নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে চকবাজারে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে রিকশাসহ নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৬ মাস বয়সী শিশু সেহেরিশের মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে নিজ বাসার পাশে একটি খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর চামড়ার গুদাম এলাকার চাক্তাই খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নগরের কাপাসগোলায় স্থানীয় একটি নালায় রিকশাসহ নালায় পড়ে গিয়েছিল শিশু সেহেরিশ, তাঁর মা ও দাদি।
স্থানীয় লোকজন শিশুটির মা ও দাদিকে উদ্ধার করতে পারলেও শিশুটি নিখোঁজ ছিল। নিহত শিশু সেহেরিশ নগরের আছাদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকার মো. শহিদ ও সালমা বেগম দম্পতির মেয়ে।
পরিবার বলেছে, শুক্রবার সোয়া ৮টার দিকে নগরের আছাদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকার বাসা থেকে চকবাজার কাপাসগোলায় শিশুটির ফুফুর বাসায় যেতে তাকে নিয়ে তার মা ও দাদি সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় করে রওনা হন। কাপাসগোলা নবাব হোটেলের পাশে হিজড়া খালের অংশে স্থানীয় একটি উন্মুক্ত নালা লাগোয়া সরু গলি দিয়ে যেতে হয় শিশুটির ফুফুর বাসায়। রাতে ওই সময় বৃষ্টি হওয়ায় কাপাসগোলায় নালার পানি উপচে পড়ছিল। পানিতে স্রোতও ছিল। গলিতে ছিল হাঁটুপানি। কাপাসগোলায় পৌঁছানোর পর শিশুটিকে নিয়ে তার মা ও দাদি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় ওঠেন। গলির হাঁটুপানি মাড়িয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত রিকশাটি নালায় পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ও পথচারীরা সেহরিশের মা ও দাদিকে উদ্ধার করেন। তবে শিশু সেহরিশ নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাতভর শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। শনিবার সকালে উদ্ধার অভিযানে নামে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। এরপর শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের খবর আসে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, কাপাসগোলায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪-৫ কিলোমিটার দূরে এক নম্বর চামড়ার গুদামসংলগ্ন চাক্তাই খাল থেকে স্থানীয়রা শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছেন। খালের পানিতে স্রোতের কারণে শিশুটির মরদেহ এত দূরে চলে গিয়েছিল।
নগরের চামড়ার গুদাম এলাকায় শিশুটিকে উদ্ধারকারী যুবক মো. মিজান সাংবাদিকদের বলেন, খালের পাড়ে হঠাৎ আবর্জনার মধ্যে একটি পুতুল পড়ে রয়েছে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু মন মানছিল না। পরে কাছে গিয়ে দেখি ওটা একটা শিশুর লাশ। পরে তিনি মানুষজন জড়ো করে শিশুর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দেন।
জানা যায়, নগরের এক নম্বর চামড়ার গুদাম এলাকার চাক্তাই খালের যে অংশে শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে, তার অদূরেই শুঁটকিপট্টি এলাকায় শিশুটির বাসা। তবে শনিবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাউকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেটে তালা লাগানো ছিল। এ কারণে শিশুটির পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এর আগে শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার পর শিশুটির মামা মারুফ বলেন, নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে রিকশাটি নালায় পড়েছে।
এদিকে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যুর মর্মান্তিক এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সমালোচনা করছেন। তাঁরা দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ করে খালপাড়ে বেষ্টনী বা রেলিং দেওয়ার দাবি জানান। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই তড়িঘড়ি করে কাপাসগোলার নালাটি বাঁশের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও দেন একদল শ্রমিক।
স্থানীয় মো. রুবেল বলেন, আগে নালাটিতে বাঁশের বেষ্টনী ছিল। জলাবদ্ধতা প্রকল্প কাজ চলার সময় তা ভেঙে ফেলা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আওতায় থাকা নালায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্লাব বসানো, মেরামত এগুলো নিয়মিত করে আসছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জলাবদ্ধতা প্রকল্পের জন্য ৩৬টি খাল সিডিএকে দিয়েছি। কাপাসগোলা এলাকায় হিজড়া খালে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটা এখন সিডিএর আওতায়। এখানে আগে বাঁশের বেষ্টনী ছিল। কদিন আগে এস্কেভেটর নিতে গিয়ে সেগুলো সরায় সিডিএ। তারা কাজ শেষে আমাদের এখনো বুঝিয়ে দেয়নি।’
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘আমরা ১৯টি খালের কাজ শেষ করেছি। সেগুলোতে বেষ্টনী দেওয়া আছে। হিজড়া খালটি আমাদের অধীনে ছিল না। সম্প্রতি সরকার সাড়ে ছয় শ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে এই খালে কাজ করতে বলে। আমরা এখনো সেখানে কাজই শুরু করিনি। শুধুমাত্র পরিষ্কার করেছি।’
চট্টগ্রামে চকবাজারে ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে রিকশাসহ নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া ৬ মাস বয়সী শিশু সেহেরিশের মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে নিজ বাসার পাশে একটি খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নগরীর চামড়ার গুদাম এলাকার চাক্তাই খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নগরের কাপাসগোলায় স্থানীয় একটি নালায় রিকশাসহ নালায় পড়ে গিয়েছিল শিশু সেহেরিশ, তাঁর মা ও দাদি।
স্থানীয় লোকজন শিশুটির মা ও দাদিকে উদ্ধার করতে পারলেও শিশুটি নিখোঁজ ছিল। নিহত শিশু সেহেরিশ নগরের আছাদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকার মো. শহিদ ও সালমা বেগম দম্পতির মেয়ে।
পরিবার বলেছে, শুক্রবার সোয়া ৮টার দিকে নগরের আছাদগঞ্জের শুঁটকিপট্টি এলাকার বাসা থেকে চকবাজার কাপাসগোলায় শিশুটির ফুফুর বাসায় যেতে তাকে নিয়ে তার মা ও দাদি সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় করে রওনা হন। কাপাসগোলা নবাব হোটেলের পাশে হিজড়া খালের অংশে স্থানীয় একটি উন্মুক্ত নালা লাগোয়া সরু গলি দিয়ে যেতে হয় শিশুটির ফুফুর বাসায়। রাতে ওই সময় বৃষ্টি হওয়ায় কাপাসগোলায় নালার পানি উপচে পড়ছিল। পানিতে স্রোতও ছিল। গলিতে ছিল হাঁটুপানি। কাপাসগোলায় পৌঁছানোর পর শিশুটিকে নিয়ে তার মা ও দাদি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নেমে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় ওঠেন। গলির হাঁটুপানি মাড়িয়ে যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত রিকশাটি নালায় পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ও পথচারীরা সেহরিশের মা ও দাদিকে উদ্ধার করেন। তবে শিশু সেহরিশ নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাতভর শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। শনিবার সকালে উদ্ধার অভিযানে নামে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। এরপর শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের খবর আসে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, কাপাসগোলায় দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৪-৫ কিলোমিটার দূরে এক নম্বর চামড়ার গুদামসংলগ্ন চাক্তাই খাল থেকে স্থানীয়রা শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছেন। খালের পানিতে স্রোতের কারণে শিশুটির মরদেহ এত দূরে চলে গিয়েছিল।
নগরের চামড়ার গুদাম এলাকায় শিশুটিকে উদ্ধারকারী যুবক মো. মিজান সাংবাদিকদের বলেন, খালের পাড়ে হঠাৎ আবর্জনার মধ্যে একটি পুতুল পড়ে রয়েছে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু মন মানছিল না। পরে কাছে গিয়ে দেখি ওটা একটা শিশুর লাশ। পরে তিনি মানুষজন জড়ো করে শিশুর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে তুলে দেন।
জানা যায়, নগরের এক নম্বর চামড়ার গুদাম এলাকার চাক্তাই খালের যে অংশে শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে, তার অদূরেই শুঁটকিপট্টি এলাকায় শিশুটির বাসা। তবে শনিবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাউকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গেটে তালা লাগানো ছিল। এ কারণে শিশুটির পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এর আগে শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার পর শিশুটির মামা মারুফ বলেন, নালার পাশে থাকা বাঁশের বেষ্টনী খুলে ফেলার কারণে রিকশাটি নালায় পড়েছে।
এদিকে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যুর মর্মান্তিক এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সমালোচনা করছেন। তাঁরা দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ করে খালপাড়ে বেষ্টনী বা রেলিং দেওয়ার দাবি জানান। জানা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই তড়িঘড়ি করে কাপাসগোলার নালাটি বাঁশের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও দেন একদল শ্রমিক।
স্থানীয় মো. রুবেল বলেন, আগে নালাটিতে বাঁশের বেষ্টনী ছিল। জলাবদ্ধতা প্রকল্প কাজ চলার সময় তা ভেঙে ফেলা হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আওতায় থাকা নালায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্লাব বসানো, মেরামত এগুলো নিয়মিত করে আসছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জলাবদ্ধতা প্রকল্পের জন্য ৩৬টি খাল সিডিএকে দিয়েছি। কাপাসগোলা এলাকায় হিজড়া খালে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটা এখন সিডিএর আওতায়। এখানে আগে বাঁশের বেষ্টনী ছিল। কদিন আগে এস্কেভেটর নিতে গিয়ে সেগুলো সরায় সিডিএ। তারা কাজ শেষে আমাদের এখনো বুঝিয়ে দেয়নি।’
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘আমরা ১৯টি খালের কাজ শেষ করেছি। সেগুলোতে বেষ্টনী দেওয়া আছে। হিজড়া খালটি আমাদের অধীনে ছিল না। সম্প্রতি সরকার সাড়ে ছয় শ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে এই খালে কাজ করতে বলে। আমরা এখনো সেখানে কাজই শুরু করিনি। শুধুমাত্র পরিষ্কার করেছি।’
ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের হারিজের মোড় থেকে ফরিদপুর গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কটি তিন মিটার প্রশস্ত করে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজের জন্য চলতি বছরের মার্চে এলজিইডি দরপত্র আহ্বান করে। ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় চিরিরবন্দর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনতাজ ট্রেডার্স।
১৩ মিনিট আগেরোববার রাত ৮টার দিকে ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ গয়েশপুর বিওপির হাবিলদার শিশিরের নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্ত ইউনিয়নের পিচমোড় থেকে আটটি স্বর্ণের বার এবং ছোট একটি স্বর্ণের টুকরাসহ গয়েশপুরের তেতুল মণ্ডলের ছেলে মো. মমিনকে আটক করে। তিনি বাইসাইকেলে স্বর্ণের বারগুলো ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
২২ মিনিট আগেইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোববার পশুর হাট বসিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন। আমি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২৬ মিনিট আগেগত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
২৯ মিনিট আগে