Ajker Patrika

কক্সবাজারে ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উপকূলজুড়ে তীব্র ভাঙন

  • ৩৪ বছরেও কুতুবদিয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি
  • ২০-৩০ বছরের মধ্যে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিনের মতো দ্বীপগুলো স্থায়ীভাবে প্লাবিত হবে: পরিবেশবিদ
  • এক যুগ ধরে সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে: ব্যবসায়ী
  • এসব স্থান রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে: পাউবো
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৪০
সাগরের ঢেউয়ে ক্রমাগত ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১০০ মিটারের বেশি বেড়িবাঁধ। সম্প্রতি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ুবিদ্যুৎ এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাগরের ঢেউয়ে ক্রমাগত ভাঙনে বিলীন হয়েছে ১০০ মিটারের বেশি বেড়িবাঁধ। সম্প্রতি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ুবিদ্যুৎ এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘন ঘন বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল থাকছে বঙ্গোপসাগর। এ সময় সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ে ১ থেকে ৩ ফুট। এর মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ারের উচ্চতা আর গতিবেগ আরও বাড়ে। প্রতিকূল এই আবহাওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের কুতুবদিয়া থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় যা তীব্র।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতিবছর বাড়ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। অনেক এলাকায় জরাজীর্ণ ও ভাঙা বেড়িবাঁধ উপচে সাগরের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে এবং ভাঙনের সৃষ্টি করছে।

এ বছর বর্ষা ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ কয়েকবার প্লাবিত হয়েছে। গত ২৭ জুলাই সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে দ্বীপের সৈকতসংলগ্ন ১১টি হোটেল-রিসোর্ট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সময়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন ধরেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, মোটেল শৈবালের স্থাপনা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

শৈবাল পয়েন্টে ২৫ বছর ধরে কিটকটের (চেয়ার-ছাতা) ব্যবসা করা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘এক যুগ ধরে সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে প্রায় আধা কিলোমিটার সৈকতের তীর বিলীন হয়েছে। এ বছর শৈবালের পুরো ঝাউবন উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্যমতে, কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল, কৈয়ারবিল ও উত্তর ধরং ইউনিয়নের ২২টি স্থানে ৪ হাজার ৫১৯ মিটার, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এবং ধলঘাটা ইউনিয়নের সাইট পাড়া ও সরইতলী এলাকায় ২ হাজার ৮৮ মিটির, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও দক্ষিণ পাড়ায় ১ হাজার ৪২৫ মিটার, কক্সবাজার সদর উপজেলার সমুদ্রসৈকত, পশ্চিম পাড়া, চৌধুরী পাড়াসহ পাঁচটি স্থানে ২ হাজার ৬৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভাঙনে বিলীন হয়েছে।

পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জামাল মুর্শিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন ঠেকাতে কুতুবদিয়ায় ১২টি জায়গায় ৮১০ মিটার এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায় ১ হাজার ১২৫ মিটার বেড়িবাঁধ জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ভাঙা অংশগুলো মেরামত করতে ২৫ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, জোয়ারের তোড়ে সেন্ট মার্টিনের সৈকতের বালিয়াড়ি বিলীন হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। একইভাবে শাহপরীর দ্বীপেও বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে।

মে থেকে আগস্ট মাসে কক্সবাজার উপকূলে জোয়ারের উচ্চতা ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত বাড়ে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু শরীফ মো. মাহবুব-ই-কিবরিয়া। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী ২০-৩০ বছরের মধ্যে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিনের মতো দ্বীপগুলো স্থায়ীভাবে প্লাবিত হবে।

৩৪ বছরেও কুতুবদিয়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল কুতুবদিয়া উপজেলা। ৩৪ বছর আগে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে দ্বীপের অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। কোনো কোনো পরিবারে কেউ বেঁচে ছিল না। ঝড়-পরবর্তী উত্তাল সাগরে বিলীন হয়ে যায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের দুটি মৌজা খুদিয়ারটেক ও রাজাখালী। উদ্বাস্তু হন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

এই এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা হাজি আবুল কালাম (৮০)। স্বচক্ষে ১৯৬০ ও ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় দেখেছেন। তিনি জানান, ১৯৬০ সালের পর কুতুবদিয়া দ্বীপের চারপাশে উঁচু করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ধীরে ধীরে তা ক্ষয়ে যায়। ১৯৯১ সালের পর থেকে সরকার টেকসই বেড়িবাঁধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ হয়নি।

উত্তর ধূরং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হালিম বলেন, ‘বর্ষা এলেই ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা করে। এভাবেই চার-পাঁচ মাস তাঁর ইউনিয়নের চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে বসবাস করতে হয়।

কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ

এক দশক ধরে জিও ব্যাগ ফেলে কক্সবাজার উপকূলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ করছে পাউবো। ভাঙন রোধে এই উদ্যোগ সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী নয় বলে জানান কক্সবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, কক্সবাজার শহর রক্ষায় ৬৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একইভাবে কুতুবদিয়া দ্বীপ রক্ষায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ৮ কিলোমিটার এবং মাতারবাড়ী ও ধলঘাট রক্ষায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ১৭ কিলোমিটার সুপার ডাইক (উঁচু ও টেকসই বেড়িবাঁধ) নির্মাণে আলাদা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুষ্টিয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন সোহরাব সমর্থকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন।

এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষ্মীপুর এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন।

এ সময় তাঁরা বলেন, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে আবার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার চারটি আসনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৩ (সদর) কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদ্য সদর আসনের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া-তারেক রহমান প্রার্থী হওয়ায় বগুড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শহরে বিএনপির আনন্দ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া শহরে বিএনপির আনন্দ মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের জয়ের জন্য লড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। বগুড়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করার ঘোষণায় জেলাজুড়ে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বগুড়ায় জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হওয়ায় বরাবরই বগুড়া বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে এই জেলার দুটি আসনে (বগুড়া-৬ ও ৭) নির্বাচনে অংশ নিয়ে কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এই নির্বাচনী এলাকায় এবার তাঁর সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

আজ রাত ৮টায় বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।

সমাবেশে রেজাউল করিম বাদশা এই মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে ফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।

রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবে। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ

মাদারীপুর ও শিবচর প্রতিনিধি
শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় মাদারীপুর শিবচরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘন্টার সড়ক অবরোধে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি পদপ্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে মাদারীপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু। এখন মনোনয়ন না পাওয়ায় লাভলুর কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চরে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেছেন।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসলাম চৌধুরী নেই বিএনপির প্রার্থী তালিকায়, চট্টগ্রামে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে সমর্থকদের বিক্ষোভ

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ১৭
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের ভাটিয়ারী, জলিল গেট, বানুরবাজার, কুমিরা, পৌর সদরের শেখপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে মহাসড়কের দুদিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, দেখা দেয় চরম ভোগান্তি।

বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির রাজনীতির জন্য সর্বস্ব হারানো আসলাম চৌধুরী টানা ৯ বছর মিথ্যা মামলার ঘানি টেনেছেন। ব্যবসাসহ হারিয়েছেন সবকিছু। দলের জন্য নিবেদিত এ নেতাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া সীতাকুণ্ডের বিএনপির নেতা-কর্মীরা কখনো মেনে নেবে না। অবিলম্বে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপির ত্যাগী নেতা আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দিলে সীতাকুণ্ড বিএনপির নেতা-কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করবেন।

বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধের কারণে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী থেকে শেখপাড়া পর্যন্ত উভয়মুখী সড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে যানজট মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তবে অবরোধের দীর্ঘ এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো অবরোধ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। স্বাভাবিক হয়নি মহাসড়কে যানবাহন চলাচল।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোমিন জানান, আসলাম চৌধুরী-সমর্থিত বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভাটিয়ারী থেকে শেখপাড়া পর্যন্ত রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান বলেন, আসলাম চৌধুরী-সমর্থিত বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। পুলিশ অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত