নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম পুলিশের ‘তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর খুনের মামলায় শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের বড় ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে র্যাব ও পতেঙ্গা পুলিশের যৌথ অভিযানে নগরীর চান্দগাঁও সিডিএ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
তাঁরা হলেন ওসমান আলী (৫৪) ও মো. আলভীন (৩০)। এঁদের মধ্যে ওসমান ২০০০ সালের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার আসামি ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের বড় ভাই। আলভীন হচ্ছে তাঁদের ভাগনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার রাতে ওসমান গণি ও মো. আলভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা দুজনেই মামলার ৬ ও ৮ নম্বর আসামি।
তবে একটি সূত্র বলেছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় ওসমান আলী জিইসিতে তাঁর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
এর আগে ২৩ মে রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে ২৪ মে সকালে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার (২৬ মে) রাতে নিহত আকবরের স্ত্রী বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর নগরের বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ শিল্প এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি ২০০০ সালের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার আসামি ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেন খানের এক সময়কার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সূত্র আরও জানায়, বিদেশে পলাতক সাজ্জাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকে ঢাকাইয়া আকবর তাঁকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক পোস্ট ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সাজ্জাদ দেশে ফিরলে তাঁকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
একই সঙ্গে অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী তামান্নাকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দেন আকবর। রাউজানে সম্প্রতি একাধিক খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁকে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে নিয়েও বিরূপ মন্তব্যও করতে দেখা যায়।
বিভিন্ন সূত্রের ধারণা, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার আগের দিনই আকবর কর্ণফুলী টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে একটি ‘ফানি’ ভিডিও পোস্ট করেন। গুলিবর্ষণের স্থান সেই টানেল এলাকারই অদূরে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাইয়া আকবর বিদেশি রিভলবার ও এলজিসহ লক্ষ্মীপুরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
এ সময় তাঁকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত বছর থেকে নানা ভিডিও পোস্ট ও নিজে লাইভে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন ঢাকাইয়া আকবর।
চট্টগ্রাম পুলিশের ‘তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর খুনের মামলায় শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের বড় ভাইসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে র্যাব ও পতেঙ্গা পুলিশের যৌথ অভিযানে নগরীর চান্দগাঁও সিডিএ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
তাঁরা হলেন ওসমান আলী (৫৪) ও মো. আলভীন (৩০)। এঁদের মধ্যে ওসমান ২০০০ সালের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার আসামি ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খানের বড় ভাই। আলভীন হচ্ছে তাঁদের ভাগনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার রাতে ওসমান গণি ও মো. আলভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা দুজনেই মামলার ৬ ও ৮ নম্বর আসামি।
তবে একটি সূত্র বলেছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় ওসমান আলী জিইসিতে তাঁর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
এর আগে ২৩ মে রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় ঢাকাইয়া আকবরকে একদল দুর্বৃত্ত গুলি করে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে ২৪ মে সকালে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার (২৬ মে) রাতে নিহত আকবরের স্ত্রী বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর নগরের বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে বায়েজিদ শিল্প এলাকায় চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি ২০০০ সালের চাঞ্চল্যকর এইট মার্ডার মামলার আসামি ও শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেন খানের এক সময়কার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সূত্র আরও জানায়, বিদেশে পলাতক সাজ্জাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকে ঢাকাইয়া আকবর তাঁকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে বিদ্বেষমূলক পোস্ট ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সাজ্জাদ দেশে ফিরলে তাঁকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
একই সঙ্গে অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী তামান্নাকে নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দেন আকবর। রাউজানে সম্প্রতি একাধিক খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁকে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে নিয়েও বিরূপ মন্তব্যও করতে দেখা যায়।
বিভিন্ন সূত্রের ধারণা, আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার আগের দিনই আকবর কর্ণফুলী টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে একটি ‘ফানি’ ভিডিও পোস্ট করেন। গুলিবর্ষণের স্থান সেই টানেল এলাকারই অদূরে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাইয়া আকবর বিদেশি রিভলবার ও এলজিসহ লক্ষ্মীপুরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
এ সময় তাঁকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত বছর থেকে নানা ভিডিও পোস্ট ও নিজে লাইভে এসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন ঢাকাইয়া আকবর।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে