Ajker Patrika

টিকার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমন্বয়ের অভাব, বিপাকে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, জবি
টিকার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমন্বয়ের অভাব, বিপাকে জবি শিক্ষার্থীরা

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক টিকার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিপাকে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে টিকা রেজিস্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পরবর্তী কোনো ধরনের নির্দেশনা না থাকা ও সুরক্ষা এপে রেজিস্ট্রেশন সাবমিট করতে না পারার মতো জটিলতা দেখা দিয়েছে। 

এদিকে ইউজিসি নোটিশ দিলেও যথাযথ নির্দেশনা দেয়নি বলে দুষছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুরক্ষা এপে নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করা নিয়েও দুপক্ষের বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। 

জানা যায়, গত ১ জুলাই ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য আহ্বান জানানো হয়। এর দুই দিন পর ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য আবেদন করতে বলা হয়। এক সপ্তাহের ওই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী টিকার আবেদন করেন। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগে একবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তালিকা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও বিজ্ঞপ্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আবেদন চাওয়া হয়। আবার সুরক্ষা এপে আবেদন করতে গেলে শিক্ষার্থীদের আবেদন সাবমিট করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও কোনো ধরনের নির্দেশনা পাওয়ায় যাচ্ছে না। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের তালিকা করে আমরা ইউজিসিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। যাদের এনআইডি নেই তাঁদেরও তালিকা করছি। শিগগিরই সেই তালিকাও আমরা পাঠিয়ে দেব। এ সময় তিনি বাকি তথ্য জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। 

এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, ইউজিসি থেকে আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। টিকা নেওয়ার মত কয়জন শিক্ষার্থী আছে সেটা আমরা পাঠিয়েছি। এখন আবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীদের যাদের টিকা লাগবে তাঁরা সুরক্ষা এপে আবেদন করতে হবে। ইউজিসিতে একবার তালিকা দেওয়ার পর পুনরায় কেন আবেদন করতে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউজিসি থেকে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। এ জন্য নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ টিকা পেতে পারেন তাও তিনি জানেন না। 

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে। এ জন্য আমরা আবার নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। এর আগেই অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কাছে তালিকা পাঠিয়েছে। আমরা তাঁদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। যারা তালিকা পাঠিয়েছে তাঁদের রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন নেই। তালিকা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবার মোবাইলে মেসেজ চলে যাবে। আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। ৩০ লাখ টিকা শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ আছে। 

অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কখন টিকা পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনাবাসিক হলে প্রায়োরিটির ভিত্তিতে টিকা পরে পাবে। আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করা হবে। তবে টিকা দেওয়ার এই প্রক্রিয়া খুব বেশি দীর্ঘায়িত হবে না বলে জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক স্বামীকে শায়েস্তা করতে যুবদল নেতাকে ভাড়া নারীর

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শহিদুল ইসলাম । ছবি : সংগৃহীত
শহিদুল ইসলাম । ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক স্বামী শহিদুলকে শায়েস্তা করতে যুবদল নেতাকে ভাড়া করেন নাসরিন বেগম নামের এক নারী। ঘটনার পর পুলিশ নাসরিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ রোববার সকালে শহিদুলের বোন আলেয়া বেগম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে শহিদুলের সাবেক স্ত্রী নাসরিন, যুবদল নেতা সকাল মাহমুদ, রবিন শেখ, ছাত্রদল নেতা তৌফিক ওমরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত নির্মাণশ্রমিক শহিদুল ইসলামের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি মির্জাপুরের গোড়াই জোড়পুকুর পাড় এলাকায় থেকে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে শহিদুলের সাবেক স্ত্রী নাসরিনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারদিঘী গ্রামে।

গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, শহিদুলের সঙ্গে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী নাসরিনের কয়েক মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়। কিন্তু সংসার করার সময় তাঁদের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও শহিদুলের মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছিল। বিচ্ছেদের পর সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শহিদুল নাসরিনকে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দিচ্ছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শহিদুলের মোবাইল ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও উদ্ধারের জন্য গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক সকাল মাহমুদসহ যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলের কয়েকজন নেতাকে ভাড়া করেন নাসরিন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে যুবদল নেতা সকাল মাহমুদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিন শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌফিক ওমরসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা জোড়পুকুর পাড় এলাকায় গিয়ে শহিদুলকে এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পথে শহিদুল মারা যান।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহত ব্যক্তির সাবেক স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলের মালপত্র বিক্রি, নেওয়ার সময় শিক্ষক ধরা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ট্রাকসহ মালামাল আটক। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাকসহ মালামাল আটক। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের পুরোনো বেঞ্চ, ফ্যানসহ অন্যান্য মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই মালামাল নেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও অফিস সহায়ক সুমন এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়েছেন। পরে অবশ্য তাঁরা পালিয়ে যান।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলে দুটি ট্রাকে তিন শতাধিক বেঞ্চ, ফ্যান ও রড নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ধরা পড়েন তাঁরা।

জানা যায়, পঞ্চমীঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও অফিস সহায়ক সুমন পুরোনো বেঞ্চ, ফ্যানসহ ওই মালপত্র অবৈধভাবে ভাঙারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। পরে রাতের অন্ধকারে ট্রাকযোগে ওই মালপত্র নেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও অফিস সহায়ক সুমনকে এলাকাবাসী আটক করেন। এ সময় কৌশলে শিক্ষক আব্দুল বাতেন ও সুমন মালামাল ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে তালতলা তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামালগুলো জব্দ করে।

স্থানীয় তকির আহম্মেদ বলেন, মালামাল ট্রাক ভর্তি করে স্কুল থেকে নেওয়ার সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে এলাকাবাসী চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা কোনো কাগজপত্র ও সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ বলেন, স্কুলের বেঞ্চ ও ফ্যান জনগণকে না জানিয়ে চুরি করে রাতের বেলা কীভাবে বিক্রি করে। সেগুলো এলাকাবাসী হাতে নাতে আটক করে আমাকে খবর দেন। পরে এসে দেখি, প্রায় কোটি টাকার মালামাল চুরি করে বিক্রি করেছে।’

পঞ্চমীঘাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেজল্যুশন করে মালামাল বিক্রি করেছি। মালামাল বিক্রির টাকা স্কুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এগুলো কোনো চোরাই মাল নয়। ট্রাকে মালামাল উঠাতে দেরি হয়েছে। তাই মালামাল নিতে রাত হয়েছে।’

তালতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, বিক্রির প্রক্রিয়ায় নিয়মভঙ্গ হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।

আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত বাবু মিয়া (২৪) ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বাবু মিয়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ইছাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নান্দু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কিশোরীর বাবা মসজিদে ছিলেন আর মা গিয়েছিলেন গোসল করতে। এই সুযোগে বাবু মিয়া প্রলোভন দেখিয়ে বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একটি নির্জন ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলমাঠের পানি সেচে মাছ ধরলেন স্থানীয়রা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫০
মাছ ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাছ ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দূর থেকে দেখে মনে হবে, এটা একটা জলাশয় বা পুকুর আর সেখানে মাছ ধরছে স্থানীয় লোকজন ও কিছু শিক্ষার্থী। তবে নিকটে গেলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এটা পুকুর বা জলাশয় নয়, জলাবদ্ধ মাঠটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের। আজ রোববার মেশিন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করে মাছ ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় এখানে স্থানীয় কয়েকজন মাছ ছেড়েছিলেন।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় এ মাঠের জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম হোসেন বলে, ‘আমার বন্ধুরাসহ অনেকে এখানে মাছ দিয়েছিল। আজ সবাই মাছ ধরতে এসেছে। অনেক লোকজন মাছ ধরছে।’

নিশান আহমেদ নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকার কারণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে এখানে মাছ দিয়েছিল। আজ পানি নিষ্কাশন করে সবাই মিলে মাছ ধরছে। অনেক মজা হচ্ছে। অনেকেই মাছ ধরতে আসছে। সবাই আনন্দের সঙ্গে মাছ ধরছে। আমি দেখতে এসেছি।’

স্থানীয় মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও মাছ ধরছি। এখানে অনেক মাছ দেওয়া আছে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা ছিল, তাই এখানে মাছ দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই মাছ ধরা হচ্ছে।’

মাছ ধরতে আসা মো. রতন আলী বলেন, বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজমাঠে জলাবদ্ধতার কারণে টাকি মাছসহ কয়েক প্রকার দেশীয় মাছ দেওয়া হয়। আজ পানি সেচে সেই মাছ ধরা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও পানিতে নেমে মাছ ধরছে।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে সম্ভবত স্থানীয় কয়েকজন বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে মাছ দিয়েছিলেন। সেই মাছ আজ তাঁরা ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে কিছুই জানি না। জেলা পরিষদ থেকে যে দুই লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা, সেটা এখনো পাইনি। তবে কয়েক দিন আগে জেলা পরিষদ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তিনি বলেছেন পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ পদ্ধতি করতে গেলে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের অনুমোদন লাগবে।’

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে দীর্ঘদিন যে জলাবদ্ধতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের যে নিজস্ব আয় রয়েছে, সেখান থেকেও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তা ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত