বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু সংক্রমণ অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের জনস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান উদ্বেগ এখন ডেঙ্গু। এটি মহামারি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে, যা থেকে উচ্চ সংক্রমণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটতে পারে। এসব পর্যবেক্ষণ ও উদ্বেগের কথা তুলে ধরে জাতীয় পর্যায়ে ডেঙ্গুর ঝুঁকিকে ‘উচ্চ’ হিসাবে মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এসব কথা বলেছে। গত শুক্রবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে আক্রান্তের ৬৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৬২ শতাংশ ঘটেছে গত জুলাই মাসেই। এরপরও বলা যাচ্ছে না সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় কবে উঠবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে জরিপের মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যাচাই করা জরুরি হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি রোগী রয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যেসব দেশ সফল হয়েছে, তাদের অনুসরণ করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ডব্লিউএইচও তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত পাঁচ বছরে একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। এ বছর মে মাস থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় কবে উঠবে, সেটি অনিশ্চিত। তবে ২০০০ সালের পর এ বছরই বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। দেশের ৬৪টি জেলাতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ব সংস্থাটি আরও বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের বাসস্থানের সঙ্গে মশার প্রজননস্থলের নিবিড় ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, যা ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কারণ। এডিস প্রজাতির মশা ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের কামড়ানোর পরে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তারপর আশপাশের মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে। এই চক্রটি, মশাকে বাড়িতে এবং আশপাশে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম করে, সেটি ক্লাস্টারে পরিণত হয়।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ নির্ভর করে বাহকের নিয়ন্ত্রণের ওপর—এ কথা জানিয়ে ডব্লিউএইচও বলেছে, বাহক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এমন সব এলাকা গুরুত্ব দেওয়া উচিত যেখানে মানুষ ও বাহকের একত্র হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যেমন বাসস্থান, কর্মক্ষেত্র, স্কুল ও হাসপাতাল।
এক দিনে আরও ১৪ মৃত্যু এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪৩২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম এ তথ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮২ হাজার ৫০৬ জন। এর মধ্য ঢাকায় ৪১ হাজার ৭০৪ এবং ঢাকার বাইরে ৪০ হাজার ৪০ হাজার ৮০২ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৭ জনের।
বাংলাদেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু সংক্রমণ অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের জনস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান উদ্বেগ এখন ডেঙ্গু। এটি মহামারি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে, যা থেকে উচ্চ সংক্রমণ ও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটতে পারে। এসব পর্যবেক্ষণ ও উদ্বেগের কথা তুলে ধরে জাতীয় পর্যায়ে ডেঙ্গুর ঝুঁকিকে ‘উচ্চ’ হিসাবে মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এসব কথা বলেছে। গত শুক্রবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে আক্রান্তের ৬৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৬২ শতাংশ ঘটেছে গত জুলাই মাসেই। এরপরও বলা যাচ্ছে না সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় কবে উঠবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দেশে জরিপের মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা যাচাই করা জরুরি হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি রোগী রয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যেসব দেশ সফল হয়েছে, তাদের অনুসরণ করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ডব্লিউএইচও তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, গত পাঁচ বছরে একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। এ বছর মে মাস থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় কবে উঠবে, সেটি অনিশ্চিত। তবে ২০০০ সালের পর এ বছরই বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। দেশের ৬৪টি জেলাতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ব সংস্থাটি আরও বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের বাসস্থানের সঙ্গে মশার প্রজননস্থলের নিবিড় ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, যা ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির কারণ। এডিস প্রজাতির মশা ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তিদের কামড়ানোর পরে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। তারপর আশপাশের মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে। এই চক্রটি, মশাকে বাড়িতে এবং আশপাশে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম করে, সেটি ক্লাস্টারে পরিণত হয়।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ নির্ভর করে বাহকের নিয়ন্ত্রণের ওপর—এ কথা জানিয়ে ডব্লিউএইচও বলেছে, বাহক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এমন সব এলাকা গুরুত্ব দেওয়া উচিত যেখানে মানুষ ও বাহকের একত্র হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যেমন বাসস্থান, কর্মক্ষেত্র, স্কুল ও হাসপাতাল।
এক দিনে আরও ১৪ মৃত্যু এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৪৩২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম এ তথ্য দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮২ হাজার ৫০৬ জন। এর মধ্য ঢাকায় ৪১ হাজার ৭০৪ এবং ঢাকার বাইরে ৪০ হাজার ৪০ হাজার ৮০২ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৮৭ জনের।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে