নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে টানা ৩২ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করে রাখা ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মকে অবশেষে অবরোধ তুলে সরে যেতে বাধ্য করেছে একদল ছাত্র-জনতা। তারা নিজেদের ‘প্রকৃত’ জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওই আন্দোলনকারীদের ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুটা লাঠিপেটা করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর ফলে দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা পর শাহবাগ এবং আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা খুব বেশি লাঠিপেটা করিনি। যাঁরা এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা দাবি করেছেন—ভুয়া পরিচয়ে কেউ শাহবাগ অবরোধ করে থাকলে প্রকৃত যোদ্ধাদের সুনাম নষ্ট হয়। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, আর তা দেখে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রকৃত আহত তরুণেরা শাহবাগে এসে তাঁদের উঠিয়ে দিয়েছেন। দুই পক্ষের কারণে যেন বড় ধরনের কোনো ঝামেলা না হয়, পুলিশ সেটা দেখেছে।’
আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া ‘প্রকৃত’ জুলাই যোদ্ধাদের একজন আব্দুল খালেক বলেন, ‘সরকার যদি সনদ না দেয়, আমরা ৫ তারিখে আবার নামব। কিন্তু দিনের পর দিন মানুষকে কষ্ট দিয়ে আমরা আন্দোলন করতে চাই না। তারা কিছু স্বার্থ নিয়ে এখানে বসেছিল।’
এর আগে সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ মোড়জুড়ে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে বসে ছিলেন ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’-এর সদস্যরা। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘জুলাই সনদ দিতে হবে’, ‘টালবাহানা চলবে না’, ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জবাব দাও’। এর ফলে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাটাবন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী ও স্বজনেরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
পথচারী লিয়াকত হোসেন বলেন, এক ঘণ্টার পথ এখন তিন ঘণ্টা লাগছে, এটা মেনে নেওয়া কঠিন। মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার ছেলেও একজন জুলাই যোদ্ধা। শাহবাগ অবরোধের কারণে গাড়ি আটকে থাকায় ফার্মগেট নেমে বৃষ্টির মধ্যেই হেঁটে হেঁটে ঢাকা মেডিকেল যাচ্ছি।’ তিনি এই দুর্ভোগ দেখে আক্ষেপ করে বলেন, নতুন বাংলাদেশে তো এমন হওয়ার কথা ছিল না।
এদিকে বিকেলে হঠাৎ করেই একদল তরুণ শাহবাগে ঢুকে অবরোধকারীদের ব্যারিকেড ভেঙে দেন। তাঁদের ‘ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়ে সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতি হয়। পরে অবরোধকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ‘প্রকৃত’ জুলাই যোদ্ধা দাবি করে এক তরুণ বলেন, ‘সরকার তো ঘোষণা দিয়েছে, তবু জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে তারা এখানে পড়ে আছে। গতকালও তাদের বলেছিলাম সরে যেতে, তারা শোনেনি।’ তিনি নিজের জুলাই-আহত কার্ড বের করে দেখান।
প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন ধরে অবরোধ চলছে, মানুষ অতিষ্ঠ। এখন বুঝতে পারছি, যারা আজ এসে সরিয়ে দিল, তারাই আসল। তারা গুলির চিহ্ন দেখিয়েছে, পরিচয়পত্র দেখিয়েছে।’
শাহবাগ থানা-পুলিশ বলছে, শুরুতে কিছুটা সংঘর্ষ হলেও পরে অবরোধকারীরা পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত পর্যন্ত শাহবাগ এলাকায় কোনো পক্ষের অবস্থান ছিল না এবং যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক।
জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে টানা ৩২ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করে রাখা ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মকে অবশেষে অবরোধ তুলে সরে যেতে বাধ্য করেছে একদল ছাত্র-জনতা। তারা নিজেদের ‘প্রকৃত’ জুলাই যোদ্ধা দাবি করে ওই আন্দোলনকারীদের ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুটা লাঠিপেটা করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর ফলে দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা পর শাহবাগ এবং আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা খুব বেশি লাঠিপেটা করিনি। যাঁরা এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা দাবি করেছেন—ভুয়া পরিচয়ে কেউ শাহবাগ অবরোধ করে থাকলে প্রকৃত যোদ্ধাদের সুনাম নষ্ট হয়। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, আর তা দেখে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রকৃত আহত তরুণেরা শাহবাগে এসে তাঁদের উঠিয়ে দিয়েছেন। দুই পক্ষের কারণে যেন বড় ধরনের কোনো ঝামেলা না হয়, পুলিশ সেটা দেখেছে।’
আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া ‘প্রকৃত’ জুলাই যোদ্ধাদের একজন আব্দুল খালেক বলেন, ‘সরকার যদি সনদ না দেয়, আমরা ৫ তারিখে আবার নামব। কিন্তু দিনের পর দিন মানুষকে কষ্ট দিয়ে আমরা আন্দোলন করতে চাই না। তারা কিছু স্বার্থ নিয়ে এখানে বসেছিল।’
এর আগে সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ মোড়জুড়ে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে বসে ছিলেন ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’-এর সদস্যরা। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘জুলাই সনদ দিতে হবে’, ‘টালবাহানা চলবে না’, ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জবাব দাও’। এর ফলে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কাটাবন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী ও স্বজনেরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
পথচারী লিয়াকত হোসেন বলেন, এক ঘণ্টার পথ এখন তিন ঘণ্টা লাগছে, এটা মেনে নেওয়া কঠিন। মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার ছেলেও একজন জুলাই যোদ্ধা। শাহবাগ অবরোধের কারণে গাড়ি আটকে থাকায় ফার্মগেট নেমে বৃষ্টির মধ্যেই হেঁটে হেঁটে ঢাকা মেডিকেল যাচ্ছি।’ তিনি এই দুর্ভোগ দেখে আক্ষেপ করে বলেন, নতুন বাংলাদেশে তো এমন হওয়ার কথা ছিল না।
এদিকে বিকেলে হঠাৎ করেই একদল তরুণ শাহবাগে ঢুকে অবরোধকারীদের ব্যারিকেড ভেঙে দেন। তাঁদের ‘ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়ে সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতি হয়। পরে অবরোধকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। ‘প্রকৃত’ জুলাই যোদ্ধা দাবি করে এক তরুণ বলেন, ‘সরকার তো ঘোষণা দিয়েছে, তবু জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে তারা এখানে পড়ে আছে। গতকালও তাদের বলেছিলাম সরে যেতে, তারা শোনেনি।’ তিনি নিজের জুলাই-আহত কার্ড বের করে দেখান।
প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দিন ধরে অবরোধ চলছে, মানুষ অতিষ্ঠ। এখন বুঝতে পারছি, যারা আজ এসে সরিয়ে দিল, তারাই আসল। তারা গুলির চিহ্ন দেখিয়েছে, পরিচয়পত্র দেখিয়েছে।’
শাহবাগ থানা-পুলিশ বলছে, শুরুতে কিছুটা সংঘর্ষ হলেও পরে অবরোধকারীরা পুরোপুরি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত পর্যন্ত শাহবাগ এলাকায় কোনো পক্ষের অবস্থান ছিল না এবং যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক।
রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটকে তিন-চার বছর আগেও অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। আজ শনিবার (২ আগস্ট) সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকের এ তথ্য জানান ফায়ার
৫ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় হাত ও পায়ে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২ আগস্ট) সকালে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের বেতগাড়া রাঙ্গার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেদ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সরকারি ভাতা না পাওয়া সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের বিধবা মোছা. শাহীদা বেগমের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁকে ডেকে নিয়ে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হয়। আজ শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
৩৩ মিনিট আগেনিহতের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামে। বাবার নাম রহিম মোল্লা। খিলগাঁও সিপাহীবাগ উত্তর গোড়ান চারতলা গলি এলাকায় এক ভাড়া বাসায় স্ত্রী আকলিমা বেগমসহ দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন তিনি। কাছেই পুড়ি-সিঙারা বিক্রি করতেন।
১ ঘণ্টা আগে