চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১১ বছর আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় গুলিতে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ১০ বছর আগে মৃত যুবলীগ নেতাকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার নিহতের বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম (৪৪) বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে প্রধান আসামি করে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর ১১৪ নম্বর আসামি মৃত যুবলীগ নেতা আবু বক্কর। মামলায় আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী মোহাম্মদ শাহ আলমের সঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়েছে। মৃত আবু বক্করকে আমি চিনি না। মামলাটি রাজনৈতিক নেতারা করেছেন। আমি শুধু বাদী হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে (মিজান) হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতারা ও পুলিশের পক্ষ নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল, আমি রাজি হইনি। আমাকে মামলায় আসামি করারও হুমকি দিয়েছিল। পুলিশ উল্টো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। পরে ২০১৩ সালে আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছিলাম।’ বাদীর ভাষ্য, ‘মামলাটি আওয়ামী লীগ খেয়ে ফেলেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর (৯ বছর ১০ মাস) আগে আবু বক্কর একদল সন্ত্রাসীর হাতে নিহত হন। তিনি সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের নজির আহমদের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। সেখানে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন আবু বক্কর। হত্যার পর চকরিয়া থানায় মামলা করে তার পরিবার।
এ বিষয়ে বক্করের স্ত্রী সোনিয়া আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবু বক্করকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছিল। এখন প্রায় ৯ বছর ১০ মাস পার হয়ে গেছে। এরপরও একজন মৃত ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আসামি করাটা দুঃখজনক। তবে কারা, কী কারণে মামলা করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূইয়া বলেন, ‘১১৪ নম্বর আসামির বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। বাদী এজাহারে যেসব আসামির নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। কীভাবে মৃত ব্যক্তি আসামি করলেন, বাদীর সঙ্গে কথা বলা হবে।’
মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। এরই অংশ হিসেবে চকরিয়া পৌর শহরে পুরোনো জনতা মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিল নিয়ে রওনা দেয়। এ সময় কিশোর মো. মিজানুর রহমান মিছিলে যোগ দেয়।
মিছিলটি কাকারা-মানিকপুর-সুরাজপুর রোডের কাকারা পুলেরছড়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল লোক মিছিলের ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমান নিহত হয়। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়।
১১ বছর আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় গুলিতে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ১০ বছর আগে মৃত যুবলীগ নেতাকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার নিহতের বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম (৪৪) বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে প্রধান আসামি করে ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর ১১৪ নম্বর আসামি মৃত যুবলীগ নেতা আবু বক্কর। মামলায় আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী মোহাম্মদ শাহ আলমের সঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়েছে। মৃত আবু বক্করকে আমি চিনি না। মামলাটি রাজনৈতিক নেতারা করেছেন। আমি শুধু বাদী হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেকে (মিজান) হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতারা ও পুলিশের পক্ষ নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল, আমি রাজি হইনি। আমাকে মামলায় আসামি করারও হুমকি দিয়েছিল। পুলিশ উল্টো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। পরে ২০১৩ সালে আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছিলাম।’ বাদীর ভাষ্য, ‘মামলাটি আওয়ামী লীগ খেয়ে ফেলেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর (৯ বছর ১০ মাস) আগে আবু বক্কর একদল সন্ত্রাসীর হাতে নিহত হন। তিনি সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের নজির আহমদের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। সেখানে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিতেন আবু বক্কর। হত্যার পর চকরিয়া থানায় মামলা করে তার পরিবার।
এ বিষয়ে বক্করের স্ত্রী সোনিয়া আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবু বক্করকে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছিল। এখন প্রায় ৯ বছর ১০ মাস পার হয়ে গেছে। এরপরও একজন মৃত ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আসামি করাটা দুঃখজনক। তবে কারা, কী কারণে মামলা করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূইয়া বলেন, ‘১১৪ নম্বর আসামির বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। বাদী এজাহারে যেসব আসামির নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। কীভাবে মৃত ব্যক্তি আসামি করলেন, বাদীর সঙ্গে কথা বলা হবে।’
মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। এরই অংশ হিসেবে চকরিয়া পৌর শহরে পুরোনো জনতা মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ মিছিল নিয়ে রওনা দেয়। এ সময় কিশোর মো. মিজানুর রহমান মিছিলে যোগ দেয়।
মিছিলটি কাকারা-মানিকপুর-সুরাজপুর রোডের কাকারা পুলেরছড়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল লোক মিছিলের ওপর গুলি ছুড়তে থাকে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমান নিহত হয়। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে