নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় এক কিশোরসহ দুজনকে হত্যার পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেও আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরও আসামি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। পরে আদালত বাদীদের জবানবন্দি নিয়ে থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
১৪ বছর বয়সী কিশোর মাহমুদুল হাসান জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরসহ ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রংধনু গ্রুপের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রফিককেও আসামি করা হয়েছে।
নিহত কিশোর মাহমুদুল হাসান জয়ের পূর্ব পরিচিত দাবি করে এই মামলাটি দায়ের করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের ২৩ /এ বাড়ির বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল। তিনি বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন-যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার শনির আখড়া ওয়ালটন শোরুমের সামনে।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ, জোনায়েদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিবি প্রধান হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
মামলায় বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিল। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগদান করে। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন দমন করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরজিতে বর্ণিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের মিছিলের গুলি বর্ষণ করে। ফলে মাহমুদুল হাসান জয় নিহত হয়।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে মো. ওয়াসিম শেখ নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে জি এম কাদেরসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাতনামা নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই দুপুরের পর বাদীর ভাই মো. ওয়াসিম শেখ বাসা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বের হন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওয়াসিম শেখ যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা টোল প্লাজা সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। ওই সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেকেই মারাত্মক জখম হন। বাদীর ভাইও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়—অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যবহার করে ছাত্র আন্দোলনের দমানের উদ্দেশে ঘটনাস্থলে ছাত্র-জনতার দিকে গুলি ছোড়ে। পরিকল্পিতভাবে ওইভাবে গুলি ছোড়ার কারণে বাদীর ভাই ঘটনাস্থলে গুলিতে নিহত হন। এটি হত্যাকাণ্ড।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় এক কিশোরসহ দুজনকে হত্যার পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেও আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদেরও আসামি।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। পরে আদালত বাদীদের জবানবন্দি নিয়ে থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে অভিযোগ এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
১৪ বছর বয়সী কিশোর মাহমুদুল হাসান জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরসহ ৩৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রংধনু গ্রুপের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রফিককেও আসামি করা হয়েছে।
নিহত কিশোর মাহমুদুল হাসান জয়ের পূর্ব পরিচিত দাবি করে এই মামলাটি দায়ের করেন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের ২৩ /এ বাড়ির বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল। তিনি বর্তমান ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করেছেন-যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার শনির আখড়া ওয়ালটন শোরুমের সামনে।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ, জোনায়েদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিবি প্রধান হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
মামলায় বলা হয়েছে, ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিল। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগদান করে। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন দমন করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরজিতে বর্ণিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের মিছিলের গুলি বর্ষণ করে। ফলে মাহমুদুল হাসান জয় নিহত হয়।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে মো. ওয়াসিম শেখ নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায়ও শেখ হাসিনার সঙ্গে জি এম কাদেরসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৫০ থেকে ৬০ জন অজ্ঞাতনামা নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই দুপুরের পর বাদীর ভাই মো. ওয়াসিম শেখ বাসা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বের হন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওয়াসিম শেখ যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা টোল প্লাজা সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন। ওই সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেকেই মারাত্মক জখম হন। বাদীর ভাইও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়—অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যবহার করে ছাত্র আন্দোলনের দমানের উদ্দেশে ঘটনাস্থলে ছাত্র-জনতার দিকে গুলি ছোড়ে। পরিকল্পিতভাবে ওইভাবে গুলি ছোড়ার কারণে বাদীর ভাই ঘটনাস্থলে গুলিতে নিহত হন। এটি হত্যাকাণ্ড।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান (হীরক মুশফিক)। তিনি ২০১৮ সালে বিভাগটিতে অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ পান৷ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক হওয়াসহ তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের...
১ ঘণ্টা আগেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ জানান, ১২ আগস্ট রাত ১০টা থেকে ১৩ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় সব ধরনের সমাবেশ, মিছিল, সভা, লাঠিসহ অস্ত্র বহন এবং মাইক-শব্দবর্ধক যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে...
১ ঘণ্টা আগেএক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি। এখন তিনি আশা করছেন, ‘আগামী জানুয়
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে