নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শত শত শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের প্রতি আদালত প্রাঙ্গণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে আদালতে শুনানিতে এই প্রতারণার বিষয়ে বিচারকের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যার আদালতের কাঠগড়ায় বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বাশারকে তোলা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে বাশারের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের পক্ষে শুনানি করেন।
বিচারক একপর্যায়ে খায়রুল বাশারকে প্রশ্ন করেন, ‘এই কাজগুলো (শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ) কেন করলেন?’ বাশার জবাব না দিয়ে চুপ থাকেন।
আবার বিচারক বলেন, কোন কারণে তাঁদের বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হন বা অপারগ হন, তাহলে কেন টাকা ফেরত দেননি? তখনো নিশ্চুপ থাকেন বাশার।
এরপর বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কতটা মামলা হয়েছে জানেন?’ বাশার বলেন, আনুমানিক ৭০টা হয়েছে। তখন বিচারক বলেন, যত মামলা হয়েছে, মোকাবিলা করতে গেলে তো সারা জীবন কারাগারে কেটে যাবে।
বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘টাকাগুলো যে আত্মসাৎ করলেন, আপনার মানবিক সত্তা জাগ্রত হয়নি? কয়টা বিয়ে করেছেন?’ উত্তরে তিনি জানান, ‘দুটা।’ বিচারক আবার প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সন্তান কয়জন?’ উত্তরে বাশার বলেন, ‘ছয়জন।’
বিচারক বলেন, ‘টাকা নিয়ে এসব শিক্ষার্থীর জীবন কেন হুমকির মুখে ফেলে দিলেন। একবারও কি আপনার সন্তানদের কথা মনে পড়েনি?’
বাশারের আইনজীবী এ সময় আবারও রিমান্ড জামিন শুনানি করতে চান। তখন আদালতে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা আইনজীবীর উদ্দেশে চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার লজ্জা নাই, নির্লজ্জ।’ পরে তিনি আর শুনানি করেননি। এরপর আদালত তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে খায়রুল বাশারকে গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হবে—এ খবর শুনে সকাল থেকেই আদালতে ভিড় করতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা আদালতের সামনে এসে খায়রুল বাশারের বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুরে তাঁকে আদালতে আনা হলে ভুক্তভোগীরা তাঁর বিচার চেয়ে আরেক দফা স্লোগান দেন।
কড়া পুলিশি পাহারায় খায়রুল বাশারকে হাজতখানা থেকে বের করে আনে পুলিশ। এ সময় তাঁর মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তাঁকে যখন আদালত ভবনের নিচতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানো হচ্ছিল, তখন বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁর উদ্দেশে ডিম ছুড়তে থাকেন। প্রতারিত বিক্ষুব্ধ লোকজন খায়রুল বাশারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এর মধ্যে আদালত ভবনের এজলাসকক্ষে তাঁকে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:
শত শত শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারের প্রতি আদালত প্রাঙ্গণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে আদালতে শুনানিতে এই প্রতারণার বিষয়ে বিচারকের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যার আদালতের কাঠগড়ায় বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বাশারকে তোলা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে বাশারের পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের পক্ষে শুনানি করেন।
বিচারক একপর্যায়ে খায়রুল বাশারকে প্রশ্ন করেন, ‘এই কাজগুলো (শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ) কেন করলেন?’ বাশার জবাব না দিয়ে চুপ থাকেন।
আবার বিচারক বলেন, কোন কারণে তাঁদের বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হন বা অপারগ হন, তাহলে কেন টাকা ফেরত দেননি? তখনো নিশ্চুপ থাকেন বাশার।
এরপর বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে কতটা মামলা হয়েছে জানেন?’ বাশার বলেন, আনুমানিক ৭০টা হয়েছে। তখন বিচারক বলেন, যত মামলা হয়েছে, মোকাবিলা করতে গেলে তো সারা জীবন কারাগারে কেটে যাবে।
বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘টাকাগুলো যে আত্মসাৎ করলেন, আপনার মানবিক সত্তা জাগ্রত হয়নি? কয়টা বিয়ে করেছেন?’ উত্তরে তিনি জানান, ‘দুটা।’ বিচারক আবার প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সন্তান কয়জন?’ উত্তরে বাশার বলেন, ‘ছয়জন।’
বিচারক বলেন, ‘টাকা নিয়ে এসব শিক্ষার্থীর জীবন কেন হুমকির মুখে ফেলে দিলেন। একবারও কি আপনার সন্তানদের কথা মনে পড়েনি?’
বাশারের আইনজীবী এ সময় আবারও রিমান্ড জামিন শুনানি করতে চান। তখন আদালতে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা আইনজীবীর উদ্দেশে চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার লজ্জা নাই, নির্লজ্জ।’ পরে তিনি আর শুনানি করেননি। এরপর আদালত তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে খায়রুল বাশারকে গতকাল সোমবার গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হবে—এ খবর শুনে সকাল থেকেই আদালতে ভিড় করতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা আদালতের সামনে এসে খায়রুল বাশারের বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুরে তাঁকে আদালতে আনা হলে ভুক্তভোগীরা তাঁর বিচার চেয়ে আরেক দফা স্লোগান দেন।
কড়া পুলিশি পাহারায় খায়রুল বাশারকে হাজতখানা থেকে বের করে আনে পুলিশ। এ সময় তাঁর মাথায় ছিল পুলিশের হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। তাঁকে যখন আদালত ভবনের নিচতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানো হচ্ছিল, তখন বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁর উদ্দেশে ডিম ছুড়তে থাকেন। প্রতারিত বিক্ষুব্ধ লোকজন খায়রুল বাশারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এর মধ্যে আদালত ভবনের এজলাসকক্ষে তাঁকে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:
বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা পদ হারানোয় জুনিয়র নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বরিশাল প্রেসক্লাবে পৃথকভাবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী। দলের কেন্দ্রীয়...
১ মিনিট আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ পেশাদারি ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এ নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্তে পরিণত করার আশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
৬ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পুকুর থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু আল মুনতাসিরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছোট পলাশবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেগাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সভা হয়।
৪৩ মিনিট আগে