নুরুল আমিন হাসান, আব্দুল্লাহপুর থেকে
রাজধানীর উত্তরায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘ইকোনো এক্সপ্রেস’ নামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়। পরে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান কাউন্টার মাস্টাররা। এমন অভিযোগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুরের বাস কাউন্টারটি থেকে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইকোনো এক্সপ্রেসের মালিক আব্দুল কাদিরকে (৬১) আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় পালিয়েছেন রাজু ও শাকিল নামের দুই কাউন্টার মাস্টার। বাসটি ঢাকা-বরিশাল-বরগুনা-ঢাকা রোডে চলাচল করে।
আটক হওয়া আব্দুল কাদির মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিটি খান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর মহাখালীর রসুলবাগ এলাকায় থাকেন।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে এসি বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়। তারপর কাউন্টারের লোকজন পালিয়ে গেছে। আবার বাসের মালিক কাদির তাঁদের জানান গাড়িতে তেল নাই। জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে তেলের জন্য দিলে অন্য গাড়ি ছাড়বে। এভাবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়।
পরে উপায় না দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে বাসের ব্যানার মালিক কাদিরকে আটক করে।
ভুক্তভোগী নাসরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বরিশালে যাওয়ার জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা করে সাতটি টিকিট কেটেছি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি। টিকিট কেটে গাড়ি না দিয়ে লোকজন পালিয়েছে।
ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দুটি টিকিট ২ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কিনছি। তারা বলছে আমাদের বরগুনা নিবে। এখন বাসও নাই, কাউন্টারে লোকও নাই। মালিক বলছে, আমরা বিক্রি করি নাই।’
মো. জাফর নামের এক যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাঁচজন কুয়াকাটা যাব। তাই পাঁচটি টিকিটের জন্য ৬ হাজার টাকা নিছে। পরে বাস ছাড়ার আগে দেখি কাউন্টার বন্ধ। টিকিট কারা বিক্রি করছে, আমি জানি না। এক সপ্তাহ আগে আমি অগ্রিম টিকিট কাটছি। মালিক বলে, গাড়ি আছে দিব। কিন্তু আপনাদের সবার ১ হাজার করে তেলের টাকা দিতে হবে।’
চাকরিজীবী মাসুম বিল্লাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গা যাওয়ার জন্য একটি টিকিট ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। দেওয়ার কথা ইকোনোর এসি বাস। এখন দিচ্ছে বিকাশের বাস।’
শুধু নাসরিন, সোহেল, জাফর, মাসুম বিল্লাহ নন; এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। অধিকাংশ যাত্রীই কাউন্টার মাস্টার, গাড়ির মালিক কিংবা গাড়ি না পেয়ে যাঁর যাঁর মতো করে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আর কেউ কেউ গ্রামের ফেরত না গিয়ে পুনরায় বাসায় ফেরত গেছেন। আর বাকি ৩৫ জন যাত্রী এসির পরিবর্তে বিকাশ পরিবহনের একটি লোকাল বাসে করে বরিশাল-বরগুনার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
এদিকে ইকোনো এক্সপ্রেস বাসের মালিক আব্দুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করি। প্রতি টিকিটে ৫০ টাকা করে কমিশন দিই। ঈদে এক কাউন্টার ছাড়া কোনো কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করি না। অফটাইমে টিকিট বিক্রি করে চলে গেছে। পরে খাতার সঙ্গে যাত্রী মেলে না।’
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে এসে বাসের মালিক কাদিরকে আটক করি। পরে যাত্রীদের অন্য একটি বাসে তুলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে পলওয়েল মার্কেট-সংলগ্ন হেরিটেজ ও এভারগ্রীন বাস কাউন্টারের মালিক মো. সোলেয়মানকে ‘ইকোনো বাসের মালিক’ আব্দুল কাদিরকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। তিনি ৫০০ টাকা দিয়ে সংবাদ লেখা তথ্যগুলো কেটে দেওয়ার জন্য জোর-জবরদস্তি করেন।
রাজধানীর উত্তরায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘ইকোনো এক্সপ্রেস’ নামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়। পরে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান কাউন্টার মাস্টাররা। এমন অভিযোগে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুরের বাস কাউন্টারটি থেকে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইকোনো এক্সপ্রেসের মালিক আব্দুল কাদিরকে (৬১) আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় পালিয়েছেন রাজু ও শাকিল নামের দুই কাউন্টার মাস্টার। বাসটি ঢাকা-বরিশাল-বরগুনা-ঢাকা রোডে চলাচল করে।
আটক হওয়া আব্দুল কাদির মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিটি খান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর মহাখালীর রসুলবাগ এলাকায় থাকেন।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে এসি বাসের টিকিট বিক্রি করা হয়। তারপর কাউন্টারের লোকজন পালিয়ে গেছে। আবার বাসের মালিক কাদির তাঁদের জানান গাড়িতে তেল নাই। জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে তেলের জন্য দিলে অন্য গাড়ি ছাড়বে। এভাবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়।
পরে উপায় না দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে বাসের ব্যানার মালিক কাদিরকে আটক করে।
ভুক্তভোগী নাসরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বরিশালে যাওয়ার জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা করে সাতটি টিকিট কেটেছি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি। টিকিট কেটে গাড়ি না দিয়ে লোকজন পালিয়েছে।
ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দুটি টিকিট ২ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কিনছি। তারা বলছে আমাদের বরগুনা নিবে। এখন বাসও নাই, কাউন্টারে লোকও নাই। মালিক বলছে, আমরা বিক্রি করি নাই।’
মো. জাফর নামের এক যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাঁচজন কুয়াকাটা যাব। তাই পাঁচটি টিকিটের জন্য ৬ হাজার টাকা নিছে। পরে বাস ছাড়ার আগে দেখি কাউন্টার বন্ধ। টিকিট কারা বিক্রি করছে, আমি জানি না। এক সপ্তাহ আগে আমি অগ্রিম টিকিট কাটছি। মালিক বলে, গাড়ি আছে দিব। কিন্তু আপনাদের সবার ১ হাজার করে তেলের টাকা দিতে হবে।’
চাকরিজীবী মাসুম বিল্লাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গা যাওয়ার জন্য একটি টিকিট ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। দেওয়ার কথা ইকোনোর এসি বাস। এখন দিচ্ছে বিকাশের বাস।’
শুধু নাসরিন, সোহেল, জাফর, মাসুম বিল্লাহ নন; এমন প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। অধিকাংশ যাত্রীই কাউন্টার মাস্টার, গাড়ির মালিক কিংবা গাড়ি না পেয়ে যাঁর যাঁর মতো করে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আর কেউ কেউ গ্রামের ফেরত না গিয়ে পুনরায় বাসায় ফেরত গেছেন। আর বাকি ৩৫ জন যাত্রী এসির পরিবর্তে বিকাশ পরিবহনের একটি লোকাল বাসে করে বরিশাল-বরগুনার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
এদিকে ইকোনো এক্সপ্রেস বাসের মালিক আব্দুল কাদির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করি। প্রতি টিকিটে ৫০ টাকা করে কমিশন দিই। ঈদে এক কাউন্টার ছাড়া কোনো কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করি না। অফটাইমে টিকিট বিক্রি করে চলে গেছে। পরে খাতার সঙ্গে যাত্রী মেলে না।’
এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল আলম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে এসে বাসের মালিক কাদিরকে আটক করি। পরে যাত্রীদের অন্য একটি বাসে তুলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে পলওয়েল মার্কেট-সংলগ্ন হেরিটেজ ও এভারগ্রীন বাস কাউন্টারের মালিক মো. সোলেয়মানকে ‘ইকোনো বাসের মালিক’ আব্দুল কাদিরকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। তিনি ৫০০ টাকা দিয়ে সংবাদ লেখা তথ্যগুলো কেটে দেওয়ার জন্য জোর-জবরদস্তি করেন।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১০ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১৭ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২১ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২৫ মিনিট আগে