মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা

ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডি-অ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্রায় সব নারীকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন হেনস্তার শিকার হতে হয় কম-বেশি। এ কারণে অনেক নারীর কাছেই ইনবক্স এক আতঙ্কের নাম।
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবনে এসেছে যুগান্তকারী কিছু পরিবর্তন। বিশেষত যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে নিমেষেই অন্য প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যেকোনো সময় যোগাযোগ করা যাচ্ছে। ছোট একটি ডিভাইসের মাধ্যমে ঘরে বসে অনায়াসেই পাওয়া যাচ্ছে গোটা বিশ্বের সব খবর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তৃতি এনে দিয়েছে ব্যক্তিক যোগাযোগের এক নতুন যুগ। দিনের যেকোনো সময় ইনবক্সে আসছে পরিচিত-অপরিচিতজনদের বার্তা। কিন্তু এই ইনবক্সই কখনো কখনো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে হরহামেশাই হেনস্তার শিকার হচ্ছেন নারীরা। অনেক সময়ই বিষয়গুলো আর শুধু হেনস্তায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। একধরনের নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করছে এটি। অনেকের জীবনই গেছে পাল্টে। ভেঙে গেছে কারও কারও সংসার। ছিন্ন হয়ে গেছে পারিবারিক বন্ধন। আর মানসিক সংকট তো রয়েছেই। এই মানসিক পীড়া কখনো কখনো এতটাই বড় আকার নিচ্ছে যে, কখনো কখনো আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
একটু পরিসংখ্যানে নজর দেওয়া যাক। নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিতে ২০২০ সালের নভেম্বরে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশ পুলিশের সেবা ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের ফেসবুক পেজে মোট ১৯ হাজার ৮৯৭টি মেসেজ, হটলাইন নম্বরে ৩৫ হাজার ৪০০টি ফোনকল ও ৪৭৭টি ই-মেইল অভিযোগ এসেছে।
শুরুতেই বলা হয়েছে ভুক্তভোগী বর্ণালির কথা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার। এ বিষয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিন হঠাৎ আমার এক বান্ধবী ফোনে জানতে চাইল আমার কী হয়েছে। আমার ফেসবুকে নতুন আইডি কেন? ওর কথায় বুঝলাম, আমার নামে ফেসবুকে নতুন আইডি তৈরি করা হয়েছে। এই নতুন আইডি থেকে আমার পরিচিতজনদের বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে।’
অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পান বর্ণালি। ভাবতে থাকেন কে এই কাজ করল? ক্ষোভ ও হতাশা গ্রাস করল তাঁকে। কিন্তু ঘটনা আরও বাকি ছিল। হঠাৎ করেই বর্ণালির ইনবক্সে উল্টোপাল্টা এসএমএস আসতে শুরু করল; সঙ্গে হুমকি। বর্ণালির ভাষ্য, ‘হুমকি দিয়ে বলে, ফোন নম্বর না দিলে আমার ছবি এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ফেসবুকের নানা গ্রুপে পোস্ট দেবে। একপর্যায়ে আমি খুব ভয় পাই। বুঝতে পারছিলাম না কী করব। কার কাছে যাব। একপর্যায়ে আমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাকটিভ করে দিই। পরে আর কখনোই ওই আইডি চালু করিনি।’
নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে বর্ণালি বলেন, ‘আজকাল যেভাবে নতুন নতুন উপায়ে সাইবার ক্রাইম হচ্ছে, তাতে মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা কেউই নিরাপদ না। বিশেষ করে নারীরা। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এ নিয়ে কতজনই-বা প্রতিবাদ করে? অনেকেই হয়তো আমার মতো চুপচাপ নিজেকে গুটিয়ে ফেলে।’
আবার অনেকে অপরিচিত নয়, পরিচিতজনদের কাছ থেকেই হেনস্তার শিকার হন। এমনই একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নীলা (ছদ্মনাম)। নারীদের নিয়ে সমাজসেবামূলক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মতবিরোধের জেরে চাকরি বদলের পর ওই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে হেনস্তা করেন। নীলা জানান, ‘একপর্যায়ে আমার ননদকে ফোন দিয়ে আমার নামে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করেন সাবেক সহকর্মীরা। পারিবারিক অশান্তি চরম পর্যায়ে চলে যায়।’ বিষয়টিতে এখনো বেশ ক্ষুব্ধ নীলা বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, এটি কোনো পুরুষের কাজ ছিল না। এটা ছিল ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু নারীর কাজ।’
নীলা ও বর্ণালি দুজনই নিজেকে গুটিয়ে ফেলে সংকটের আপাত সমাধান খুঁজেছেন। কিন্তু এই গুটিয়ে ফেলাই কি সমাধান? নিশ্চিতভাবেই না। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এমন হেনস্তার প্রতিবাদ করেন বেশ সোচ্চারে। নিজের হাতে থাকা বিকল্পগুলো ব্যবহার করে হেনস্তাকারীর বিরুদ্ধে দরকারি পদক্ষেপও নেন। এমনই একজন শিউলি (ছদ্মনাম)। পেশায় সাংবাদিক শিউলি এক অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ফেসবুকের একটি গ্রুপে তাঁর বিয়ের ছবি ব্যবহার করে ট্রল শুরু হয়। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। এক শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে শিউলি ওই গ্রুপে ঢুকে দেখেন, বিয়ের দিন খাবারের টেবিলের একটি ছবি ব্যবহার করে ট্রল করা হচ্ছে। ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘর আজেবাজে মন্তব্যে ভরা। শিউলি তাঁর বরকে জানান। বিয়েতে নিজেদের কাছের বন্ধু ও পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ না থাকায় তাঁরা ভেবে পাচ্ছিলেন না, কে করল এ কাজ। গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলল—এটা আমাদের গ্রুপ, আমরা যা খুশি তাই করব। পরে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর ছবিটি তারা সরিয়ে ফেলে।
শিউলি বলেন, ‘কেন অনুমতি ছাড়া আমাদের বিয়ের ছবি এভাবে ট্রল করল? দেশে কি আইন বলতে কিছুই নেই?’ এটাই একমাত্র অভিজ্ঞতা নয়। বর্ণালির মতো তাঁর ছবি ব্যবহার করেও অন্য কেউ অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ফেসবুকে। বন্ধুদের মাধ্যমে জেনে পরে রিপোর্ট করে সেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেন তিনি।
পেশাজীবীরাই যেখানে এমন হেনস্তার শিকার হন, সেখানে কিশোরী বা তরুণীদের কথা না বললেও চলে। কম বয়সী মেয়েদের ইনবক্সে এমন হেনস্তা নিয়মিত ঘটনা বলা যায়। এ থেকে বড় বড় অপরাধের ঘটনাও ঘটে। অনেক সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় ও ইনবক্সে আলাপের সূত্র ধরে কিশোরী বা তরুণীরা ঘর ছাড়ে এবং পড়ে বড় বিপদে। কারও কারও প্রাণও চলে যায় এতে। এমনই একজন সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী রুপা (ছদ্মনাম)। বেশ সচেতন রুপা বললেন, ‘সাইবার বুলিংয়ের কবলে প্রায়ই পড়তে হয়। সমস্যা হচ্ছে, এদের ধরা যায় না। এই ধরতে না পারার যন্ত্রণাও কম না।’ অবশ্য রুপাও নিজের আইডি পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার নারীরা প্রায়ই সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এতে নারীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে পরিবর্তন ঘটে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক সময় আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেন অনেকে। হয়রানির শিকার নারীদের মানসিক উত্তরণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরাসরি ইভটিজিং বা যৌন হয়রানির মতোই অনলাইনে হয়রানি সমানভাবে ক্ষতিকর এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এর প্রতিকারের জন্য আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। যারা অনলাইনে নারীদের কটূক্তি বা অবমানকর মন্তব্য করে। তাদের সুস্থ সামাজিক ও মানসিক বিকাশে ঘাটতি রয়েছে। নিজেদের দীনতা ঢাকতে বিকারগ্রস্ত মনমানসিকতায় তারা অন্যের অপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এই সংকট ভয়াবহ। নিজের ব্যবসার স্বার্থেই ফেসবুক পেজে নিজের বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর দিতে হয়। নিয়মিত ইনবক্স চেক করতে হয়। অপরিচিত ব্যক্তির বার্তা বলে কোনো কিছু এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এরই সুযোগ নেয় হেনস্তাকারীরা। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন লেখায় নানাজন এই অভিযোগ করেছেন। এটা নতুন কিছু নয়।
