ঢামেক প্রতিবেদক ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ একে একে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারীদের মর্গে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত পড়ে ছিল দুটি নিথর দেহ। মাথায় ঝুঁটি, গায়ে অফ হোয়াইট জামা, নীল প্যান্ট, পায়ে গোলাপি মোজা, শান্ত স্তিমিত মুখটা দেখে বোঝার উপায় ছিল না শিশুটির দেহে প্রাণ নেই। পাশে পড়ে থাকা নারীটি কি শিশুর মা নাকি অন্য কেউ সেটিও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না।
অবশেষে গতকাল রাতে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। মর্গে পড়ে থাকা শিশুটির নাম ফাইরুজ কাশেম জামিরা (৪)। আর পাশের নারীটি তার মা মেহেরুন্নেছা হেলালী মিনা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবাও প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন (৩৪)।
মেহেরুন্নেছার বাবা মোক্তার আলম হেলালী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে রাত ৯টায় তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
মোক্তার আলম বলেন, ‘আমি ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকার কাকরাইলে একটি হোটেলে ছিলাম। ছোট মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়ে মেহেরুন্নেছার বাসায় নাশতা করে আসি। মেয়ের জামাই শাহজালাল উদ্দিন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। তার অফিস ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও এলাকায়। শাহজালালের বাড়ি কক্সবাজার উখিয়া থানার পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল কাশেম। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় থাকত। শাহজালাল অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি পেয়েছিল। সেই ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে খাগড়াছড়ি ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেই অনুযায়ী রাজারবাগ এলাকায় গ্রিন লাইন বাসের টিকিটও কেটেছিল। রাতে রওনা দেওয়ার কথা। সে জন্য সন্ধ্যায় তিনজন বাসা থেকে রওনা হয়। বেইলি রোডে ওই ভবনের কোনো একটি রেস্টুরেন্টে হয়তো খাবার খেতে উঠেছিল তারা।’
আজ শনিবার সকালে উখিয়ার উদ্দেশে তিনজনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় মরদেহ উখিয়ার বাড়িতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শাহজালালের বড় ভাই হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু বলেন, আগামীকাল রোববার তাঁদের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, শাহজালালের পুরো পরিবারের অকাল মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে এলাকার মানুষ শোকাহত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০১৮ সালে কাস্টমসে রেভিনিউ কালেক্টর (নন-ক্যাডার) হিসেবে যোগদান করেছিলেন শাহজালাল উদ্দিন। তাঁর স্ত্রী মিনা কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মরদেহ একে একে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারীদের মর্গে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত পড়ে ছিল দুটি নিথর দেহ। মাথায় ঝুঁটি, গায়ে অফ হোয়াইট জামা, নীল প্যান্ট, পায়ে গোলাপি মোজা, শান্ত স্তিমিত মুখটা দেখে বোঝার উপায় ছিল না শিশুটির দেহে প্রাণ নেই। পাশে পড়ে থাকা নারীটি কি শিশুর মা নাকি অন্য কেউ সেটিও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না।
অবশেষে গতকাল রাতে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। মর্গে পড়ে থাকা শিশুটির নাম ফাইরুজ কাশেম জামিরা (৪)। আর পাশের নারীটি তার মা মেহেরুন্নেছা হেলালী মিনা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবাও প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন (৩৪)।
মেহেরুন্নেছার বাবা মোক্তার আলম হেলালী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে রাত ৯টায় তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
মোক্তার আলম বলেন, ‘আমি ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকার কাকরাইলে একটি হোটেলে ছিলাম। ছোট মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়ে মেহেরুন্নেছার বাসায় নাশতা করে আসি। মেয়ের জামাই শাহজালাল উদ্দিন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। তার অফিস ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও এলাকায়। শাহজালালের বাড়ি কক্সবাজার উখিয়া থানার পূর্ব গোয়ালিয়া গ্রামে। বাবা মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল কাশেম। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় থাকত। শাহজালাল অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি পেয়েছিল। সেই ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে খাগড়াছড়ি ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেই অনুযায়ী রাজারবাগ এলাকায় গ্রিন লাইন বাসের টিকিটও কেটেছিল। রাতে রওনা দেওয়ার কথা। সে জন্য সন্ধ্যায় তিনজন বাসা থেকে রওনা হয়। বেইলি রোডে ওই ভবনের কোনো একটি রেস্টুরেন্টে হয়তো খাবার খেতে উঠেছিল তারা।’
আজ শনিবার সকালে উখিয়ার উদ্দেশে তিনজনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় মরদেহ উখিয়ার বাড়িতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শাহজালালের বড় ভাই হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু বলেন, আগামীকাল রোববার তাঁদের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, শাহজালালের পুরো পরিবারের অকাল মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে এলাকার মানুষ শোকাহত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০১৮ সালে কাস্টমসে রেভিনিউ কালেক্টর (নন-ক্যাডার) হিসেবে যোগদান করেছিলেন শাহজালাল উদ্দিন। তাঁর স্ত্রী মিনা কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের ভেতর বসানো হয়েছে সিসা গলানোর অবৈধ কারখানা। সেখানে পরিত্যক্ত ব্যাটারির অংশগুলো মাটির বড় বড় চুলায় পুড়িয়ে তরল সিসা সংগ্রহ করে জমাট বাঁধানো হয়। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে ভোররাত পর্যন্ত চলা...
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আবদুল্লাহপুরে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) মসৃণ উড়ালসড়ক সিঙ্গাপুরের সড়কে চলার আমেজ দিলেও নিচের অংশ রয়ে গেছে আগের চেহারায়। খানাখন্দে ভরা নিচের অংশে হেলেদুলে চলে যানবাহন। বেহাল সড়কে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
৩ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ দিন ধরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৭ জন। ফলে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
৩ ঘণ্টা আগেহত্যা মামলাটি চলছে ৩৫ বছর ধরে। এর মধ্যে ১৮ বছর আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বাদী মারা গেছেন ২০০৯ সালে। রায়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে পরপর আট দফায়। কিন্তু রায় আর হয়নি। ভুক্তভোগীর পরিবারের অপেক্ষার পালাও শেষ হয় না। মামলায় রায়ের তারিখ উল্টে আবার যুক্তিতর্কের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালত।
৪ ঘণ্টা আগে