Ajker Patrika

স্কুলমাঠের পানি সেচে মাছ ধরলেন স্থানীয়রা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫০
মাছ ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাছ ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দূর থেকে দেখে মনে হবে, এটা একটা জলাশয় বা পুকুর আর সেখানে মাছ ধরছে স্থানীয় লোকজন ও কিছু শিক্ষার্থী। তবে নিকটে গেলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। এটা পুকুর বা জলাশয় নয়, জলাবদ্ধ মাঠটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের। আজ রোববার মেশিন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করে মাছ ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় এখানে স্থানীয় কয়েকজন মাছ ছেড়েছিলেন।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় এ মাঠের জলাবদ্ধতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম হোসেন বলে, ‘আমার বন্ধুরাসহ অনেকে এখানে মাছ দিয়েছিল। আজ সবাই মাছ ধরতে এসেছে। অনেক লোকজন মাছ ধরছে।’

নিশান আহমেদ নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকার কারণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে এখানে মাছ দিয়েছিল। আজ পানি নিষ্কাশন করে সবাই মিলে মাছ ধরছে। অনেক মজা হচ্ছে। অনেকেই মাছ ধরতে আসছে। সবাই আনন্দের সঙ্গে মাছ ধরছে। আমি দেখতে এসেছি।’

স্থানীয় মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও মাছ ধরছি। এখানে অনেক মাছ দেওয়া আছে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা ছিল, তাই এখানে মাছ দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই মাছ ধরা হচ্ছে।’

মাছ ধরতে আসা মো. রতন আলী বলেন, বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজমাঠে জলাবদ্ধতার কারণে টাকি মাছসহ কয়েক প্রকার দেশীয় মাছ দেওয়া হয়। আজ পানি সেচে সেই মাছ ধরা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও পানিতে নেমে মাছ ধরছে।

বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার কারণে সম্ভবত স্থানীয় কয়েকজন বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে মাছ দিয়েছিলেন। সেই মাছ আজ তাঁরা ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে কিছুই জানি না। জেলা পরিষদ থেকে যে দুই লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা, সেটা এখনো পাইনি। তবে কয়েক দিন আগে জেলা পরিষদ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। তিনি বলেছেন পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ পদ্ধতি করতে গেলে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের অনুমোদন লাগবে।’

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাংনী উপজেলার বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে দীর্ঘদিন যে জলাবদ্ধতা রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা বিষয়টি অতি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষের যে নিজস্ব আয় রয়েছে, সেখান থেকেও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তা ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...