আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম
নগরীর ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডবাসীর বড় সমস্যা ওয়াসার কাটা সড়ক। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য এ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি সড়ক কেটেছে ওয়াসা। কিন্তু মেরামত হয়নি। নগরের মুরাদপুর থেকে বিবিরহাট, হামজারবাগ, আতুয়ারর ডিপু, অক্সিজেন সব স্থানে সড়ক কেটেছে ওয়াসা। সংস্কার করা এসব সড়ক ওয়াসা পুনরায় কেটে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ এলাকাবাসী।
পাহাড় ও সমতাল ভূমি মিলিয়ে এ ওয়ার্ড। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পাঁচলাইশ ও বায়জিদ থানা। বেশ কিছু সরকারি জমি রয়েছে ওয়ার্ডটিতে। যেখানে গড়ে উঠেছে বস্তি। ভূমি দখল ও মালিকানা জটিলতা এ ওয়ার্ডের অন্যতম সমস্যা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে শিক্ষার হার ৭০ শতাংশ। ওয়ার্ডের হামজারবাগে হজরত হামজার খাঁ (রহ.) মাজার, এশিয়ার বিখ্যাত ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অবস্থান। এখান থেকেই প্রতিবছর পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস বের হয়।
এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ৩.১৬ বর্গ মাইলের পশ্চিম ষোল শহরের মধ্যে মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, নাজির পাড়া, খতিবের হাট, হামজারবাগ, বার্মা কলোনি রোফবাদ, শান্তিনগর, আমিন জুট মিল, হিলভিউ, মোমিনবাগ রয়েছে।
এ ওয়ার্ডে কলেজ না থাকলেও রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জামেয়া আহমদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি সরকারি–বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা আছে।
রোফবাদ মিয়ার পাহাড় ও আমিন কলোনি টাংকির পাহাড় নামে দুটি পাহাড় পড়েছে এই ওয়ার্ডের সীমানায়। রয়েছে পাকিস্তানিদের দুটি ক্যাম্প। বার্মা থেকে প্রত্যাগতদের একটি ক্যাম্প বার্মা কলোনি নামে পরিচিত।
স্বাস্থ্য সেবার জন্য চসিক পরিচালিত দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও একটি বন্ধ দীর্ঘদিন থেকে। সিভিল সার্জন অফিস পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে রোফবাদে।
হামজারবাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়ারুল ইসলাম বলেন, হামজারবাগ থেকে রুবী গেট, বিবিরহাট ষোলশহর জামেয়া আলিয়া মাদ্রাসা হয়ে নাজিরপাড়া ও চাঁনমিয়া সওদাগর সড়কের কাজ করতে হবে। বর্ষায় এ ওয়ার্ডের পুবের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা আর পশ্চিমের মানুষ পাহাড় ধসের আতঙ্কে থাকে।
নাজির পাড়ার কালাম সর্দার বলেন, ‘জলাবদ্ধতা মেগা প্রকল্পের খাল খননের পাশাপাশি ওয়াসার পাইপ বসানো কাজ চলছে। এই দুই উন্নয়নকাজের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
গাউছিয়া আবাসিকের জুলফিকার আলী বলেন, রোফবাদ, আমিন জুট, রংপুর কলোনি, শনির ঘোনা, বার্মা কলোনি বস্তি এলাকা। এখানে তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। মাদকসহ জুয়ার আসরও বসে নিয়মিত।
নগরের বায়জিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা অপরাধপ্রবণ। অপরাধ করেই অপরাধীরা পাহাড়ের দিকে চলে যেত। তিন মাস হলো এ এলাকার রোফবাদ, আমিন কলোনি, কেডিএসের পেছনের এলাকায় পুলিশের টহল বাড়িয়েছি। এতে অপরাধ অনেক কমে গেছে। বার্মা কলোনিতে বেশ কিছু সন্ত্রাসী রয়েছে এদের কেউ হাজতে, কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আতুড়ার ডিপু থেকে হামজারবাগ পর্যন্ত সড়কের বাতিও জ্বলে না। তবে, সব মিলিয়ে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নত হয়েছে।
৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মশা নিধন প্রকল্প ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ি কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের ৯০ শতাংশ সড়কের উন্নয়ন কাজ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশেরও প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। এখানে দুটি রেলসেতুর কাজ চলছে। খাল খনন চলছে। বাঁধ দেওয়াতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, খাল খনন শেষে সিডিএ থেকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। তখন চাঁনমিয়া সড়ক ও আশপাশ এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরও বলেন, ওয়াসার পাইপ বসানোর জন্য বার বার রাস্তা কাটা হচ্ছে। ইতিপূর্বে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। তাই পাহাড়গুলোকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা ও মশা মারার কাজ চলমান আছে। এ ওয়ার্ডে প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা থাকলেও কলেজ নেই। বিবিরহাট গরুর হাটকে সরিয়ে শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। বিবিরহাটকে আধুনিক একটি মার্কেট করার প্রস্তাব করেছি। যেন বিবিরহাট চসিকের আয়বর্ধন প্রকল্প হয়। এখানে অবস্থিত আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগারে লোকবল নিয়োগের কাজও চলছে।
নগরীর ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডবাসীর বড় সমস্যা ওয়াসার কাটা সড়ক। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য এ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি সড়ক কেটেছে ওয়াসা। কিন্তু মেরামত হয়নি। নগরের মুরাদপুর থেকে বিবিরহাট, হামজারবাগ, আতুয়ারর ডিপু, অক্সিজেন সব স্থানে সড়ক কেটেছে ওয়াসা। সংস্কার করা এসব সড়ক ওয়াসা পুনরায় কেটে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ এলাকাবাসী।
পাহাড় ও সমতাল ভূমি মিলিয়ে এ ওয়ার্ড। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পাঁচলাইশ ও বায়জিদ থানা। বেশ কিছু সরকারি জমি রয়েছে ওয়ার্ডটিতে। যেখানে গড়ে উঠেছে বস্তি। ভূমি দখল ও মালিকানা জটিলতা এ ওয়ার্ডের অন্যতম সমস্যা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে শিক্ষার হার ৭০ শতাংশ। ওয়ার্ডের হামজারবাগে হজরত হামজার খাঁ (রহ.) মাজার, এশিয়ার বিখ্যাত ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অবস্থান। এখান থেকেই প্রতিবছর পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস বের হয়।
এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ৩.১৬ বর্গ মাইলের পশ্চিম ষোল শহরের মধ্যে মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, নাজির পাড়া, খতিবের হাট, হামজারবাগ, বার্মা কলোনি রোফবাদ, শান্তিনগর, আমিন জুট মিল, হিলভিউ, মোমিনবাগ রয়েছে।
এ ওয়ার্ডে কলেজ না থাকলেও রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জামেয়া আহমদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি সরকারি–বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা আছে।
রোফবাদ মিয়ার পাহাড় ও আমিন কলোনি টাংকির পাহাড় নামে দুটি পাহাড় পড়েছে এই ওয়ার্ডের সীমানায়। রয়েছে পাকিস্তানিদের দুটি ক্যাম্প। বার্মা থেকে প্রত্যাগতদের একটি ক্যাম্প বার্মা কলোনি নামে পরিচিত।
স্বাস্থ্য সেবার জন্য চসিক পরিচালিত দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও একটি বন্ধ দীর্ঘদিন থেকে। সিভিল সার্জন অফিস পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে রোফবাদে।
হামজারবাগের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়ারুল ইসলাম বলেন, হামজারবাগ থেকে রুবী গেট, বিবিরহাট ষোলশহর জামেয়া আলিয়া মাদ্রাসা হয়ে নাজিরপাড়া ও চাঁনমিয়া সওদাগর সড়কের কাজ করতে হবে। বর্ষায় এ ওয়ার্ডের পুবের বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা আর পশ্চিমের মানুষ পাহাড় ধসের আতঙ্কে থাকে।
নাজির পাড়ার কালাম সর্দার বলেন, ‘জলাবদ্ধতা মেগা প্রকল্পের খাল খননের পাশাপাশি ওয়াসার পাইপ বসানো কাজ চলছে। এই দুই উন্নয়নকাজের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।’
গাউছিয়া আবাসিকের জুলফিকার আলী বলেন, রোফবাদ, আমিন জুট, রংপুর কলোনি, শনির ঘোনা, বার্মা কলোনি বস্তি এলাকা। এখানে তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। মাদকসহ জুয়ার আসরও বসে নিয়মিত।
নগরের বায়জিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা অপরাধপ্রবণ। অপরাধ করেই অপরাধীরা পাহাড়ের দিকে চলে যেত। তিন মাস হলো এ এলাকার রোফবাদ, আমিন কলোনি, কেডিএসের পেছনের এলাকায় পুলিশের টহল বাড়িয়েছি। এতে অপরাধ অনেক কমে গেছে। বার্মা কলোনিতে বেশ কিছু সন্ত্রাসী রয়েছে এদের কেউ হাজতে, কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আতুড়ার ডিপু থেকে হামজারবাগ পর্যন্ত সড়কের বাতিও জ্বলে না। তবে, সব মিলিয়ে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নত হয়েছে।
৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মশা নিধন প্রকল্প ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ি কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের ৯০ শতাংশ সড়কের উন্নয়ন কাজ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশেরও প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। এখানে দুটি রেলসেতুর কাজ চলছে। খাল খনন চলছে। বাঁধ দেওয়াতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, খাল খনন শেষে সিডিএ থেকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। তখন চাঁনমিয়া সড়ক ও আশপাশ এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকবে না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরও বলেন, ওয়াসার পাইপ বসানোর জন্য বার বার রাস্তা কাটা হচ্ছে। ইতিপূর্বে পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে। তাই পাহাড়গুলোকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা ও মশা মারার কাজ চলমান আছে। এ ওয়ার্ডে প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা থাকলেও কলেজ নেই। বিবিরহাট গরুর হাটকে সরিয়ে শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। বিবিরহাটকে আধুনিক একটি মার্কেট করার প্রস্তাব করেছি। যেন বিবিরহাট চসিকের আয়বর্ধন প্রকল্প হয়। এখানে অবস্থিত আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগারে লোকবল নিয়োগের কাজও চলছে।
গত রমজানের শুরুতে হঠাৎ ধরা পড়ে তার ব্লাড ক্যানসার। আর্থিক সংকটে প্রাথমিক চিকিৎসার পর থেমে যায় তার চিকিৎসা কার্যক্রম। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলার মানবিক স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তারা প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করেন।
১ মিনিট আগেরাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগে