উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ (২৬) ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার (২৬) পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। কৌশলে সবুজকে ডেকে নিয়ে এসে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরো করে কার্টনে ভরে কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ফেলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর উত্তরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
এসপি মো. কুদরত-ই-খুদা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ৩ এপ্রিল ভোরে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হন। পরবর্তী সময় তাঁর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা ওই দিনই সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন।
পরদিন (৪ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে দুটি কার্টনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে মুন্সিগঞ্জের মেদিনা মণ্ডল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে একই ধরনের কার্টনে পলিথিন ও স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের মাথা ও শরীরের কিছু খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। মরদেহের খণ্ডগুলো পদ্মা সেতু (উত্তর) ও কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
পরে সবুজের পরিবারের লোকজন খণ্ডিত মরদেহের মুখ ও হাত-পায়ের অংশ দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার দুই দিন পর (৬ এপ্রিল) ভিকটিমের বাবা ইউসুফ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে হত্যা মামলা করেন।

এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘পিবিআই তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। হত্যার পর তৃষা ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নিজ গ্রাম ফেনীতে এবং পলাশ চুয়াডাঙ্গার নিজ গ্রামের পাশে খালুর বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।’
এসপি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পলাশ তৃষাকে ৮ এপ্রিল বাসে করে জীবননগরে যাওয়ার জন্য বলেন। তৃষা সেখানে যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস কাউন্টারে আসেন। এদিকে নজরদারিতে থাকা পিবিআইয়ের দুজন সেখানে এবং চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান নেন। তৃষার সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয় বাসে ওঠেন। ওই সময় পুলিশের দুজনও যাত্রীবেশে সেই বাসে ছিলেন। পরবর্তীকালে জীবননগরে বাসটি পৌঁছালে পলাশের ভাই শুভ ও তাঁর বাবা আকবর আলী তাঁদের রিসিভ করেন। ওই সময় তৃষাসহ তাঁদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। আর শুভ ও তাঁর বাবার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে পলাশকে তাঁর খালুর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে সুস্থভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে মুচলেকা নিয়ে শুভ ও আকবরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসপি কুদরত বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত আইফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, একটি কার্টন ও লাশ গুমের ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে দুই মাস আগে ভিকটিম সবুজ ও তৃষার পরিচয় হয়। তাঁদের দুজনেরই ফেক (নকল) আইডি ছিল। পরবর্তীকালে তাঁরা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নগ্ন ভিডিও আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে তৃষার কথিত স্বামী পলাশও ফেক আইডি চালাতেন। একপর্যায়ে তৃষা ও সবুজের মধ্যে সম্পর্কের কথা জেনে যান পলাশ। তৃষা পলাশকে জানান, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে সবুজ এসব করেছেন। পরে পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে নিয়ে এসে চরম শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তৃষা ঢাকার মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করেন। আর পলাশ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে। ২ এপ্রিল সকালে পলাশ ঢাকায় আসেন। ওই রাতেই নতুন সিম কার্ড কিনে তা তৃষাকে দিয়ে সবুজকে ডাকতে বলেন পলাশ। কথামতো ৩ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তৃষা সবুজকে ফোন করে অনৈতিক কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বছিলার ৪০ ফিট এলাকার পাশের ১০ তলার পলাশের মেসে আসতে বলেন।
সেখানে তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটের আলাদা রুমে থাকতেন পলাশ। সবুজ আসার খবরে টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন পলাশ। ওই ফ্ল্যাটে সবুজ আসার পর তৃষা সবুজের ফোন চেক করে নগ্ন ভিডিও খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে লুকিয়ে থাকা পলাশ বের হয়ে সবুজকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন এবং রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে পিঠে ও মাথায় আঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পলাশ নিজেও সামান্য জখম হন। পরবর্তীকালে ছুরিকাঘাতে সবুজের মৃত্যু হয়।
