সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
দোকান আছে। কিন্তু পরিপাটি তাক খালি। যে তাকগুলো জ্বলজ্বল করত ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনার গয়নায়। মার্কেটে মার্কেটে এখন স্বর্ণ ছাড়াই বসে আছেন দোকানিরা। স্বর্ণগুলো নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাঝুঁকির কারণেই এ ধরনের পদক্ষেপ। জানালেন সংশ্লিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে গুলি করে সোনা ও টাকা লুটের ঘটনার পর চট্টগ্রামে আতঙ্ক ভর করে। আনোয়ার হোসেনকে ফিল্মি কায়দায় গুলি করার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এরপর ব্যবসার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাঝে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস), চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে। ঘরে-বাইরে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। স্বর্ণ দোকানে সাজিয়ে রেখে ব্যবসা করার পণ্য। এখন রাখা যাচ্ছে না। তাই দোকানের তাকগুলো থেকে স্বর্ণ সরিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এ নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তা চেয়েছি ইতিমধ্যে।’
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি, চট্টগ্রাম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় স্বর্ণের দোকানের সংখ্যা ৫ হাজারের মতো। এর মধ্যে নগরীতেই আছে ২ হাজার ২০০ দোকান। তবে বাজুসের সদস্য রয়েছে ১ হাজার ৪৯২।
চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে পুরোনো (১৯৬৪ সালে চালু) ও বড় বিপণিকেন্দ্র নিউমার্কেটে স্বর্ণের দোকান রয়েছে ১৩০টি। প্রায় ৫০ বছর আগের দিদার মার্কেটে ৩৫টি দোকান। এ দুই মার্কেটসহ নগরীর তিন শতাধিক মার্কেটে সংশ্লিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা রয়েছেন আতঙ্কে। নগরীর বাইরে জেলার মার্কেট এবং দোকানগুলোরও একই অবস্থা।
নিরাপত্তার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাহমুদা বেগমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রমজান সামনে রেখে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমাদের প্রায় প্রতিদিন সভা হচ্ছে।’ নিরাপত্তাজনিত যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)। এর আগে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি। গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৫টি, যা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় ৩৮২টি বেশি (৫০ শতাংশ)।
এদিকে নগরীর দিদার মার্কেট স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গিনি ফ্যাশন জুয়েলার্সের মালিক প্রভাস সাহা জানান, নিরাপত্তার কারণে এ মার্কেটের দোকানিরা ডিসপ্লেতে স্বর্ণ রাখতে পারছেন না। এ কারণে দোকানের তাকগুলো খালি রয়েছে। এ অবস্থা নগরীর অধিকাংশ মার্কেটের বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।
একই মার্কেটের জয় জুয়েলার্সের মালিক বিজয় ধর বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই ডিসপ্লেতে স্বর্ণ রাখতে পারিনি। করোনা মহামারির পর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং ক্রমাগত দাম বাড়ার ফলে এমনিতেই স্বর্ণ ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় ডিসপ্লেতে স্বর্ণ রাখা তো দূরের কথা, দোকান বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে (২৬ ফেব্রুয়ারি) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৯ টাকা এবং ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দোকান আছে। কিন্তু পরিপাটি তাক খালি। যে তাকগুলো জ্বলজ্বল করত ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনার গয়নায়। মার্কেটে মার্কেটে এখন স্বর্ণ ছাড়াই বসে আছেন দোকানিরা। স্বর্ণগুলো নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাঝুঁকির কারণেই এ ধরনের পদক্ষেপ। জানালেন সংশ্লিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে গুলি করে সোনা ও টাকা লুটের ঘটনার পর চট্টগ্রামে আতঙ্ক ভর করে। আনোয়ার হোসেনকে ফিল্মি কায়দায় গুলি করার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। এরপর ব্যবসার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাঝে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস), চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সাহা বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে। ঘরে-বাইরে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। স্বর্ণ দোকানে সাজিয়ে রেখে ব্যবসা করার পণ্য। এখন রাখা যাচ্ছে না। তাই দোকানের তাকগুলো থেকে স্বর্ণ সরিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এ নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তা চেয়েছি ইতিমধ্যে।’
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি, চট্টগ্রাম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় স্বর্ণের দোকানের সংখ্যা ৫ হাজারের মতো। এর মধ্যে নগরীতেই আছে ২ হাজার ২০০ দোকান। তবে বাজুসের সদস্য রয়েছে ১ হাজার ৪৯২।
চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে পুরোনো (১৯৬৪ সালে চালু) ও বড় বিপণিকেন্দ্র নিউমার্কেটে স্বর্ণের দোকান রয়েছে ১৩০টি। প্রায় ৫০ বছর আগের দিদার মার্কেটে ৩৫টি দোকান। এ দুই মার্কেটসহ নগরীর তিন শতাধিক মার্কেটে সংশ্লিষ্ট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা রয়েছেন আতঙ্কে। নগরীর বাইরে জেলার মার্কেট এবং দোকানগুলোরও একই অবস্থা।
নিরাপত্তার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাহমুদা বেগমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রমজান সামনে রেখে সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমাদের প্রায় প্রতিদিন সভা হচ্ছে।’ নিরাপত্তাজনিত যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)। এর আগে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি। গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৫টি, যা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় ৩৮২টি বেশি (৫০ শতাংশ)।
এদিকে নগরীর দিদার মার্কেট স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গিনি ফ্যাশন জুয়েলার্সের মালিক প্রভাস সাহা জানান, নিরাপত্তার কারণে এ মার্কেটের দোকানিরা ডিসপ্লেতে স্বর্ণ রাখতে পারছেন না। এ কারণে দোকানের তাকগুলো খালি রয়েছে। এ অবস্থা নগরীর অধিকাংশ মার্কেটের বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।
একই মার্কেটের জয় জুয়েলার্সের মালিক বিজয় ধর বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই ডিসপ্লেতে স্বর্ণ রাখতে পারিনি। করোনা মহামারির পর থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং ক্রমাগত দাম বাড়ার ফলে এমনিতেই স্বর্ণ ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় ডিসপ্লেতে স্বর্ণ রাখা তো দূরের কথা, দোকান বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে (২৬ ফেব্রুয়ারি) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৬৯ টাকা এবং ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২২ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৫ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪০ মিনিট আগে