Ajker Patrika

দরিদ্র নারীর বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ফারুক আহমেদ মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির (ভিডব্লিউভি) কার্ডের ছবি বদলিয়ে এক দরিদ্র নারীর বরাদ্দের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। চাল আত্মসাতের এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা হলেন ফারুক আহমেদ মিয়াজি। তিনি উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। অন্যদিকে অভিযোগকারী নারী আয়েশা আক্তার একই ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের মাইনুদ্দিন খানের স্ত্রী।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আয়েশা আক্তার ভিডব্লিউভির কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সংশ্লিষ্টদের যাচাই-বাছাই শেষে আয়েশা আক্তারের নামে ভিডব্লিউভি কার্ড নম্বর ২৫ নিবন্ধিত করা হয়। কিন্তু ফারুক আহমেদ মিয়াজি নিজের প্রভাব ব্যবহার করে আয়েশা আক্তারের কার্ড সংগ্রহ করেন এবং তাতে অন্য নারীর ছবি বসিয়ে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে গত তিন মাসে ৯০ কেজি চাল আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী আয়েশা আক্তার নিজের সব কাগজপত্র নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে চলতি মাসে ৩০ কেজি চাল পান। পরে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে এ ঘটনা বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সাঈদ খান ও সাধারণ সম্পাদক মোক্তার খন্দকার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়েশা আক্তারের কাছে থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে দলীয় শৃঙ্খলার বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন, ‘ঘটনাটির আমি কিছুই জানি না। আমি মনে করি, আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারী চক্রের সব সদস্যের বিচার চাই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন মোহাম্মদ রাজন বলেন, ‘ভিডব্লিউভি কার্ড পরিষদে গত মে মাসে এসেছে ১২২টি। সেখান থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ১৯টি কার্ডের নাম তাঁদের দিতে বলি। ওনারা যে নাম দিয়েছেন, তাঁদের নামে কার্ড হয়েছে। তাঁরা কার্ড কী করেছেন, সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার বলেন, ‘এমন একটি বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখব। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধী যে-ই হোক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...