লাশের হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলেও রক্তের কারণে তা বাঁধতে পারেননি তাঁরা। পরে মৃতদেহ গুম করতে তৃষার পরামর্শে তাঁরা গ্লাভস পরে লাশ টুকরো টুকরো করে ৯ ভাগ করেন। এরপর সবুজের মোবাইল ফোনটি ভেঙে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি একটি পলিথিনে ভরে পাশের ডোবায় ফেলে দেন। অন্যদিকে চারটি কার্টনে মরদেহের খণ্ডিত অংশ ভরে দুটি মুন্সিগঞ্জের মেদিনী মণ্ডল এলাকায় এবং দুটি কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে প্রাইভেট কার ভাড়া করে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক জামাল বলেন, ‘তৃষা ও পলাশ স্বামী-স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা ২০২৩ সালে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ছেলে ও মেয়ের ফ্যামিলির কেউ সেটি জানেন না। অপর দিকে পলাশের রুমমেটরা জানিয়েছেন—পলাশ ও তৃষা প্রেমিক-প্রেমিকা।’
গ্রেপ্তারের পর পলাশ ও তাঁর কথিত স্ত্রী তৃষাকে আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও একই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক জামাল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ (২৬) ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার (২৬) পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। কৌশলে সবুজকে ডেকে নিয়ে এসে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরো করে কার্টনে ভরে কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ফেলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর উত্তরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
এসপি মো. কুদরত-ই-খুদা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ৩ এপ্রিল ভোরে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হন। পরবর্তী সময় তাঁর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা ওই দিনই সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন।
পরদিন (৪ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে দুটি কার্টনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে মুন্সিগঞ্জের মেদিনা মণ্ডল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে একই ধরনের কার্টনে পলিথিন ও স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের মাথা ও শরীরের কিছু খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। মরদেহের খণ্ডগুলো পদ্মা সেতু (উত্তর) ও কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
পরে সবুজের পরিবারের লোকজন খণ্ডিত মরদেহের মুখ ও হাত-পায়ের অংশ দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার দুই দিন পর (৬ এপ্রিল) ভিকটিমের বাবা ইউসুফ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে হত্যা মামলা করেন।

এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘পিবিআই তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। হত্যার পর তৃষা ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নিজ গ্রাম ফেনীতে এবং পলাশ চুয়াডাঙ্গার নিজ গ্রামের পাশে খালুর বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।’
এসপি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পলাশ তৃষাকে ৮ এপ্রিল বাসে করে জীবননগরে যাওয়ার জন্য বলেন। তৃষা সেখানে যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস কাউন্টারে আসেন। এদিকে নজরদারিতে থাকা পিবিআইয়ের দুজন সেখানে এবং চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান নেন। তৃষার সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয় বাসে ওঠেন। ওই সময় পুলিশের দুজনও যাত্রীবেশে সেই বাসে ছিলেন। পরবর্তীকালে জীবননগরে বাসটি পৌঁছালে পলাশের ভাই শুভ ও তাঁর বাবা আকবর আলী তাঁদের রিসিভ করেন। ওই সময় তৃষাসহ তাঁদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। আর শুভ ও তাঁর বাবার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে পলাশকে তাঁর খালুর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে সুস্থভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে মুচলেকা নিয়ে শুভ ও আকবরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসপি কুদরত বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত আইফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, একটি কার্টন ও লাশ গুমের ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে দুই মাস আগে ভিকটিম সবুজ ও তৃষার পরিচয় হয়। তাঁদের দুজনেরই ফেক (নকল) আইডি ছিল। পরবর্তীকালে তাঁরা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নগ্ন ভিডিও আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে তৃষার কথিত স্বামী পলাশও ফেক আইডি চালাতেন। একপর্যায়ে তৃষা ও সবুজের মধ্যে সম্পর্কের কথা জেনে যান পলাশ। তৃষা পলাশকে জানান, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে সবুজ এসব করেছেন। পরে পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে নিয়ে এসে চরম শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তৃষা ঢাকার মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করেন। আর পলাশ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে। ২ এপ্রিল সকালে পলাশ ঢাকায় আসেন। ওই রাতেই নতুন সিম কার্ড কিনে তা তৃষাকে দিয়ে সবুজকে ডাকতে বলেন পলাশ। কথামতো ৩ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তৃষা সবুজকে ফোন করে অনৈতিক কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বছিলার ৪০ ফিট এলাকার পাশের ১০ তলার পলাশের মেসে আসতে বলেন।
সেখানে তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটের আলাদা রুমে থাকতেন পলাশ। সবুজ আসার খবরে টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন পলাশ। ওই ফ্ল্যাটে সবুজ আসার পর তৃষা সবুজের ফোন চেক করে নগ্ন ভিডিও খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে লুকিয়ে থাকা পলাশ বের হয়ে সবুজকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন এবং রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে পিঠে ও মাথায় আঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পলাশ নিজেও সামান্য জখম হন। পরবর্তীকালে ছুরিকাঘাতে সবুজের মৃত্যু হয়।
লাশের হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলেও রক্তের কারণে তা বাঁধতে পারেননি তাঁরা। পরে মৃতদেহ গুম করতে তৃষার পরামর্শে তাঁরা গ্লাভস পরে লাশ টুকরো টুকরো করে ৯ ভাগ করেন। এরপর সবুজের মোবাইল ফোনটি ভেঙে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি একটি পলিথিনে ভরে পাশের ডোবায় ফেলে দেন। অন্যদিকে চারটি কার্টনে মরদেহের খণ্ডিত অংশ ভরে দুটি মুন্সিগঞ্জের মেদিনী মণ্ডল এলাকায় এবং দুটি কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে প্রাইভেট কার ভাড়া করে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক জামাল বলেন, ‘তৃষা ও পলাশ স্বামী-স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা ২০২৩ সালে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ছেলে ও মেয়ের ফ্যামিলির কেউ সেটি জানেন না। অপর দিকে পলাশের রুমমেটরা জানিয়েছেন—পলাশ ও তৃষা প্রেমিক-প্রেমিকা।’
গ্রেপ্তারের পর পলাশ ও তাঁর কথিত স্ত্রী তৃষাকে আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও একই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক জামাল।
উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ (২৬) ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার (২৬) পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। কৌশলে সবুজকে ডেকে নিয়ে এসে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরো করে কার্টনে ভরে কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ফেলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর উত্তরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
এসপি মো. কুদরত-ই-খুদা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ৩ এপ্রিল ভোরে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হন। পরবর্তী সময় তাঁর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা ওই দিনই সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন।
পরদিন (৪ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে দুটি কার্টনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে মুন্সিগঞ্জের মেদিনা মণ্ডল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে একই ধরনের কার্টনে পলিথিন ও স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের মাথা ও শরীরের কিছু খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। মরদেহের খণ্ডগুলো পদ্মা সেতু (উত্তর) ও কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
পরে সবুজের পরিবারের লোকজন খণ্ডিত মরদেহের মুখ ও হাত-পায়ের অংশ দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার দুই দিন পর (৬ এপ্রিল) ভিকটিমের বাবা ইউসুফ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে হত্যা মামলা করেন।

এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘পিবিআই তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। হত্যার পর তৃষা ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নিজ গ্রাম ফেনীতে এবং পলাশ চুয়াডাঙ্গার নিজ গ্রামের পাশে খালুর বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।’
এসপি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পলাশ তৃষাকে ৮ এপ্রিল বাসে করে জীবননগরে যাওয়ার জন্য বলেন। তৃষা সেখানে যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস কাউন্টারে আসেন। এদিকে নজরদারিতে থাকা পিবিআইয়ের দুজন সেখানে এবং চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান নেন। তৃষার সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয় বাসে ওঠেন। ওই সময় পুলিশের দুজনও যাত্রীবেশে সেই বাসে ছিলেন। পরবর্তীকালে জীবননগরে বাসটি পৌঁছালে পলাশের ভাই শুভ ও তাঁর বাবা আকবর আলী তাঁদের রিসিভ করেন। ওই সময় তৃষাসহ তাঁদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। আর শুভ ও তাঁর বাবার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে পলাশকে তাঁর খালুর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে সুস্থভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে মুচলেকা নিয়ে শুভ ও আকবরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসপি কুদরত বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত আইফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, একটি কার্টন ও লাশ গুমের ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে দুই মাস আগে ভিকটিম সবুজ ও তৃষার পরিচয় হয়। তাঁদের দুজনেরই ফেক (নকল) আইডি ছিল। পরবর্তীকালে তাঁরা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নগ্ন ভিডিও আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে তৃষার কথিত স্বামী পলাশও ফেক আইডি চালাতেন। একপর্যায়ে তৃষা ও সবুজের মধ্যে সম্পর্কের কথা জেনে যান পলাশ। তৃষা পলাশকে জানান, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে সবুজ এসব করেছেন। পরে পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে নিয়ে এসে চরম শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তৃষা ঢাকার মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করেন। আর পলাশ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে। ২ এপ্রিল সকালে পলাশ ঢাকায় আসেন। ওই রাতেই নতুন সিম কার্ড কিনে তা তৃষাকে দিয়ে সবুজকে ডাকতে বলেন পলাশ। কথামতো ৩ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তৃষা সবুজকে ফোন করে অনৈতিক কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বছিলার ৪০ ফিট এলাকার পাশের ১০ তলার পলাশের মেসে আসতে বলেন।
সেখানে তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটের আলাদা রুমে থাকতেন পলাশ। সবুজ আসার খবরে টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন পলাশ। ওই ফ্ল্যাটে সবুজ আসার পর তৃষা সবুজের ফোন চেক করে নগ্ন ভিডিও খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে লুকিয়ে থাকা পলাশ বের হয়ে সবুজকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন এবং রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে পিঠে ও মাথায় আঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পলাশ নিজেও সামান্য জখম হন। পরবর্তীকালে ছুরিকাঘাতে সবুজের মৃত্যু হয়।
লাশের হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলেও রক্তের কারণে তা বাঁধতে পারেননি তাঁরা। পরে মৃতদেহ গুম করতে তৃষার পরামর্শে তাঁরা গ্লাভস পরে লাশ টুকরো টুকরো করে ৯ ভাগ করেন। এরপর সবুজের মোবাইল ফোনটি ভেঙে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি একটি পলিথিনে ভরে পাশের ডোবায় ফেলে দেন। অন্যদিকে চারটি কার্টনে মরদেহের খণ্ডিত অংশ ভরে দুটি মুন্সিগঞ্জের মেদিনী মণ্ডল এলাকায় এবং দুটি কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে প্রাইভেট কার ভাড়া করে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক জামাল বলেন, ‘তৃষা ও পলাশ স্বামী-স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা ২০২৩ সালে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ছেলে ও মেয়ের ফ্যামিলির কেউ সেটি জানেন না। অপর দিকে পলাশের রুমমেটরা জানিয়েছেন—পলাশ ও তৃষা প্রেমিক-প্রেমিকা।’
গ্রেপ্তারের পর পলাশ ও তাঁর কথিত স্ত্রী তৃষাকে আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও একই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক জামাল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ (২৬) ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার (২৬) পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। কৌশলে সবুজকে ডেকে নিয়ে এসে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরো করে কার্টনে ভরে কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ফেলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর উত্তরার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।
এসপি মো. কুদরত-ই-খুদা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ৩ এপ্রিল ভোরে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হন। পরবর্তী সময় তাঁর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা ওই দিনই সাভার মডেল থানায় নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করেন।
পরদিন (৪ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে দুটি কার্টনে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে মুন্সিগঞ্জের মেদিনা মণ্ডল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে একই ধরনের কার্টনে পলিথিন ও স্কচটেপে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের মাথা ও শরীরের কিছু খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। মরদেহের খণ্ডগুলো পদ্মা সেতু (উত্তর) ও কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
পরে সবুজের পরিবারের লোকজন খণ্ডিত মরদেহের মুখ ও হাত-পায়ের অংশ দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার দুই দিন পর (৬ এপ্রিল) ভিকটিমের বাবা ইউসুফ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে হত্যা মামলা করেন।

এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘পিবিআই তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। হত্যার পর তৃষা ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে নিজ গ্রাম ফেনীতে এবং পলাশ চুয়াডাঙ্গার নিজ গ্রামের পাশে খালুর বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।’
এসপি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পলাশ তৃষাকে ৮ এপ্রিল বাসে করে জীবননগরে যাওয়ার জন্য বলেন। তৃষা সেখানে যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস কাউন্টারে আসেন। এদিকে নজরদারিতে থাকা পিবিআইয়ের দুজন সেখানে এবং চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান নেন। তৃষার সঙ্গে তাঁর এক আত্মীয় বাসে ওঠেন। ওই সময় পুলিশের দুজনও যাত্রীবেশে সেই বাসে ছিলেন। পরবর্তীকালে জীবননগরে বাসটি পৌঁছালে পলাশের ভাই শুভ ও তাঁর বাবা আকবর আলী তাঁদের রিসিভ করেন। ওই সময় তৃষাসহ তাঁদের হেফাজতে নেয় পিবিআই। আর শুভ ও তাঁর বাবার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে পলাশকে তাঁর খালুর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে সুস্থভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে মুচলেকা নিয়ে শুভ ও আকবরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসপি কুদরত বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ এপ্রিল ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত আইফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, একটি কার্টন ও লাশ গুমের ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে দুই মাস আগে ভিকটিম সবুজ ও তৃষার পরিচয় হয়। তাঁদের দুজনেরই ফেক (নকল) আইডি ছিল। পরবর্তীকালে তাঁরা মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নগ্ন ভিডিও আদান-প্রদান করেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্যদিকে তৃষার কথিত স্বামী পলাশও ফেক আইডি চালাতেন। একপর্যায়ে তৃষা ও সবুজের মধ্যে সম্পর্কের কথা জেনে যান পলাশ। তৃষা পলাশকে জানান, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে সবুজ এসব করেছেন। পরে পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে নিয়ে এসে চরম শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তৃষা ঢাকার মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটিতে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করেন। আর পলাশ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে। ২ এপ্রিল সকালে পলাশ ঢাকায় আসেন। ওই রাতেই নতুন সিম কার্ড কিনে তা তৃষাকে দিয়ে সবুজকে ডাকতে বলেন পলাশ। কথামতো ৩ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তৃষা সবুজকে ফোন করে অনৈতিক কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বছিলার ৪০ ফিট এলাকার পাশের ১০ তলার পলাশের মেসে আসতে বলেন।
সেখানে তিন রুমের একটি ফ্ল্যাটের আলাদা রুমে থাকতেন পলাশ। সবুজ আসার খবরে টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন পলাশ। ওই ফ্ল্যাটে সবুজ আসার পর তৃষা সবুজের ফোন চেক করে নগ্ন ভিডিও খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে লুকিয়ে থাকা পলাশ বের হয়ে সবুজকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন এবং রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে পিঠে ও মাথায় আঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পলাশ নিজেও সামান্য জখম হন। পরবর্তীকালে ছুরিকাঘাতে সবুজের মৃত্যু হয়।
লাশের হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে বাঁধার চেষ্টা করলেও রক্তের কারণে তা বাঁধতে পারেননি তাঁরা। পরে মৃতদেহ গুম করতে তৃষার পরামর্শে তাঁরা গ্লাভস পরে লাশ টুকরো টুকরো করে ৯ ভাগ করেন। এরপর সবুজের মোবাইল ফোনটি ভেঙে এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি একটি পলিথিনে ভরে পাশের ডোবায় ফেলে দেন। অন্যদিকে চারটি কার্টনে মরদেহের খণ্ডিত অংশ ভরে দুটি মুন্সিগঞ্জের মেদিনী মণ্ডল এলাকায় এবং দুটি কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ হাসপাতালের পাশে প্রাইভেট কার ভাড়া করে নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পরিদর্শক জামাল বলেন, ‘তৃষা ও পলাশ স্বামী-স্ত্রী বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা ২০২৩ সালে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ছেলে ও মেয়ের ফ্যামিলির কেউ সেটি জানেন না। অপর দিকে পলাশের রুমমেটরা জানিয়েছেন—পলাশ ও তৃষা প্রেমিক-প্রেমিকা।’
গ্রেপ্তারের পর পলাশ ও তাঁর কথিত স্ত্রী তৃষাকে আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও একই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক জামাল।

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে বাসার কাছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত ইমন দাশ (২৪) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৩ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
৭ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৯ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে বাসার কাছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত ইমন দাশ (২৪) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ইমন দাশ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ধলঘাট ইউনিয়নের দাশপাড়া এলাকার সাগর দাশের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে নগরীর চান্দগাঁও থানার মৌলভীবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সাগর দাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রবীর নামের একজন নিজেকে ইমনের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা যান। তাঁর বাবা সাগর দাশ এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নগরের চান্দগাঁওয়ের মৌলভীবাজার এলাকায় নিজ বাসার কাছে ইমনকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে একদল যুবক। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চান্দগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইমনের বাবা সাগর দাশ। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন নগরের একই থানা এলাকার বাসিন্দা ও ইমনের পরিচিত নয়ন মহাজন (২৯), কিরণ (৩০), আবু হানিফ (২৮), মহিউদ্দিন শরীফ (২৩) ও মো. নেজামকে (৩৫)।
নগরের কালুরঘাট শিল্প এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত সাগর দাশ ওই মামলার অভিযোগে বলেছেন, তাঁর বড় ছেলে ইমনের পূর্বপরিচিত আসামি নয়ন মহাজন। তাঁদের দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। ৩০ নভেম্বর ভোরে পূজার ফুল নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ইমন। এ সময় মৌলভীবাজারের ওয়াসা রোডে মরিয়ম ক্লাবের পাশে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে কিরিচ, চাপাতি দিয়ে ইমনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে সাগর দাশসহ তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবিরকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে বাসার কাছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত ইমন দাশ (২৪) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ইমন দাশ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ধলঘাট ইউনিয়নের দাশপাড়া এলাকার সাগর দাশের ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে নগরীর চান্দগাঁও থানার মৌলভীবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সাগর দাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রবীর নামের একজন নিজেকে ইমনের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা যান। তাঁর বাবা সাগর দাশ এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর নগরের চান্দগাঁওয়ের মৌলভীবাজার এলাকায় নিজ বাসার কাছে ইমনকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে একদল যুবক। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ৩ ডিসেম্বর পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে চান্দগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইমনের বাবা সাগর দাশ। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন নগরের একই থানা এলাকার বাসিন্দা ও ইমনের পরিচিত নয়ন মহাজন (২৯), কিরণ (৩০), আবু হানিফ (২৮), মহিউদ্দিন শরীফ (২৩) ও মো. নেজামকে (৩৫)।
নগরের কালুরঘাট শিল্প এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত সাগর দাশ ওই মামলার অভিযোগে বলেছেন, তাঁর বড় ছেলে ইমনের পূর্বপরিচিত আসামি নয়ন মহাজন। তাঁদের দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। ৩০ নভেম্বর ভোরে পূজার ফুল নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন ইমন। এ সময় মৌলভীবাজারের ওয়াসা রোডে মরিয়ম ক্লাবের পাশে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা করে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে কিরিচ, চাপাতি দিয়ে ইমনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে খবর পেয়ে সাগর দাশসহ তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবিরকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনার করেন।
১২ এপ্রিল ২০২৫
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
৭ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৯ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১৬ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
বরখাস্ত হওয়া মো. মহিবুল্লাহ নড়াইল জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি যশোর পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন।
যশোর পুলিশের বরাতে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি (মহিবুল্লাহ) গত ২৬ নভেম্বর ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে নিজ জেলা নড়াইলে রওনা হন এবং ছুটি শেষে ১২ ডিসেম্বর কর্মস্থলে হাজির হন।
ছুটিকালীন তিনি নড়াইল থেকে সাতক্ষীরায় এসে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সংগীত পরিবেশন ও বক্তব্য দেন; যা পুলিশের পেশাদারত্ব ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। বিষয়টি রেঞ্জ ডিআইজিকে অবহিত করে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে আজ রোববার দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান পরিবেশনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
বরখাস্ত হওয়া মো. মহিবুল্লাহ নড়াইল জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি যশোর পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন।
যশোর পুলিশের বরাতে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি (মহিবুল্লাহ) গত ২৬ নভেম্বর ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে নিজ জেলা নড়াইলে রওনা হন এবং ছুটি শেষে ১২ ডিসেম্বর কর্মস্থলে হাজির হন।
ছুটিকালীন তিনি নড়াইল থেকে সাতক্ষীরায় এসে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সংগীত পরিবেশন ও বক্তব্য দেন; যা পুলিশের পেশাদারত্ব ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। বিষয়টি রেঞ্জ ডিআইজিকে অবহিত করে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে আজ রোববার দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান পরিবেশনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনার করেন।
১২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে বাসার কাছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত ইমন দাশ (২৪) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৩ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৯ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১৬ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে সুযোগ পাওয়া ৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩২ জন।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম জানান, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নাম পেয়েছেন। এই নামের তালিকা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, গত বছরও ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের আগের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সব শিক্ষার্থীর তথ্য পেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে সুযোগ পাওয়া ৪৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ১৩ জন ও মেয়ে ৩২ জন।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আজাদ আবুল কালাম জানান, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নাম পেয়েছেন। এই নামের তালিকা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন।
তিনি বলেন, গত বছরও ৫৩ জন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির ফলে প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের আগের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনার করেন।
১২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে বাসার কাছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত ইমন দাশ (২৪) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৩ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
৭ মিনিট আগে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
১৬ মিনিট আগেনাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন যাত্রার মাত্র এক মাস আট দিনের মাথায় সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন করপোরাল মাসুদ রানা। তাঁর মৃত্যুর খবরে নাটোরের লালপুরের বাড়িতে এখন কান্নার রোল উঠেছে।
গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন। নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে মাসুদ রানাও রয়েছেন।
মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর ছোট দুই ভাই মনিরুল ইসলাম জনি ও রনি আহমেদও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত।
মাসুদের শোকে তাঁর স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই দম্পতির আট বছরের মেয়ে আছে। আঁখি বলেন, ‘আমার মেয়েকে এতিম করে সে চলে গেল। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও (শনিবার) আমাদের সঙ্গে সে কথা বলেছিল। আজ সে নেই, ভাবতে পারছি না।’
ছেলের মৃত্যুর খবরে মা মর্জিনা খাতুন (৫৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার তিন সন্তান সেনাবাহিনীতে। এক সন্তান দেশের জন্য প্রাণ দিল। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। সরকার যেন আমার সন্তানের বিধবা স্ত্রী ও এতিম মেয়ের কথা ভাবে। আমাদের আর কেউ নাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মাসুদ রানা ছিলেন শান্ত ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। পরিবারের সুখের স্বপ্ন নিয়ে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছিলেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে আজ রোববার বিকেলে নাটোর আর্মি স্টেডিয়ামের সেনাক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. নাজমুল আলম আবীর নিহত শান্তিরক্ষী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, শহীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাজ্জাদ ইসলাম সবুজ ও সুমাইয়া আক্তার তৃষার পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়। আর সেটি তৃষার কথিত স্বামী রোকনুজ্জামান পলাশ জেনে যান। সবুজের বিরুদ্ধে তৃষা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তোলার পর পলাশ ও তৃষা মিলে সবুজকে হত্যার পরিকল্পনার করেন।
১২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ে বাসার কাছে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে আহত ইমন দাশ (২৪) নামের এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান।
৩ মিনিট আগে
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় যশোরের পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বরখাস্তের এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে।
৭ মিনিট আগে
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এ বছর ৪৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর (রাত সাড়ে ৯টা) এ তথ্য জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৯ মিনিট আগে