Ajker Patrika

উত্তরায় চাকরির প্রলোভনে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৩৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একটি ফ্ল্যাট বাসায় দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই ফ্ল্যাট থেকে ওই দুই ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাম গোপাল (৪০), বাবুল সরকার (৫০), আব্দুল কাদের (৬০) ও রিপন মিয়া (৩৫)।

পরে ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বাদী হয়ে ওই দিন দিবাগত মধ্যরাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহায়তার অপরাধে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে রাম গোপালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হাট পাবিয়া গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে বাবুল সরকার, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কাউয়াদি গ্রামের আবুল কাদের, শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান সরকারের ছেলে রিপন মিয়া ও রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ওই বাড়ির রাম গোপাল। তাঁদের মধ্যে বাবুল তুরাগের আহালিয়া, আব্দুল কাদের উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে ও রিপন তুরাগের ধলিপাড়া এলাকায় বর্তমানে বসবাস করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীর মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ‘উত্তরার শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আব্দুল কাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আমাকে মোবাইলে ফোন করে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই হাসপাতালের সামনে নিয়ে আসে। তারপর তার ভাগিনা রিপন মিয়া এসে আমাকে আব্দুল কাদেরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে কাদেরসহ আরও দুজনকে দেখতে পাই এবং আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর বাবুল সরকার পাশের একটি রুমে নিয়ে আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়ে বলে—চাকরি পাইতে হলে টাকা দিতে হবে, না পারলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। এমন কথা শুনে রুম থেকে বেরিয়ে গেলে আব্দুল কাদের আমাকে বলে, “সমস্যা নাই, রুমে যাও। যা বলে তা শোন।” পরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাবুল সরকার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে আমি ফ্রেশ হতে গেলে শুনতে পাই, বাবুল আক্তার ফোনে বলতেছে, “ভালো জিনিস আছে, তাড়াতাড়ি আয়।”’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই সময় তিনি ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখেন আরেক নারী অপেক্ষা করছেন। ওই নারী জানান, তাঁকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একইভাবে ডেকে এনে রাম গোপাল তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। পরবর্তীকালে ওই বাসায় আরও কয়েজনকে প্রবেশ করতে দেখে উপায়ন্তর না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবায় কল দিলে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার ও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি বাসার পাশাপাশি দুটি রুমে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার পর ফের অভিযান চালিয়ে পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...