Ajker Patrika

দেওয়ানবাজারে জলাবদ্ধতার অভিশাপ

নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম
দেওয়ানবাজারে জলাবদ্ধতার অভিশাপ

চট্টগাম সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড দেওয়ান বাজার। শূন্য দশমিক ৪৪ বর্গ কিলোমিটারে ওয়ার্ডে রয়েছে দুই শ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে খনন করা বলুয়ার দিঘী, ঐতিহ্যবাহী অভয়মিত্র মহাশ্মশানসহ বহু ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

এক লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দার এই ওয়ার্ডে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছয়টি মাদ্রাসা, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি কিন্ডারগার্টেন আছে। আছে বেশ কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দুটি হাসপাতাল, দুটি দাতব্য চিকিৎসালয়, চারটি ছোট–বড় পুকুর, একটি দীঘি , ঐতিহ্যবাহী টেরিবাজার, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসাপাতাল ও কিছু সরকারি–বেসরকারি স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের আন্দরকিল্লা, দিদার মার্কেট, সাব-এরিয়া, বলুয়ার দীঘি. সিরাজুদ্দৌলা রোড, ঘাটফরহাদবেগ, হাকিম আলী রোড, মাছুয়া ঝরনা, রামঠাকুর মন্দির, খলিফাপট্টী, লামা বাজার, টেরিবাজার, অভিয়মিত্র মহাশ্মশান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ার্ডে রাস্তাঘাট সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে মূল সমস্যা জলাবদ্ধতার সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কিছু স্থানে ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। কোরবানীগঞ্জের লামা বাজারে সিটি করপোরেশন বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের এলাকার বাসিন্দারা  জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। সিরাজুদ্দৌলা রোডের মতো ব্যস্ত সড়কে হকারদের যন্ত্রণা এবং বলুয়ার দিঘিসহ কয়েকটি স্পটে ইয়াবা ও হেরোইনসেবীদের উৎপাত। এখানকার বিদ্যালয়গুলোতে ভবন স্বল্পতার কারণে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটে। ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নেই। টেরিবাজারের যানজট নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

অভিয়মিত্র শ্মশান এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মহাজন বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমরা অবহেলায় আছি। শ্মশানের মরদেহ স্নান করানোর ভালো সুবিধা নেই। বর্ষায় শ্মশানে পানি জমে থাকে, ফলে সেসময় মরদেহ দাহ করতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়।

বলুয়ার দীঘি এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই দিঘির চারপাশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এটি রক্ষা করতে হবে।

দিদার মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী রবিউল হোসেন বলেন, যানজট থেকে আমাদের মুক্তি নেই। বেশির ভাগ যানজট অনিয়ম আর অবহেলার জন্য সৃষ্টি হয়। সড়ক দখল কের বাজার বসতে কারা সহায়তা করে সবাই জানে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডটি অনেকগুলো কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়ার্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। কিশোর গ্যাং ও মাদক বন্ধে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। নিয়মিত গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনা করে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। মাদকের জন্য চিহ্নিত এলাকাগুলো যারা নিয়ন্ত্রণ করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। সড়ক দখল করে হকার ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় টেরিবাজারে একটি পুলিশ বিটও স্থাপন করা হয়েছে।’

২০ নম্বর দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে কোনো রাস্তাঘাটের কাজ বাকি নেই। গতবার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনটি  বড় কালভার্টসহ ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। জলাবদ্ধতা শুধু দেওয়ান বাজার নয়, পুরো নগরের প্রধান সমস্যা। একজন কাউন্সিলরের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আর বলুয়ার দিঘির সংস্কার ও উন্নয়নে আমার আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু এটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। মালিকপক্ষ সহযোগিতা না করলে সংস্কারকাজ পুরোপুরি শেষ করা সম্ভব নয়।’

কাউন্সিলর আরও বলেন, ‘এবার নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন করে বরাদ্দ পাইনি বলে কোনো কাজ করতে পারিনি। ড্রেনের স্ল্যাবগুলো বসানো প্রয়োজন। সিটি করপোরেশন থেকে যে লাইটগুলো সরবরাহ করা হয়েছে সেগুলো নিম্নমানের হওয়ায় অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পাল্টে দেবে বলেছে। এখনো দেয়নি। আমার ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ টাকা দিয়ে ডাক্তারের সেবা পাওয়া যেত। ওষুধ সরবরাহ না থাকায় দীর্ঘদিন দরিদ্র ও অসহায় রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত