Ajker Patrika

রোহিঙ্গা শিবির থেকেই ছড়াচ্ছে আইস

শাহরিয়ার হাসান, টেকনাফ থেকে ফিরে
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১১: ০৪
রোহিঙ্গা শিবির থেকেই ছড়াচ্ছে আইস

ইয়াবার মতো মিয়ানমার থেকে আসছে আরেক ভয়াবহ মাদক আইস বা ক্রিস্টাল মেথ। টেকনাফ সীমান্তপথে দেশে ঢোকার পর এই মাদক মজুত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তবে ইয়াবার তুলনায় এই মাদকে তুলনামূলক সাড়া কম। তাই দাম কমিয়ে মাদকসেবীদের টানার চেষ্টা করছেন মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা। চার মাস আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই মাদকের কেজিপ্রতি দাম সাত লাখ টাকা থাকলেও এখন মাত্র এক লাখে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্যাম্প পেরিয়ে মাদকসেবীদের হাতে পৌঁছাতেই আইসের দাম বেড়ে কোটি টাকায় দাঁড়ায়। চলতি বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই মাদকের ১৭টি চালান ধরা পড়ে, যার পরিমাণ প্রায় ১৯ কেজি।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইস বিশ্বে পুরোনো মাদক হলেও বাংলাদেশে নতুন। মিয়ানমারের কারবারিরা যখন আইস ব্যবসা শুরু করেছে, তখন দেশে এই মাদক আসতে শুরু করে। ব্যাপক নজরদারির মধ্যেও দেশের ভেতরে এই মাদক ঢুকছে। আমরা মাদক চালান নিয়ন্ত্রণে চেকপোস্ট বাড়াচ্ছি।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, জব্দ আইসের রাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সবই প্রায় এক চালানের মাদক। আইস আসক্তদের কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। স্বভাব হয়ে ওঠে হিংস্র। হত্যাসহ যেকোনো অপরাধ করতে তারা দ্বিধা করে না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এখন পর্যন্ত এই মাদকের বাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম। ইয়াবার তুলনায় চাহিদা কম বলে মিয়ানমারের কারবারিরা অল্প দামে ছাড়ছেন এই মাদক।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, মিয়ানমারের আইস সিন্ডিকেটের হোতা লেদার মাধ্যমে বছরের শুরুতে দুটি নৌকায় আইসের দুটি চালান এসেছে। স্থানীয় হারেজ, জাফর, তারেক, আশিকসহ জামিনে থাকা মাদক কারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে এই মাদক দেশে ঢুকেছে। এরপর মজুত করা হয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এখন পর্যন্ত আটক আইসের সব চালান ক্যাম্প থেকে বিক্রি হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত আইসের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে মুন্না গ্রুপ। এই গ্রুপের সদস্য ১০-১২ জন। এঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকেন। তাঁরাই দেশি কারবারিদের কাছে আইস বিক্রি করছেন। তবে এখনো এই মুন্না গ্রুপের সদস্যদের অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় আইসের ক্রেতা সেজে উখিয়ার রোহিঙ্গা-১২ নম্বর ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের কাছে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে এক কারবারি প্রতি কেজি আইসের দাম দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য বলেন, তাঁরা ঢাকা পর্যন্ত এই চালান পৌঁছে দিতে পারবেন। তবে এর জন্য ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। আর চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দিতে হবে ১৫ লাখ টাকা।

এই আইস কক্সবাজার-চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় এলে খুচরায় প্রতি ১০ গ্রাম এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ মো. শেখ সাদী বলেন, আইসে টাকা বিনিয়োগ করছেন টেকনাফের চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়ায়, সেখান থেকে চলে যাচ্ছে মিয়ানমারে। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ১০-১২ হাত ঘুরে মাদক দেশে ঢোকে।

ঢাকায় আইসের বিপুল দাম প্রসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, কৌতূহল থেকে নতুন মাদকের প্রতি মাদকসেবীদের ঝোঁক বেশি থাকে। এদের বয়স ১৮ থেকে ২৭ বছর। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আইসের সবচেয়ে বেশি ৯টি চালান ধরা পড়ে কক্সবাজারে, পাঁচটি ঢাকায় এবং তিনটি চট্টগ্রামে। সব চালানই এসেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে।

সর্বশেষ আইসের সবচেয়ে বড় পাঁচ কেজির চালান নিয়ে গত শনিবার যাত্রাবাড়ী থেকে হোছেন ওরফে খোকন ও সহযোগী মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইয়াবার সঙ্গে বাংলাদেশে আইসের কারবার ছড়িয়ে দিতে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে আইস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা ওরফে ঝুমা তালুকদার।

গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ (৫২), ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী মোল্লা (৫৪), আওয়ামী লীগ কর্মী জুবায়ের হোসেন ওরফে মামুন (৪৮), কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশরাফ সিদ্দিকী (৫১), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. রমজান (৪৭) এবং রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ ভূঁইয়া (৪৯)।

ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল দুপুরে গুলিস্তান থেকে আশরাফ সিদ্দিকী ও মো. রমজান, বিকেলে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নাসির আহমেদ, রাতে বারিধারা থেকে হাসান আলী মোল্লা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মোশারফ ভূঁইয়া, শ্যামলী আবাসিক এলাকা থেকে জুবায়ের হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে আজ বুধবার সকালে ধানমন্ডি এলাকা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা ওরফে ঝুমা তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রদল নেতার বাবার নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতার বাবার নেতৃত্বে চালানো হামলায় তিনজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন স্থানীয় সাংবাদিক আকাশ, মামুন আব্দুল্লাহ ও আয়াজ রেজা।

পুলিশ হামলাকারী শাহাদাত হোসেনকে (৬০) আটক করেছে। তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা।

সাংবাদিক মো. আকাশ জানান, গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এক নারীর অভিযোগ ছিল তাঁদের জমি দখল করে রেখেছিলেন ছাত্রদল নেতা আতা-ই-রাব্বীর বাবা শাহাদাত। ওই ঘটনায় নারী ফতুল্লা থানায় একাধিকবার জিডি করেছেন। এই বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলে শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা করেন।

একপর্যায়ে আমাদের একটি রুমে আটকে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল ভেঙে ফেলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করলে আমরা খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়ন চেয়ে বিএনপি নেতার সমর্থকদের মানববন্ধন

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শহিদুল আলমকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শহিদুল আলমকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সমর্থকেরা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে শহিদুলকে ধানের শীষের প্রার্থী করার দাবিতে কালিগঞ্জ ব্রিজ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন করেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

মানববন্ধনে বিক্ষোভকারীরা ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’ বলে স্লোগান তোলেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কিসমাতুল বারী। এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান পাড়, জেলা তরুণ দলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, বিএনপি নেতা এস এম হাফিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহিদুল আলম জনমানুষের নেতা। মানুষটি কখনো নিজের জন্য ভাবেননি। তিনি গরিবের চিকিৎসক। তাঁকে মনোনয়ন না দিলে সাতক্ষীরা-৩ আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হবে। তাঁরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত দ্রুত পুনর্বিবেচনা করে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল ও শহিদুলকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে নেতারা সাত দিনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজন হলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করবেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেরোবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে অব্যাহতি

বেরোবি প্রতিনিধি 
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যৌন হয়রানির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিভাগীয় জরুরি সভার সিদ্ধান্তে এই অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় এক জরুরি সভায় ড. শাকিবুল ইসলামের নিকট বণ্টনকৃত চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোর্সসমূহ পুনর্বণ্টনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে DSM4207 (Research Project) কোর্সে সুপারভাইজার ও দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সদস্যপদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য শিক্ষককে নতুন সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, ড. শাকিবুল ইসলামকে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এমএসসি ২০২৪-২৫ প্রোগ্রাম থেকেও সম্পূর্ণভাবে বিরত রাখা হবে।

অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের এক নারী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ড. শাকিবুল ইসলামকে ওই ব্যাচের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভুক্তভোগী প্রশাসন বরাবরও অভিযোগ দায়ের করেছে, বিষয়টি যৌন নিপীড়ন সেলে গিয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা এখনো অবগত নই।’

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং যৌন নিপীড়ন সেলের সদস্যসচিব ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত