা টেনে দিতে পারতাম।’
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘এতিমের সম্পদ দখল, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কমিটি অনুমোদনের পাঁয়তারা করায় কাদের সিদ্দিকী গংয়ের বিরুদ্ধে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি, কচি-কাঁচা একাডেমি, নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব শিক্ষক-কর্মচারী ও ইকবাল সিদ্দিকীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল সিদ্দিকীর মেজ ভাই হায়দার সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯০ সালে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামে পারিবারিক সম্পত্তির ওপর কচি-কাঁচা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন ইকবাল সিদ্দিকী। পরে তাঁর নেতৃত্বেই গড়ে ওঠে নয়নপুর এন এস আদর্শ বিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি। তবে ২০২৩ সালে ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী নিজেকে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই তিনি সোসাইটির সব প্রতিষ্ঠানের জমি ও প্রতিষ্ঠান দখল করতে জাল ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে কমিটি গঠন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অপকর্ম শুরু করেছেন।
হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ২০২৩ সালের ৪ মার্চ ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর দুদিনের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে শোকাহত পরিবারের স্পর্শকাতর সময়ে তাঁর কিছু সহযোগীর যোগসাজশে নিয়মবহির্ভূতভাবে আবদুল কাদের সিদ্দিকী নিজেকে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ঘোষণা করেন। ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর থেকে জনাব কাদের সিদ্দিকীর ইকবাল সিদ্দিকী ও তাঁর উত্তরাধিকারদের সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে। কাদের সিদ্দিকীর পাশপাশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আবদুর রহমান, সিরাজুল হক, এস এম মিজানুর রহমান ও আতিক জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর মৃত ইকবাল সিদ্দিকী ও মৃত লক্ষ্মণ দেবনাথের স্বাক্ষর জাল করে এবং ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির নির্বাহী সদস্য সাজেদা রোজী, আফরোজা খানম, মো. আলাউদ্দিন, সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য ও অর্থসচিব হরিপদ সরকারের স্বাক্ষর জাল করে সিরাজুল হক যৌথ মূলধনি কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে কমিটি দাখিল করে, যে কমিটির সভাপতি হিসেবে তালিকায় রয়েছেন কাদের সিদ্দিকী। নিশ্চিত স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় দাখিল করা কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে আরজেএসসি।
কমিটি স্থগিত হলেও কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছেন দাবি করে হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ‘ইকবাল সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কাদের সিদ্দিকী গং প্রতিষ্ঠানের হিসাব পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমানে আর্থিক নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ রয়েছে। তবে যেকোনোভাবে তারা ব্যাংক থেকে অর্থ ছাড় করানোর পাঁয়তারা করছে।’
তিনি বলেন, সোসাইটির কমিটি আরজেএসসি কর্তৃক স্থগিত হওয়ায় কাদের সিদ্দিকীর নিজেকে সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দাবি করার কোনো বৈধতা নেই, একইভাবে তাঁর মনোনীত আবদুর রহমানও ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের সভাপতি হিসেবে বৈধ নন। তিনি জানান, আবদুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি হলেও কাদের সিদ্দিকী তাঁকে স্নাতক হিসেবে প্রত্যয়ন দিয়ে কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
হায়দার সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, আরজেএসসির স্থগিতাদেশ গোপন করে ৯ জুলাই মাউশি মহাপরিচালককে প্রভাবিত করে কাদের সিদ্দিকী সোসাইটির সভাপতি হিসেবে চিঠি ইস্যু করান। তিনি বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল জেলার চতুর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ মাউশি ‘এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু নয়’ মর্মে চিঠি ইস্যু করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত কর্মচারীর বেতন পরিশোধ, বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতি সভায় অর্থ গ্রহণ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা ব্যয় মেটাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের প্রমাণ রয়েছে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে কাদের সিদ্দিকী, মিজানুর রহমান ও সিরাজুল হক গংয়ের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আবদুর রহমান ব্যক্তিগত নামে জমি রেজিস্ট্রি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রশাসন, সরকার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা কামনা করে হায়দার সিদ্দিকী বলেন, ‘ইতিপূর্বে কাদের সিদ্দিকী মাজারের জমি ও সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন বলে তিনি আমাদের জমি বা প্রতিষ্ঠান দখল করার অধিকার রাখেন না। বারবার বিভিন্নভাবে এ ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থাকার কথা বলে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাদের পালিত সন্ত্রাস বাহিনী দ্বারা নানা রকম হুমকির শিকার হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সরকারের কাছে এই অর্থলোভীদের শাস্তি দাবি করছি। আমাদের প্রাণের বিদ্যাপীঠের গতিশীল সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখতে এবং কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর দুষ্কৃতকারী সহযোগীরা অন্যায়ভাবে বিভিন্ন মহলের কোনো প্রকার সহযোগিতায় যাতে জমি দখল, প্রতিষ্ঠান দখল ও অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল সিদ্দিকীর ছোট ভাই মিঠু সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসমত উল্লাহ, কচি-কাঁচা একাডেমির প্রধান শিক্ষক আফরোজা খানমসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ভুক্তভোগী শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সারা জীবনে কোনো কিছু দখল করি নাই। আমি চাইলে মতিঝিলে রেখা টেনে দিতে পারতাম। যারা অভিযোগ করছে, তারা সবচাইতে বেশি অপরাধী, তারাই তো জবরদখলকারি। তারা ওই প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছিল। এগুলোতে আমার কোনো হাত নাই। আমি এগুলা কিছু করিও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটা যাতে চলে, এই জন্য তাদের কান্দাকাটিতে আমি ওখানে গিয়েছিলাম।’ এখন উনারা আপনাকে চাচ্ছেন না, তবু কেন আপনি সেখানে আছেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার প্রতিষ্ঠান, আমি ছাড়ব কেন? উনারা আন-অথরাইজ, একজনও এটার সঙ্গে যুক্ত না। এটা একটা ট্রাস্টের প্রপার্টি।’
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে নোয়াখালীর আটটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ডুবে যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেই জলাবদ্ধতা এখনো রয়ে গেছে। এক মাসের বেশি এই জলাবদ্ধতায়
২৫ মিনিট আগেসরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে যে ঠিকাদার সর্বনিম্ন দরে মালপত্র সরবরাহ করবেন, তাকেই কাজ দেওয়ার কথা। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে রাজশাহী আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারে। এখানে সর্বনিম্ন নয়, যাঁরা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন—তাঁদেরই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ৯২ লাখ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
৩০ মিনিট আগেবিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সম্প্রতি কারাগারে যেতে হয়েছে সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তারকে। তবে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি গত পাঁচ মাসেও কাজ
৩৫ মিনিট আগেউড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদ শাহ সাইমের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার মুরাদপুর গ্রামে। এই গ্রাম, উপজেলা, এমনকি পাশের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও তাঁরা টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যবসার নামে।
১ ঘণ্টা আগে