Ajker Patrika

১০ বছরেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র তোহেলের

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ১৪
১০ বছরেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র তোহেলের

১০ বছরেও সন্ধান মেলেনি তোহেল আহমেদ নামে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক স্কুলছাত্রের। সে বেঁচে আছে কি না, তা-ও জানে না পরিবার। তবে একদিন বাড়ি ফিরবে এমন আশায় এখনো পথ চেয়ে আছেন মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা।

২০১২ সালের ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তোহেল। এরপর গত ১০ বছরেও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তোহেল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মোত্তর গ্রামের প্রবাসী কোব্বাদ আহমেদের ছেলে।

স্কুলছাত্র তোহেল নিখোঁজ নাকি অপহরণের শিকার হয়েছে, বেঁচে আছে নাকি তাকে হত্যা কিংবা গুম করা হয়েছে, তা-ও অজানা পরিবারের সদস্যদের কাছে। 

নিখোঁজ তোহেল আহমেদের মা বেবী আকতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তোহেল নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন সানোয়ারা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। নগরীর বহদ্দারহাট চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় চাচার সঙ্গে ভাড়া থাকত। ২০১২ সালের ২০ অক্টোবর বাসা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফেরেনি। এমন স্থান নেই, যেখানে তোহেলকে খোঁজ করা হয়নি। এমন কোনো বন্ধু-আত্মীয়স্বজন নেই, যাদের বাসায় বাসায় গিয়ে আমরা খোঁজ করিনি। কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

বেবী আকতার আরও বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। অনেকবার থানায় থানায় ঘুরেছি। থানা-পুলিশ আমার ছেলের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি। তোহেল একদিন আমার বুকে ফিরে আসবে, আমাকে মা বলে ডাকবে, সেই আশায় আমি এখনো বুক বেঁধে আছি।’

তোহেল আহমেদের পিতা প্রবাসী কোব্বাদ আহমেদ বলেন, ‘আমি দুবাইয়ে থাকি। ঘটনার সময়ও আমি প্রবাসে ছিলাম। এসে দেখি ছেলে নেই। আমার জীবনটাই শূন্য হয়ে গেল। আমার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। একমাত্র ছেলেটি এখন নেই। আমার ছেলে কার কী ক্ষতি করেছে বুঝতে পারছি না। তাকে যদি কেউ মেরে গুম করে থাকে, তাহলে কারা করেছে? কেন করেছে? জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া জরুরি। ঘটনার পর আমার স্ত্রী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল। পুলিশ কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। পুলিশের ব্যর্থতার কারণে ১০ বছর ধরে ছেলের নিখোঁজের রহস্য উন্মোচন হচ্ছে না।’

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হলে নিশ্চয়ই পুলিশ সে সময় তদন্ত করেছিল। হয়তো পাওয়া যায়নি। অভিভাবকেরা যদি মনে করেন তাঁরা এখন মামলা কিংবা আইনগত অন্য কোনো ব্যবস্থা নেবেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নিতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত