রাঙামাটি প্রতিনিধি
তিন পার্বত্য জেলার মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অং সুই প্রু চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার এক খোলাচিঠিতে এ পদত্যাগের কথা জানান তিনি।
চিঠিতে রাঙামাটির সর্বস্তরের জনগণকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে অং সুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও আমার প্রিয় নেতা দীপংকর তালুকদার আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবে গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সালে নিয়োগ পেয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি দলমত-সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে একটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পরিবেশ, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন, পর্যটন উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে একটি সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে রূপান্তর করতে।
সব সেক্টরে উন্নয়ন ও সম্প্রীতির রাঙামাটি গড়ার লক্ষ্যে দীপংকর তালুকদারের নেতৃত্বে এবং তাঁর সহযোগিতায় ইতিমধ্যে নানা উন্নয়নমুখী কর্মসূচি ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু বিরাজমান পরিস্থিতির মধ্যে সময় ও সুযোগ না থাকার কারণে সেগুলোর শতভাগ প্রতিফলন ঘটানো বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এবং গ্লানি।’
তিনি বলেন, ‘এই ব্যর্থতা ও গ্লানি সঙ্গে নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছি। আমি চেয়েছিলাম রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক প্রভাবমুক্ত একটি জনমুখী ও জনকল্যাণমূলক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করেছিলাম, কিন্তু সেই লক্ষ্যকে চূড়ান্ত করতে পারিনি। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে পার্বত্য জেলা পরিষদ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলেও বিভিন্ন সরকার ও ব্যক্তিদের কারণে এই প্রতিষ্ঠানকে একটি দলীয় পুনর্বাসন কেন্দ্র, স্বেচ্ছাচারী, অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাধারণ জনগণের মধ্যে এই নেতিবাচক বার্তা পৌঁছেছে, যেটা পার্বত্যবাসীর জন্য দুঃখজনক এবং আমার জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রত করেছিল।
আমি মনে করি, আমার মতো যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা এ দেশের সচেতন নাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
আমিও এর ঊর্ধ্বে নই। যাঁরা আগামী দিনে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি আমার বিনয়ের সঙ্গে আবেদন থাকবে, যে লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে, অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও ন্যূনতম হলেও লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা রাখতে।
পার্বত্য অঞ্চলে সকল জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা বেকারত্ব দূর, যুব ও ছাত্রসমাজের উন্নয়নের জন্য অধীর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। এই সকল কর্মসূচিতে ইচ্ছা করলে জেলা পরিষদের কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
আমি দায়িত্বে আসার পর সেই কাজ শুরু করার প্রচেষ্টা করেছি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলাবাসীর সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি যেসব কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, সেই কর্মসূচিগুলো চলমান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’
অং সুই প্রু চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক রাস্তা, ব্রিজ, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, নারী উন্নয়নসহ পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পরিশেষে, আমার দায়িত্ব পালনকালীন পরিষদের সকল সদস্য, পরিষদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, লাইন ডিপার্টমেন্টের সকল বিভাগ/দপ্তর প্রধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দসহ জননেতা দীপংকর তালুকদারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
দায়িত্ব পালনকালীন সব সফলতা রাঙামাটি পার্বত্যবাসীর। সকল ব্যর্থতা নিজ কাঁধে নিয়ে বিশেষ কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করছি। সকলে ভালো থাকবেন, আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব—এই আমার প্রত্যাশা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
তিন পার্বত্য জেলার মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অং সুই প্রু চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার এক খোলাচিঠিতে এ পদত্যাগের কথা জানান তিনি।
চিঠিতে রাঙামাটির সর্বস্তরের জনগণকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে অং সুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা ও আমার প্রিয় নেতা দীপংকর তালুকদার আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবে গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সালে নিয়োগ পেয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি দলমত-সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে একটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পরিবেশ, সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন, পর্যটন উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে একটি সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে রূপান্তর করতে।
সব সেক্টরে উন্নয়ন ও সম্প্রীতির রাঙামাটি গড়ার লক্ষ্যে দীপংকর তালুকদারের নেতৃত্বে এবং তাঁর সহযোগিতায় ইতিমধ্যে নানা উন্নয়নমুখী কর্মসূচি ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু বিরাজমান পরিস্থিতির মধ্যে সময় ও সুযোগ না থাকার কারণে সেগুলোর শতভাগ প্রতিফলন ঘটানো বা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এবং গ্লানি।’
তিনি বলেন, ‘এই ব্যর্থতা ও গ্লানি সঙ্গে নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছি। আমি চেয়েছিলাম রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদকে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক প্রভাবমুক্ত একটি জনমুখী ও জনকল্যাণমূলক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে।
এই লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করেছিলাম, কিন্তু সেই লক্ষ্যকে চূড়ান্ত করতে পারিনি। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
পার্বত্য চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে পার্বত্য জেলা পরিষদ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলেও বিভিন্ন সরকার ও ব্যক্তিদের কারণে এই প্রতিষ্ঠানকে একটি দলীয় পুনর্বাসন কেন্দ্র, স্বেচ্ছাচারী, অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে সাধারণ জনগণের মধ্যে এই নেতিবাচক বার্তা পৌঁছেছে, যেটা পার্বত্যবাসীর জন্য দুঃখজনক এবং আমার জন্য অস্বস্তিকর ও বিব্রত করেছিল।
আমি মনে করি, আমার মতো যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁরা এ দেশের সচেতন নাগরিক ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।
আমিও এর ঊর্ধ্বে নই। যাঁরা আগামী দিনে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতি আমার বিনয়ের সঙ্গে আবেদন থাকবে, যে লক্ষ্যে পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে, অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও ন্যূনতম হলেও লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা রাখতে।
পার্বত্য অঞ্চলে সকল জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা বেকারত্ব দূর, যুব ও ছাত্রসমাজের উন্নয়নের জন্য অধীর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। এই সকল কর্মসূচিতে ইচ্ছা করলে জেলা পরিষদের কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
আমি দায়িত্বে আসার পর সেই কাজ শুরু করার প্রচেষ্টা করেছি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলাবাসীর সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি যেসব কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, সেই কর্মসূচিগুলো চলমান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।’
অং সুই প্রু চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক রাস্তা, ব্রিজ, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, নারী উন্নয়নসহ পরিবেশ ও পর্যটন উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
পরিশেষে, আমার দায়িত্ব পালনকালীন পরিষদের সকল সদস্য, পরিষদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, লাইন ডিপার্টমেন্টের সকল বিভাগ/দপ্তর প্রধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দসহ জননেতা দীপংকর তালুকদারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
দায়িত্ব পালনকালীন সব সফলতা রাঙামাটি পার্বত্যবাসীর। সকল ব্যর্থতা নিজ কাঁধে নিয়ে বিশেষ কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করছি। সকলে ভালো থাকবেন, আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব—এই আমার প্রত্যাশা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৬ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৯ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২০ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
২৪ মিনিট আগে