Ajker Patrika

নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২ 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা দুইটায় নগরীতে অবস্থিত জেলা পুলিশ লাইন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি এলজি ও একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মো. সামসুদ্দীন ওরফে নিশান (২০) ও জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়া (৪৭)। 

জানা যায়, নিশান উপজেলা ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজপাড়ার নাজিমুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে জয়নাল একই উপজেলার আমিরখীল গ্রামের মৃত সাচি মিয়ার ছেলে। 

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে সহিংসতার পর থানায় দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার নির্বাচনী সহিংসতায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সামসুদ্দীন ওরফে নিশানকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে সাতকানিয়া থানাধীন খাগরিয়া ইউনিয়নের জোড়ারকুলে একটি নির্মাণাধীন ঘর থেকে নির্বাচনে সহিংসতায় ব্যবহার করা একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশ সুপার বলেন, একই ঘটনায় জয়নাল আবেদীন নামে আরও একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় জয়নালের বসতঘরের ধানের গোলার নিচ থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আজ সাতকানিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এস এম রশিদুল হক বলেন, অভিযুক্ত দুজন নির্বাচনের দিন বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ হয়ে সহিংসতায় অংশ নিয়েছিল। তাঁদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বিস্তারিত জানা যাবে। 

এস এম রশিদুল হক আরও বলেন, নির্বাচন সহিংসতা ঘিরে এই পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৫১ জন। 

প্রসঙ্গত, সপ্তম ধাপে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৬টি ইউপিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়। ওই দিন খাগরিয়া ইউপির দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। খাগরিয়া গনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলের লক্ষ্যে এক পক্ষের লোকজন অপর পক্ষের ওপর প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে। এ সময় অন্তত ৮ জনকে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যায়। নির্বাচনে গুলিবিদ্ধ হয়ে উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে তাসিব (১৩) নামের এক কিশোর এবং বাজালিয়া ইউনিয়নে আবদুস শুক্কুর (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত