ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে মুরাদ মিয়া (৩৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সেজামোড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। মুরাদ মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুরাদ মিয়া ওই এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহত মুরাদ মিয়ার স্ত্রী রত্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘সীমান্তের কাছে আমাদের জমি আছে, যেখানে আমরা সবজি চাষ করি। সকালে আমি ওই সবজিখেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে আমার স্বামী লিচুগাছে পানি দেওয়ার পর বললেন, তিনি জমি দেখে আসছেন। বিকেল ৫টার দিকে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে কোথাও পাইনি। পরে একজন ফোনে জানান, বিএসএফ তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় জানানো হলেও মাগরিবের নামাজের পরও তাঁর সন্ধান পাইনি। এ সময় একটি বাচ্চা এসে জানায়, সীমান্তে তাঁকে মারধর করে ফেলে রেখেছে। পরে আহত মুরাদ তাঁর স্ত্রীকে জানান, বিএসএফ তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। আহত অবস্থায় তাঁকে বিজিবি ধানখেতে রেখে দেয়।’
মুরাদ মিয়ার বড় বোন আমেনা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় বিজিবি খবর দিলে ধানখেত থেকে আমার ভাইকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান। সীমান্ত পিলার থেকে আমাদের বাড়ি ১৫০ গজ দূরে। আমার ভাই সীমান্তে জমিতে চাষ করেন। বাজারে তাঁর ব্যবসাও ছিল। বিএসএফ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার বিচার চাই।’
২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাত বলেন, ‘জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি করি। ইসিজি অনুযায়ী তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
তবে বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসএফের জিরো লাইন অতিক্রম করার কথা নয়। তবে মুরাদ কী কারণে সীমান্তে গিয়েছিলেন বা কে তাঁকে ধরে নিয়ে মেরেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তিনি এসে একটি গাছের নিচে বসে ছিলেন। তখন আমাদের টহল টিম তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানিয়েছিলেন, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ফিরে এসেছেন। এরপর একজনের মাধ্যমে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকি বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে মুরাদ মিয়া (৩৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার সেজামোড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। মুরাদ মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুরাদ মিয়া ওই এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
নিহত মুরাদ মিয়ার স্ত্রী রত্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘সীমান্তের কাছে আমাদের জমি আছে, যেখানে আমরা সবজি চাষ করি। সকালে আমি ওই সবজিখেতে গিয়েছিলাম। বিকেলে আমার স্বামী লিচুগাছে পানি দেওয়ার পর বললেন, তিনি জমি দেখে আসছেন। বিকেল ৫টার দিকে তাঁকে খুঁজতে গিয়ে কোথাও পাইনি। পরে একজন ফোনে জানান, বিএসএফ তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় জানানো হলেও মাগরিবের নামাজের পরও তাঁর সন্ধান পাইনি। এ সময় একটি বাচ্চা এসে জানায়, সীমান্তে তাঁকে মারধর করে ফেলে রেখেছে। পরে আহত মুরাদ তাঁর স্ত্রীকে জানান, বিএসএফ তাঁকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছে। আহত অবস্থায় তাঁকে বিজিবি ধানখেতে রেখে দেয়।’
মুরাদ মিয়ার বড় বোন আমেনা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় বিজিবি খবর দিলে ধানখেত থেকে আমার ভাইকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান। সীমান্ত পিলার থেকে আমাদের বাড়ি ১৫০ গজ দূরে। আমার ভাই সীমান্তে জমিতে চাষ করেন। বাজারে তাঁর ব্যবসাও ছিল। বিএসএফ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার বিচার চাই।’
২৫০ শয্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সফিউল্লাহ আরাফাত বলেন, ‘জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি করি। ইসিজি অনুযায়ী তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
তবে বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএসএফের জিরো লাইন অতিক্রম করার কথা নয়। তবে মুরাদ কী কারণে সীমান্তে গিয়েছিলেন বা কে তাঁকে ধরে নিয়ে মেরেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তিনি এসে একটি গাছের নিচে বসে ছিলেন। তখন আমাদের টহল টিম তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানিয়েছিলেন, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ফিরে এসেছেন। এরপর একজনের মাধ্যমে তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকি বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছি।’
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিলহান্ট পরিচালনা করে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ নেতা মো মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার মিজান রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি।
৭ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী সার্ভিস লেনে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেছে। এতে চিটাগাংরোড থেকে মৌচাক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১.৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মহাসড়কের আমিজউদদীন পেট্রল পাম্পের উল্টো পাশে চট্টগ্রামমুখী লেনে এ
১ ঘণ্টা আগেভোলার চরফ্যাশনে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেওয়া ১৮৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা ও গম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নে
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
৮ ঘণ্টা আগে