নারী উদ্যোক্তা পদ্মাবতীর সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। বললেন, ‘অনলাইনে হয়রানি অতি সাধারণ ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে কত বড় অসামাজিক আচরণ করে, সেটা উদ্যোক্তা না হলে বুঝতে পারতাম না। নিজের অভিজ্ঞতাটা বলি। মেয়েদের পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস নিয়ে আমার অনলাইন উদ্যোগ। ব্যবসার প্রয়োজনে ছবি, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিতে হয়। কিছু মানুষ একে পাবলিক সম্পত্তি ভেবে নেয়। অপ্রয়োজনীয় ফোন, মেসেজের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নষ্ট হয়। ইনবক্সে আসতে থাকে অতি নোংরা মেসেজ। ক্রেতা সেজে প্রথমে কথা শুরু করে। প্রথম প্রথম খুব হতাশ লাগত। এখন অবশ্য ক্রেতা ও ছদ্মবেশীর তফাত বুঝতে পারি। চোখে পড়লে রিপোর্ট করি। কাজ কতটা হয় জানি না। ফেসবুক পেজ, আইডি, ইনস্টাগ্রাম—সব প্ল্যাটফর্মেই এক অবস্থা। যাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ, তারাও সামাজিক মাধ্যমে অন্যরকম হয়ে যায়।’
নিজের বাবার অসুস্থতার সময়ে হওয়া কিছু অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে বাজে বললেন পদ্মাবতী। বললেন, ‘বাবার চিকিৎসার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে হতো নিয়মিত। তখন অনেকগুলো গ্রুপে আমার নম্বর দিতে হয়েছিল। মানুষের অমানবিকতা দেখে তখন অবাক হতাম। নীরবে চোখের জল ফেলা ছাড়া কোনো উপায় থাকত না। গভীর রাতে ফোন দিয়ে একেকজন একেক কথা বলতে শুরু করত। প্রথমেই রক্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। তাই কল কাটতেও পারতাম না। এ রকম কত শতবার হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। একটা পর্যায়ে মরিয়া হয়ে সবকিছু এড়িয়ে যেতে শুরু করলাম।’
এমন উদাহরণ হাজারটা দেওয়া যাবে। এই হেনস্তার ধরনেও আছে ভিন্নতা। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের তথ্যমতে, গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে ভুক্তভোগীর ছবি বা পরিচিতি ব্যবহার করে বেনামে আইডি খুলে বা ভুয়া আইডি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ৬ হাজার ৩৭৫টি বা ৪৩ শতাংশ, আইডি হ্যাক ১ হাজার ৫৫৪টি বা ১১ শতাংশ, পূর্বপরিচয় বা সম্পর্কের জেরে বা অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত ছবি, ভিডিও বা তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো বা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ২ হাজার ২৩৫টি বা ১৫ শতাংশ। আর মোবাইল ফোনে হেনস্তা, লেখা, ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানির ১ হাজার ৬৬৬টি বা ১১ শতাংশ, বিভিন্ন মাধ্যমে অশ্লীল শব্দ, লেখা, ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানির ১ হাজার ২১৯টি বা ৮ শতাংশ অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরে অন্য ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ টি, যা মোট অভিযোগ সংখ্যার ১২ শতাংশ।
এই অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তিন্নি (ছদ্মনাম) যা বললেন, তা অন্তত আশ্বস্ত করছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হওয়া হেনস্তা ব্যক্তিগত ফোনেও শুরু হলে আর অপেক্ষা না করে তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ তাঁকে হেনস্তাকারীর নম্বর ব্লক করার পরামর্শ দেয় এবং এড়িয়ে যেতে বলে। তিন্নি বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, এদের শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবেনি পুলিশ। আমার পরিচিত এক আত্মীয় র্যাবে ছিলেন। তাঁর মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে শায়েস্তা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কোনো আইনি সহায়তা পাইনি।’
তবে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মীর আবু তৌহিদ জানালেন, সংস্থাটির তালিকাভুক্ত সেবাপ্রত্যাশীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭১৩ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হয়ে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪১৬ জন পরে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সর্বমোট ৯ হাজার ৬৫৩ জনের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৪৪ জনের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্তাধীন।
নিজেদের সেবা সম্পর্কে মীর আবু তৌহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় ভুক্তভোগীর সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকি। এই ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা শুরুতে থানায় যেতে চান না। অভিযোগ জানার পর আমরা ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিই। প্রয়োজন অনুযায়ী মামলা, জিডি বা উপযুক্ত আইনি পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিই। ভুক্তভোগীর সঙ্গে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। এমনকি আসামি অন্য কোনো জেলায় অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আসামিকে আটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রয়োজনে সেখানেও জিডি বা মামলার বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করি।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগ আসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার হয়ে। কারও হয়তো আইডি হ্যাক হয়েছে, কারও নামে হয়তো নতুন আইডি খোলা হয়েছে, আবার কারও নামে হয়তো অনলাইনে ছড়াচ্ছে বাজে কোনো ছবি। এ ক্ষেত্রে আমরা টেকনিক্যাল সহযোগিতা করি।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের হেনস্তা করা আইনত অপরাধ। হয়রানির শিকার নারীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘অনলাইনে নারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে বা ভুয়া আইডিতে ছবি আপলোড করে হয়রানি করা হয়। এটি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো মাধ্যমে কারও নামে মানহানিকর বা অপমানজনক কিছু লেখা বা প্রকাশ করা বা মন্তব্য করা যেমন অপরাধ, তেমন নিতান্ত বিরক্ত করা, সেটাও অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১) (ক) ধারায় এই ধরনের কাজকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের জন্য তিন বছর পর্যন্ত জেল ও ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। আর একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে শাস্তির মাত্রাও বাড়বে। এ ছাড়া টেলিফোনে বিরক্ত করলেও তা টেলিযোগাযোগ আইনের ৭০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য উল্লেখ করে ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের পুলিশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আছে এ ধরনের অপরাধ তদন্ত করার। কিন্তু থানাগুলোর পরিবেশ নারীদের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ না হওয়ায় মেয়েরা পুলিশের কাছে যেতে চায় না। আবার আমাদের দেশের নারীরা সাধারণত হয়রানির বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেন না, যেহেতু সমাজের সব স্তরে নারীকে দোষারোপের একটা প্রবণতা আছে। এটা ঠিক নয়। হয়রানির শিকার নারীদের সচেতন হওয়া জরুরি। হয়রানির শিকার নারীটি ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগীর তো কোনো দোষ নাই, লজ্জারও কোনো কারণ নাই। এই কথাটা ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রচার করতে হবে। আর সচেতনতা তৈরি করতে হবে নারী-পুরুষ সবার মধ্যে।’

ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডি-অ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্রায় সব নারীকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন হেনস্তার শিকার হতে হয় কম-বেশি। এ কারণে অনেক নারীর কাছেই ইনবক্স এক আতঙ্কের নাম।
তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবনে এসেছে যুগান্তকারী কিছু পরিবর্তন। বিশেষত যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে নিমেষেই অন্য প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যেকোনো সময় যোগাযোগ করা যাচ্ছে। ছোট একটি ডিভাইসের মাধ্যমে ঘরে বসে অনায়াসেই পাওয়া যাচ্ছে গোটা বিশ্বের সব খবর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তৃতি এনে দিয়েছে ব্যক্তিক যোগাযোগের এক নতুন যুগ। দিনের যেকোনো সময় ইনবক্সে আসছে পরিচিত-অপরিচিতজনদের বার্তা। কিন্তু এই ইনবক্সই কখনো কখনো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে হরহামেশাই হেনস্তার শিকার হচ্ছেন নারীরা। অনেক সময়ই বিষয়গুলো আর শুধু হেনস্তায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। একধরনের নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি করছে এটি। অনেকের জীবনই গেছে পাল্টে। ভেঙে গেছে কারও কারও সংসার। ছিন্ন হয়ে গেছে পারিবারিক বন্ধন। আর মানসিক সংকট তো রয়েছেই। এই মানসিক পীড়া কখনো কখনো এতটাই বড় আকার নিচ্ছে যে, কখনো কখনো আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
একটু পরিসংখ্যানে নজর দেওয়া যাক। নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিতে ২০২০ সালের নভেম্বরে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশ পুলিশের সেবা ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের ফেসবুক পেজে মোট ১৯ হাজার ৮৯৭টি মেসেজ, হটলাইন নম্বরে ৩৫ হাজার ৪০০টি ফোনকল ও ৪৭৭টি ই-মেইল অভিযোগ এসেছে।
শুরুতেই বলা হয়েছে ভুক্তভোগী বর্ণালির কথা। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার। এ বিষয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একদিন হঠাৎ আমার এক বান্ধবী ফোনে জানতে চাইল আমার কী হয়েছে। আমার ফেসবুকে নতুন আইডি কেন? ওর কথায় বুঝলাম, আমার নামে ফেসবুকে নতুন আইডি তৈরি করা হয়েছে। এই নতুন আইডি থেকে আমার পরিচিতজনদের বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে।’
অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পান বর্ণালি। ভাবতে থাকেন কে এই কাজ করল? ক্ষোভ ও হতাশা গ্রাস করল তাঁকে। কিন্তু ঘটনা আরও বাকি ছিল। হঠাৎ করেই বর্ণালির ইনবক্সে উল্টোপাল্টা এসএমএস আসতে শুরু করল; সঙ্গে হুমকি। বর্ণালির ভাষ্য, ‘হুমকি দিয়ে বলে, ফোন নম্বর না দিলে আমার ছবি এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ফেসবুকের নানা গ্রুপে পোস্ট দেবে। একপর্যায়ে আমি খুব ভয় পাই। বুঝতে পারছিলাম না কী করব। কার কাছে যাব। একপর্যায়ে আমি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাকটিভ করে দিই। পরে আর কখনোই ওই আইডি চালু করিনি।’
নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে বর্ণালি বলেন, ‘আজকাল যেভাবে নতুন নতুন উপায়ে সাইবার ক্রাইম হচ্ছে, তাতে মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা কেউই নিরাপদ না। বিশেষ করে নারীরা। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এ নিয়ে কতজনই-বা প্রতিবাদ করে? অনেকেই হয়তো আমার মতো চুপচাপ নিজেকে গুটিয়ে ফেলে।’
আবার অনেকে অপরিচিত নয়, পরিচিতজনদের কাছ থেকেই হেনস্তার শিকার হন। এমনই একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নীলা (ছদ্মনাম)। নারীদের নিয়ে সমাজসেবামূলক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মতবিরোধের জেরে চাকরি বদলের পর ওই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে হেনস্তা করেন। নীলা জানান, ‘একপর্যায়ে আমার ননদকে ফোন দিয়ে আমার নামে আজেবাজে কথা বলতে শুরু করেন সাবেক সহকর্মীরা। পারিবারিক অশান্তি চরম পর্যায়ে চলে যায়।’ বিষয়টিতে এখনো বেশ ক্ষুব্ধ নীলা বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো, এটি কোনো পুরুষের কাজ ছিল না। এটা ছিল ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু নারীর কাজ।’
নীলা ও বর্ণালি দুজনই নিজেকে গুটিয়ে ফেলে সংকটের আপাত সমাধান খুঁজেছেন। কিন্তু এই গুটিয়ে ফেলাই কি সমাধান? নিশ্চিতভাবেই না। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা এমন হেনস্তার প্রতিবাদ করেন বেশ সোচ্চারে। নিজের হাতে থাকা বিকল্পগুলো ব্যবহার করে হেনস্তাকারীর বিরুদ্ধে দরকারি পদক্ষেপও নেন। এমনই একজন শিউলি (ছদ্মনাম)। পেশায় সাংবাদিক শিউলি এক অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ফেসবুকের একটি গ্রুপে তাঁর বিয়ের ছবি ব্যবহার করে ট্রল শুরু হয়। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। এক শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে বিষয়টি জেনে শিউলি ওই গ্রুপে ঢুকে দেখেন, বিয়ের দিন খাবারের টেবিলের একটি ছবি ব্যবহার করে ট্রল করা হচ্ছে। ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘর আজেবাজে মন্তব্যে ভরা। শিউলি তাঁর বরকে জানান। বিয়েতে নিজেদের কাছের বন্ধু ও পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ না থাকায় তাঁরা ভেবে পাচ্ছিলেন না, কে করল এ কাজ। গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলল—এটা আমাদের গ্রুপ, আমরা যা খুশি তাই করব। পরে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর ছবিটি তারা সরিয়ে ফেলে।
শিউলি বলেন, ‘কেন অনুমতি ছাড়া আমাদের বিয়ের ছবি এভাবে ট্রল করল? দেশে কি আইন বলতে কিছুই নেই?’ এটাই একমাত্র অভিজ্ঞতা নয়। বর্ণালির মতো তাঁর ছবি ব্যবহার করেও অন্য কেউ অ্যাকাউন্ট খুলেছিল ফেসবুকে। বন্ধুদের মাধ্যমে জেনে পরে রিপোর্ট করে সেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেন তিনি।
পেশাজীবীরাই যেখানে এমন হেনস্তার শিকার হন, সেখানে কিশোরী বা তরুণীদের কথা না বললেও চলে। কম বয়সী মেয়েদের ইনবক্সে এমন হেনস্তা নিয়মিত ঘটনা বলা যায়। এ থেকে বড় বড় অপরাধের ঘটনাও ঘটে। অনেক সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় ও ইনবক্সে আলাপের সূত্র ধরে কিশোরী বা তরুণীরা ঘর ছাড়ে এবং পড়ে বড় বিপদে। কারও কারও প্রাণও চলে যায় এতে। এমনই একজন সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী রুপা (ছদ্মনাম)। বেশ সচেতন রুপা বললেন, ‘সাইবার বুলিংয়ের কবলে প্রায়ই পড়তে হয়। সমস্যা হচ্ছে, এদের ধরা যায় না। এই ধরতে না পারার যন্ত্রণাও কম না।’ অবশ্য রুপাও নিজের আইডি পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার নারীরা প্রায়ই সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। এতে নারীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে পরিবর্তন ঘটে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক সময় আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত নেন অনেকে। হয়রানির শিকার নারীদের মানসিক উত্তরণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরাসরি ইভটিজিং বা যৌন হয়রানির মতোই অনলাইনে হয়রানি সমানভাবে ক্ষতিকর এবং অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এর প্রতিকারের জন্য আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। যারা অনলাইনে নারীদের কটূক্তি বা অবমানকর মন্তব্য করে। তাদের সুস্থ সামাজিক ও মানসিক বিকাশে ঘাটতি রয়েছে। নিজেদের দীনতা ঢাকতে বিকারগ্রস্ত মনমানসিকতায় তারা অন্যের অপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এই সংকট ভয়াবহ। নিজের ব্যবসার স্বার্থেই ফেসবুক পেজে নিজের বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর দিতে হয়। নিয়মিত ইনবক্স চেক করতে হয়। অপরিচিত ব্যক্তির বার্তা বলে কোনো কিছু এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এরই সুযোগ নেয় হেনস্তাকারীরা। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিভিন্ন লেখায় নানাজন এই অভিযোগ করেছেন। এটা নতুন কিছু নয়।
নারী উদ্যোক্তা পদ্মাবতীর সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। বললেন, ‘অনলাইনে হয়রানি অতি সাধারণ ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যে কত বড় অসামাজিক আচরণ করে, সেটা উদ্যোক্তা না হলে বুঝতে পারতাম না। নিজের অভিজ্ঞতাটা বলি। মেয়েদের পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস নিয়ে আমার অনলাইন উদ্যোগ। ব্যবসার প্রয়োজনে ছবি, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিতে হয়। কিছু মানুষ একে পাবলিক সম্পত্তি ভেবে নেয়। অপ্রয়োজনীয় ফোন, মেসেজের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নষ্ট হয়। ইনবক্সে আসতে থাকে অতি নোংরা মেসেজ। ক্রেতা সেজে প্রথমে কথা শুরু করে। প্রথম প্রথম খুব হতাশ লাগত। এখন অবশ্য ক্রেতা ও ছদ্মবেশীর তফাত বুঝতে পারি। চোখে পড়লে রিপোর্ট করি। কাজ কতটা হয় জানি না। ফেসবুক পেজ, আইডি, ইনস্টাগ্রাম—সব প্ল্যাটফর্মেই এক অবস্থা। যাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ, তারাও সামাজিক মাধ্যমে অন্যরকম হয়ে যায়।’
নিজের বাবার অসুস্থতার সময়ে হওয়া কিছু অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে বাজে বললেন পদ্মাবতী। বললেন, ‘বাবার চিকিৎসার জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে হতো নিয়মিত। তখন অনেকগুলো গ্রুপে আমার নম্বর দিতে হয়েছিল। মানুষের অমানবিকতা দেখে তখন অবাক হতাম। নীরবে চোখের জল ফেলা ছাড়া কোনো উপায় থাকত না। গভীর রাতে ফোন দিয়ে একেকজন একেক কথা বলতে শুরু করত। প্রথমেই রক্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। তাই কল কাটতেও পারতাম না। এ রকম কত শতবার হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। একটা পর্যায়ে মরিয়া হয়ে সবকিছু এড়িয়ে যেতে শুরু করলাম।’
এমন উদাহরণ হাজারটা দেওয়া যাবে। এই হেনস্তার ধরনেও আছে ভিন্নতা। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের তথ্যমতে, গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে ভুক্তভোগীর ছবি বা পরিচিতি ব্যবহার করে বেনামে আইডি খুলে বা ভুয়া আইডি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ৬ হাজার ৩৭৫টি বা ৪৩ শতাংশ, আইডি হ্যাক ১ হাজার ৫৫৪টি বা ১১ শতাংশ, পূর্বপরিচয় বা সম্পর্কের জেরে বা অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত ছবি, ভিডিও বা তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো বা ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ২ হাজার ২৩৫টি বা ১৫ শতাংশ। আর মোবাইল ফোনে হেনস্তা, লেখা, ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানির ১ হাজার ৬৬৬টি বা ১১ শতাংশ, বিভিন্ন মাধ্যমে অশ্লীল শব্দ, লেখা, ছবি বা ভিডিও পাঠিয়ে হয়রানির ১ হাজার ২১৯টি বা ৮ শতাংশ অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরে অন্য ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ টি, যা মোট অভিযোগ সংখ্যার ১২ শতাংশ।
এই অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী তিন্নি (ছদ্মনাম) যা বললেন, তা অন্তত আশ্বস্ত করছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হওয়া হেনস্তা ব্যক্তিগত ফোনেও শুরু হলে আর অপেক্ষা না করে তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ তাঁকে হেনস্তাকারীর নম্বর ব্লক করার পরামর্শ দেয় এবং এড়িয়ে যেতে বলে। তিন্নি বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, এদের শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবেনি পুলিশ। আমার পরিচিত এক আত্মীয় র্যাবে ছিলেন। তাঁর মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে শায়েস্তা করা হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কোনো আইনি সহায়তা পাইনি।’
তবে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মীর আবু তৌহিদ জানালেন, সংস্থাটির তালিকাভুক্ত সেবাপ্রত্যাশীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৯৭ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭১৩ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হয়ে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৪১৬ জন পরে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সর্বমোট ৯ হাজার ৬৫৩ জনের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৪৪ জনের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগগুলো তদন্তাধীন।
নিজেদের সেবা সম্পর্কে মীর আবু তৌহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় ভুক্তভোগীর সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকি। এই ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা শুরুতে থানায় যেতে চান না। অভিযোগ জানার পর আমরা ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিই। প্রয়োজন অনুযায়ী মামলা, জিডি বা উপযুক্ত আইনি পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিই। ভুক্তভোগীর সঙ্গে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। এমনকি আসামি অন্য কোনো জেলায় অবস্থান করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আসামিকে আটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রয়োজনে সেখানেও জিডি বা মামলার বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করি।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগ আসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়রানির শিকার হয়ে। কারও হয়তো আইডি হ্যাক হয়েছে, কারও নামে হয়তো নতুন আইডি খোলা হয়েছে, আবার কারও নামে হয়তো অনলাইনে ছড়াচ্ছে বাজে কোনো ছবি। এ ক্ষেত্রে আমরা টেকনিক্যাল সহযোগিতা করি।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের হেনস্তা করা আইনত অপরাধ। হয়রানির শিকার নারীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘অনলাইনে নারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে বা ভুয়া আইডিতে ছবি আপলোড করে হয়রানি করা হয়। এটি আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো মাধ্যমে কারও নামে মানহানিকর বা অপমানজনক কিছু লেখা বা প্রকাশ করা বা মন্তব্য করা যেমন অপরাধ, তেমন নিতান্ত বিরক্ত করা, সেটাও অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১) (ক) ধারায় এই ধরনের কাজকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের জন্য তিন বছর পর্যন্ত জেল ও ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। আর একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে শাস্তির মাত্রাও বাড়বে। এ ছাড়া টেলিফোনে বিরক্ত করলেও তা টেলিযোগাযোগ আইনের ৭০ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য উল্লেখ করে ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের পুলিশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আছে এ ধরনের অপরাধ তদন্ত করার। কিন্তু থানাগুলোর পরিবেশ নারীদের জন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ না হওয়ায় মেয়েরা পুলিশের কাছে যেতে চায় না। আবার আমাদের দেশের নারীরা সাধারণত হয়রানির বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেন না, যেহেতু সমাজের সব স্তরে নারীকে দোষারোপের একটা প্রবণতা আছে। এটা ঠিক নয়। হয়রানির শিকার নারীদের সচেতন হওয়া জরুরি। হয়রানির শিকার নারীটি ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগীর তো কোনো দোষ নাই, লজ্জারও কোনো কারণ নাই। এই কথাটা ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রচার করতে হবে। আর সচেতনতা তৈরি করতে হবে নারী-পুরুষ সবার মধ্যে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৪ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্র
০৫ মার্চ ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৪ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্র
০৫ মার্চ ২০২২
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৪ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্র
০৫ মার্চ ২০২২
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে একের পর এক কুরুচিকর এসএমএস, ফোন নম্বর চেয়ে বার্তা, জবাব না দিলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ছবিগুলো এডিট করে বাজে ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি—এমন সব ঘটনায় ভয় পেয়ে নিজের পুরোনো অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভ করেন বর্ণালি (ছদ্মনাম)। এমন ঘটনার শিকার বর্ণালি একা নন। প্র
০৫ মার্চ ২০২২
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
১০ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
২১ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৩৪ মিনিট আগে