শাহরিয়ার হাসান, টেকনাফ থেকে ফিরে
ইয়াবার মতো মিয়ানমার থেকে আসছে আরেক ভয়াবহ মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথ। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তবে ইয়াবার তুলনায় এই মাদকে তুলনামূলক সাড়া কম। তাই দাম কমিয়ে মাদকসেবীদের টানার চেষ্টা করছেন মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা। চার মাস আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই মাদকের কেজিপ্রতি দাম সাত লাখ টাকা থাকলেও এখন মাত্র এক লাখে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্যাম্প পেরিয়ে মাদকসেবীদের হাতে পৌঁছাতেই আইসের দাম বেড়ে কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই মাদকের ১৭টি চালান ধরা পড়ে, যার পরিমাণ প্রায় ১৯ কেজি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইস বিশ্বে পুরোনো মাদক হলেও বাংলাদেশে নতুন। মিয়ানমারের কারবারিরা যখন আইস ব্যবসা শুরু করেছে, তখন দেশে এই মাদক আসতে শুরু করে। ব্যাপক নজরদারির মধ্যেও দেশের ভেতরে এই মাদক ঢুকছে। আমরা মাদক চালান নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্ট বাড়াচ্ছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, জব্দ আইসের রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সবই প্রায় এক চালানের মাদক। আইস আসক্তদের কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। স্বভাব হয়ে ওঠে হিংস্র। হত্যাসহ যেকোনো অপরাধ করতে তারা দ্বিধা করে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এখন পর্যন্ত এই মাদকের বাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম। ইয়াবার তুলনায় চাহিদা কম বলে মিয়ানমারের কারবারিরা অল্প দামে ছাড়ছেন এই মাদক।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, মিয়ানমারের আইস সিন্ডিকেটের হোতা লেদার মাধ্যমে বছরের শুরুতে দুটি নৌকায় আইসের দুটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা মাদক কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে এই মাদক দেশে ঢুকেছে। এরপর মজুত করা হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এখন পর্যন্ত আটক আইসের সব চালান ক্যাম্প থেকে বিক্রি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত আইসের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের সদস্য ১০-১২ জন। এঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তাঁরাই দেশি কারবারিদের কাছে আইস বিক্রি করছেন। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় আইসের ক্রেতা সেজে উখিয়ার রোহিঙ্গা-১২ নম্বর ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের কাছে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে এক কারবারি প্রতি কেজি আইসের দাম দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য বলেন, তাঁরা ঢাকা পর্যন্ত এই চালান পৌঁছে দিতে পারবেন। তবে এর জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দিতে হবে ১৫ লাখ টাকা।
এই আইস কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় এলে খুচরায় প্রতি ১০ গ্রাম এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মো. শেখ সাদী বলেন, আইসে টাকা বিনিয়োগ করছেন টেকনাফের চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়ায়, সেখান থেকে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ১০-১২ হাত ঘুরে মাদক দেশে ঢোকে।
ঢাকায় আইসের বিপুল দাম প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, কৌতূহল থেকে নতুন মাদকের প্রতি মাদকসেবীদের ঝোঁক বেশি থাকে। এদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছর। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আইসের সবচেয়ে বেশি ৯টি চালান ধরা পড়ে কক্সবাজারে, পাঁচটি ঢাকায় এবং তিনটি চট্টগ্রামে। সব চালানই এসেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে।
সর্বশেষ আইসের সবচেয়ে বড় পাঁচ কেজির চালান নিয়ে গত শনিবার যাত্রাবাড়ী থেকে হোছেন ওরফে খোকন ও সহযোগী মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইয়াবার সঙ্গে বাংলাদেশে আইসের কারবার ছড়িয়ে দিতে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে আইস।
ইয়াবার মতো মিয়ানমার থেকে আসছে আরেক ভয়াবহ মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথ। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তবে ইয়াবার তুলনায় এই মাদকে তুলনামূলক সাড়া কম। তাই দাম কমিয়ে মাদকসেবীদের টানার চেষ্টা করছেন মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা। চার মাস আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই মাদকের কেজিপ্রতি দাম সাত লাখ টাকা থাকলেও এখন মাত্র এক লাখে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্যাম্প পেরিয়ে মাদকসেবীদের হাতে পৌঁছাতেই আইসের দাম বেড়ে কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই মাদকের ১৭টি চালান ধরা পড়ে, যার পরিমাণ প্রায় ১৯ কেজি।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইস বিশ্বে পুরোনো মাদক হলেও বাংলাদেশে নতুন। মিয়ানমারের কারবারিরা যখন আইস ব্যবসা শুরু করেছে, তখন দেশে এই মাদক আসতে শুরু করে। ব্যাপক নজরদারির মধ্যেও দেশের ভেতরে এই মাদক ঢুকছে। আমরা মাদক চালান নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্ট বাড়াচ্ছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, জব্দ আইসের রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সবই প্রায় এক চালানের মাদক। আইস আসক্তদের কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। স্বভাব হয়ে ওঠে হিংস্র। হত্যাসহ যেকোনো অপরাধ করতে তারা দ্বিধা করে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এখন পর্যন্ত এই মাদকের বাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম। ইয়াবার তুলনায় চাহিদা কম বলে মিয়ানমারের কারবারিরা অল্প দামে ছাড়ছেন এই মাদক।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, মিয়ানমারের আইস সিন্ডিকেটের হোতা লেদার মাধ্যমে বছরের শুরুতে দুটি নৌকায় আইসের দুটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা মাদক কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে এই মাদক দেশে ঢুকেছে। এরপর মজুত করা হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এখন পর্যন্ত আটক আইসের সব চালান ক্যাম্প থেকে বিক্রি হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত আইসের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের সদস্য ১০-১২ জন। এঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তাঁরাই দেশি কারবারিদের কাছে আইস বিক্রি করছেন। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় আইসের ক্রেতা সেজে উখিয়ার রোহিঙ্গা-১২ নম্বর ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের কাছে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে এক কারবারি প্রতি কেজি আইসের দাম দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য বলেন, তাঁরা ঢাকা পর্যন্ত এই চালান পৌঁছে দিতে পারবেন। তবে এর জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দিতে হবে ১৫ লাখ টাকা।
এই আইস কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় এলে খুচরায় প্রতি ১০ গ্রাম এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মো. শেখ সাদী বলেন, আইসে টাকা বিনিয়োগ করছেন টেকনাফের চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়ায়, সেখান থেকে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ১০-১২ হাত ঘুরে মাদক দেশে ঢোকে।
ঢাকায় আইসের বিপুল দাম প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, কৌতূহল থেকে নতুন মাদকের প্রতি মাদকসেবীদের ঝোঁক বেশি থাকে। এদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছর। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আইসের সবচেয়ে বেশি ৯টি চালান ধরা পড়ে কক্সবাজারে, পাঁচটি ঢাকায় এবং তিনটি চট্টগ্রামে। সব চালানই এসেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে।
সর্বশেষ আইসের সবচেয়ে বড় পাঁচ কেজির চালান নিয়ে গত শনিবার যাত্রাবাড়ী থেকে হোছেন ওরফে খোকন ও সহযোগী মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইয়াবার সঙ্গে বাংলাদেশে আইসের কারবার ছড়িয়ে দিতে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে আইস।
বাঁচব না হয় মরব, কোনো রাজাকার-আলবদরের বাচ্চা মুক্তিযুদ্ধকে এ দেশ থেকে মুছতে পারবে না—এমন মন্তব্য করেছেন পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
৩ মিনিট আগেবরগুনার পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারের ভেতরে দুর্ঘটনায় মো. ছিদ্দিক ভান্ডারি (৫০) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে আহত অবস্থায় তাঁকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৩২ মিনিট আগেখুলনায় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া কেডিএর শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক খুলনার উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারী ইউনিয়নের উদয়নগর বিওপি নামের ওই ক্যাম্পটি নদীতে তলিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে