নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চারদিকে চিৎকার-চেঁচামেচি। গাড়িগুলোর পোঁ-পোঁ শব্দ। ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, রিকশা সব যেন এক জায়গায় জটলা বেঁধেছে। কোনো দিকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে সবাই। সেই জট ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীজুড়ে; কিন্তু কোথাও কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। শেষমেশ ভুক্তভোগী যাত্রীরা রাস্তায় নেমে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের দৃশ্য এটি। শুধু শাহবাগ নয়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, সায়েন্স ল্যাব, বিজয় সরণিসহ নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়ক ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর সড়কের এমন বেহাল দশার কারণ সন্ধ্যা নামার পরই যানজট রেখে প্রতিদিন সড়ক ছেড়ে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, রাতে তাঁদের কেউ দায়িত্ব পালন করতে চান না। তাঁদের ভয়, দীর্ঘদিনের রাগ ও ক্ষোভের কারণে কেউ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে।
কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাতের ঢাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শাহবাগ মোড়ে শাকিল নামের একজন চাকরিজীবী বলেন, ‘অফিস ছুটির পর প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে এখানে আটকে থাকতে হয়। কোনো ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। দুই-তিন দিন ধরে মোড়ে এসে নিজে রাস্তায় নেমে জট সরিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করি। কিন্তু এত এত গাড়ি জমে থাকে, যা ঠেলে বের হওয়া সম্ভব হয় না। সব পরিবর্তন হয়; কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ হয় না।’
গত জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন তুমুল গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই আন্দোলনে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ৪০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হন। আতঙ্কে বেশির ভাগ থানা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। সড়ক ছেড়ে ট্রাফিক চলে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ পর আবার ফিরে এসে কার্যক্রম শুরু করলেও আগের মতো গতি নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি, ট্রাফিক) সূত্র বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য স্বাভাবিক সময়ে দিনে যেখানে ৫-৭ হাজারের মতো মামলা দিত পুলিশ। সেখানে গত ১০ দিনে কোনো মামলাই করেনি ট্রাফিক পুলিশ।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে আমার সদ্য বদলি হওয়ায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
এদিকে ৩৭ দিন পর গতকাল রোববার সকাল থেকে মেট্রোরেল পরিষেবা আবার চালু হলেও রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। বিভিন্ন দাবি আদায়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করে রাখার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কাঁটাবন, সায়েন্স ল্যাব ও ধানমন্ডি এলাকায় যানবাহন চলাচলের গতি কমে যাওয়ায় এসব সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ সড়কে গাড়ি আটকে থাকার কারণে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে অনেককে।
মহাখালী এলাকার সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, ‘কয়েকটি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু মানুষ রমনা সড়ক অবরোধ করে। ফলে মহাখালী থেকে মগবাজার, কাকরাইল হয়ে রমনা পর্যন্ত যান চলাচল এক ঘণ্টা ব্যাহত হয়, এতে ওই সব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ওয়াসিম আহমেদ নামের একজন বলেন, এই শহরে দাবির শেষ নেই। দিন হলেই লোকজন দাবি আদায়ে রাস্তায় নামছে। গাড়ি আটকে দিচ্ছে। আর রাত হলেই ট্রাফিক পুলিশ চলে যাচ্ছে। এতে দিনরাত রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। যত ভোগান্তি আর দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের।
চারদিকে চিৎকার-চেঁচামেচি। গাড়িগুলোর পোঁ-পোঁ শব্দ। ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, রিকশা সব যেন এক জায়গায় জটলা বেঁধেছে। কোনো দিকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে সবাই। সেই জট ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানীজুড়ে; কিন্তু কোথাও কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। শেষমেশ ভুক্তভোগী যাত্রীরা রাস্তায় নেমে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছেন।
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের দৃশ্য এটি। শুধু শাহবাগ নয়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, সায়েন্স ল্যাব, বিজয় সরণিসহ নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়ক ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর সড়কের এমন বেহাল দশার কারণ সন্ধ্যা নামার পরই যানজট রেখে প্রতিদিন সড়ক ছেড়ে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, রাতে তাঁদের কেউ দায়িত্ব পালন করতে চান না। তাঁদের ভয়, দীর্ঘদিনের রাগ ও ক্ষোভের কারণে কেউ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে।
কিন্তু পুলিশ সদস্যদের সড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ায় রাতের ঢাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শাহবাগ মোড়ে শাকিল নামের একজন চাকরিজীবী বলেন, ‘অফিস ছুটির পর প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে এখানে আটকে থাকতে হয়। কোনো ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। দুই-তিন দিন ধরে মোড়ে এসে নিজে রাস্তায় নেমে জট সরিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করি। কিন্তু এত এত গাড়ি জমে থাকে, যা ঠেলে বের হওয়া সম্ভব হয় না। সব পরিবর্তন হয়; কিন্তু সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ হয় না।’
গত জুলাই থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন তুমুল গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই আন্দোলনে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ৪০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হন। আতঙ্কে বেশির ভাগ থানা পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। সড়ক ছেড়ে ট্রাফিক চলে যায়। প্রায় এক সপ্তাহ পর আবার ফিরে এসে কার্যক্রম শুরু করলেও আগের মতো গতি নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি, ট্রাফিক) সূত্র বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য স্বাভাবিক সময়ে দিনে যেখানে ৫-৭ হাজারের মতো মামলা দিত পুলিশ। সেখানে গত ১০ দিনে কোনো মামলাই করেনি ট্রাফিক পুলিশ।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে আমার সদ্য বদলি হওয়ায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
এদিকে ৩৭ দিন পর গতকাল রোববার সকাল থেকে মেট্রোরেল পরিষেবা আবার চালু হলেও রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট দেখা যায়। বিভিন্ন দাবি আদায়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করে রাখার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মৎস্য ভবন, শাহবাগ, কাঁটাবন, সায়েন্স ল্যাব ও ধানমন্ডি এলাকায় যানবাহন চলাচলের গতি কমে যাওয়ায় এসব সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ সড়কে গাড়ি আটকে থাকার কারণে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে অনেককে।
মহাখালী এলাকার সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, ‘কয়েকটি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু মানুষ রমনা সড়ক অবরোধ করে। ফলে মহাখালী থেকে মগবাজার, কাকরাইল হয়ে রমনা পর্যন্ত যান চলাচল এক ঘণ্টা ব্যাহত হয়, এতে ওই সব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ওয়াসিম আহমেদ নামের একজন বলেন, এই শহরে দাবির শেষ নেই। দিন হলেই লোকজন দাবি আদায়ে রাস্তায় নামছে। গাড়ি আটকে দিচ্ছে। আর রাত হলেই ট্রাফিক পুলিশ চলে যাচ্ছে। এতে দিনরাত রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। যত ভোগান্তি আর দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২২ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৫ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪০ মিনিট আগে