Ajker Patrika

‘প্রধান উপদেষ্টাকে সেনা ক্যুর ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন উপদেষ্টারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া আর কোনো উপদেষ্টাকে জনগণ বাংলাদেশের মনে করে না—এমন মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে সেনা অভ্যুত্থানের ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখছেন উপদেষ্টারা। অথচ এই উপদেষ্টাদের জনগণ বিশ্বাস করে না। অনেক উপদেষ্টাই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আঁতাত করে বসে আছেন নিজ নিজ স্বার্থে।’

দ্রুত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আনতে ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বানও জানান হাদী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জুলাই ঘোষণাপত্রের সমালোচনা করে হাদী বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কোনো উল্লেখ ঘোষণাপত্রে নেই। এ ছাড়া ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের স্বীকৃতি এখানে নেই। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা গণহত্যা এবং ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের স্বীকৃতিও ঘোষণাপত্রে নেই।’

জুলাই ঘোষণাপত্রে ইতিহাসের যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বাদ পড়েছে, সেগুলো যুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র।

এ সময় সেনা অভ্যুত্থান নিয়েও কথা বলেন হাদী। তিনি বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বা অন্য সেনা কর্মকর্তা ক্যু করতে পারবেন না। করলে জনগণ রাস্তায় নামবে, ক্যান্টনমেন্টের ইট খুলে আনবে।’

বাহাত্তরের সংবিধান বাতিলের দাবি জানিয়ে হাদী বলেন, ‘যে দলই ক্ষমতায় আসুক, ’৭২-র সংবিধান বাতিল করতে হবে। স্বাধীন পুলিশ কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া বদলাতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢামেকের পাশ থেকে তিন লাশ উদ্ধার

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁদের বয়স আনুমানিক ৩৪, ৪০ ও ৬০ বছর।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিঠু ফকির জানান, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনের দেয়াল ঘেঁষে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল এক ব্যক্তি। আর জরুরি বিভাগের পাশে পড়ে ছিল আরও দুজন। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মো. মিঠু ফকির আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনজনই ভবঘুরে প্রকৃতির। অসুস্থতার কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। তবুও তাঁদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। কোনো দাবিদার পাওয়া না গেলে লাশ আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট রেলস্টেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের ঘোষণার দুদিন পরই সিলেট রেলওয়ে স্টেশন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ‍দুপুরে এই অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে রেলস্টেশনের সামনে বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিপুল পুলিশও উপস্থিত ছিল।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিক মাহমুদ কবীরের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে তিনি অবৈধ স্থাপনা যাঁরা বসিয়েছেন, তাঁদের ২০ মিনিট সময় দেন সরিয়ে নেওয়ার জন্য। ২০ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন দোকান ও এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকেরা তাঁদের মালপত্র সরিয়ে নেন। পরে বুলডোজার দিয়ে স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সিলেট রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ওই এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সৈয়দপুরে ১০ শিক্ষকের কলেজে এক পরীক্ষার্থী, তবুও ফেল

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
সাতপাই উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতপাই উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কলেজটিতে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক ও দুজন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। কলেজটির পরিচিতি থাকলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র একজন। চলতি বছর এই একজন শিক্ষার্থী শুধু এক বিষয়ে (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

আজ বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, কলেজটির একমাত্র পরীক্ষার্থী দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেনি। এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে।

ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সূত্রে জানা যায়, মো. খায়রুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে ফেল করে। সে এ বছর আবার প্রতিষ্ঠানটি থেকে ফরম ফিলাপ করে ওই এক বিষয়ে সৈয়দপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন করে। ফল প্রকাশে দেখা যায়, ওই একজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে, অর্থাৎ ওই কলেজ থেকে এ বছর কেউ পাস করেনি; একজন পরীক্ষার্থী, একজনই ফেল।

সূত্রটি আরও জানায়, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে শিক্ষকেরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক ও দুজন কর্মচারী রয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দু-একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী নিয়ে কোনো রকমে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। কলেজের শিক্ষকেরাও নিয়মিত আসেন না। ক্লাস ঠিকমতো হয় না। প্রতিদিন আগেই ছুটি হয় প্রতিষ্ঠানটিতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চান না কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই তিনি শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অনাগ্রহী। আমরা স্যারকে একাধিকবার বলেও তিনি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চান না। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির জমি নিয়েও রয়েছে ঝামেলা। ১০ বছর আগে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হলেও আমরা কোনো বেতন-ভাতা পাই না।’

অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থী মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হই। এরপর ক্লাস করার জন্য অধ্যক্ষ স্যারকে কল দিলে তিনি বলেন যে, তুমি বাসায় ও প্রাইভেটে পড়ো।’

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ‘কলেজটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে একজন মাত্র শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দিয়ে ফেল করার বিষয়টি জেনেছি। কেন এমন হলো—বিষয়টি দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরের আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে, বের হচ্ছে বিষাক্ত পানি ও গ্যাস: ফায়ার সার্ভিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনগরের শিয়ালবাড়িতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনগরের শিয়ালবাড়িতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামের আগুন নেভাতে আরও সময় লাগবে। ভেতর থেকে এখন মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক পানি ও বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসছে। ফলে এই মুহূর্তে ওই এলাকা বিপজ্জনক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপনগর শিয়ালবাড়ি ঘটনাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।

কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন খুব ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যার কারণে আমরা নিজেদের সেফটি বজায় রেখে কাজ করছি। এই আগুন নির্বাপণ করতে একটু সময় লাগবে। সকাল থেকে আমরা প্রত্যেকটা গ্রাউন্ড মনিটরে দুইটা করে ডেলিভারেজ দিয়ে পানি দিচ্ছি। মোট চারটা লাইনে পানি দিচ্ছি। সকাল থেকে একটু গন্ধ বেশি ছিল। কুয়াশা আকারেও পানি দিচ্ছি। পানির সঙ্গে কেমিক্যালটা মিশে যাচ্ছে। ভেতর থেকে যে পানি আসছে—এটা আমাদের মানবদেহের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এলাকার জনগণকে এটা থেকে নিরাপদে থাকতে হবে। ৩টার দিকে আমাদের একটা বিশেষজ্ঞ দল আসবে। তারা ভিজিট করে বিস্তারিত আপনাদের বলবে।’

ভেতরে প্রবেশের বিষয়ে নজমুজ্জামান বলেন, ‘গুদামের ওখানে স্টিলের একটা গেট ছিল। আগুন লাগার পর থেকেই সেটা তালা মারা ছিল। এই তালা কেটে আমরা ভেতরে প্রবেশ করেছি। ভেতরে গ্রাউন্ড মনিটর সেট করে আসছি। সেখানে কুয়াশার মতো করে পানি দিচ্ছি, যাতে কেমিক্যালের বিক্রিয়া কমে যায় এবং এলাকার পরিবেশ নিরাপদ হয়।’

বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে কাজী নজমুজ্জামান বলেন, ‘এই গ্যাস মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নিজের নিরাপত্তার জন্য আমরা যেন সেফ পজিশনে চলে যাই। অন্ততপক্ষে অনেক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

রাসায়নিকের গুদামে মরদেহ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা গেট খুলে দেখেছি, কিন্তু আমরা সঠিকভাবে এখনো দেখতে পাইনি ভেতরে লাশ আছে কি না। আমাদের ধারণা, সেখানে লাশ থাকার সম্ভাবনা কম। কারণ, গেট বন্ধ ছিল।’

কী ধরনের কেমিক্যাল ও দ্রুত কাজ শেষ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্লিচিং পাউডার, অ্যাসিড, সোডিয়াম-বায়ো-কার্বনেট, পটাশসহ আরও কিছু কেমিক্যাল ছিল। আগুন লেগে সব এক হয়ে গেছে। ভেতরে বিস্ফোরণ হচ্ছে। সময় না দিয়ে দ্রুত কাজ করতে গেলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। আমাদের গ্রাউন্ড মনিটর সেখানে সেটআপ করে আসছি। আর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখানে কুয়াশা আকারে পানি দিয়ে এই বিক্রিয়া কমাতে হবে। আমরা সেভাবেই করছি। আমাদের আধুনিক গাড়ি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি। এ মুহূর্তে এই এলাকা বিপজ্জনক। সবাই নিরাপদে থাকুন। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে গেলে দ্রুত অ্যাকশনে যাওয়া যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক: আলী রীয়াজ

রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে ভারত—ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বলল নয়াদিল্লি

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত