Ajker Patrika

আফ্রিকান রাক্ষুসে মাগুর মাছ চাষ করায় ঘেরমালিককে জরিমানা

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ১৬: ০৭
আফ্রিকান রাক্ষুসে মাগুর মাছ চাষ করায় ঘেরমালিককে জরিমানা

বরিশালের হিজলায় হিংস্র প্রজাতির আফ্রিকান মাগুর মাছ চাষ করায় ঘেরমালিককে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হিজলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদেক।

উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের বান্দের বাজারে রাক্ষুসে আফ্রিকান মাগুর মাছ বিক্রি করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এ সময় ৩৬ কেজি মাগুর জব্দ করা হয়।

পরে ওই ব্যবসায়ীর তথ্যের ভিত্তিতে রাত ২টার দিকে খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মোতাহার কবিরাজের পুকুরে সেচ দিয়ে ৫৬ কেজি আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করা হয়। মাছগুলো এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে এবং পুকুরে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে আহরণ অযোগ্য প্রায় ২০০ কেজি আফ্রিকান মাগুর মাছ বিনষ্ট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আফ্রিকান মাগুর মাছ রাক্ষুসে ও হিংস্র এবং এর দ্রুত প্রজনন ঘটে। এ মাছ জীববৈচিত্র্য ও দেশীয় প্রজাতির মাছসহ সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণীর জন্য হুমকি। হিংস্র মাগুর মাছ চাষের অপরাধে মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইনে মো. মোতাহার কবিরাজকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলের এ ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, আজ বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা চলছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন। জাতীয় নির্বাচনে লড়তে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাননি হিরন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হিরনের লোকজনকে ধাওয়া করেন। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। পরে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এর আগে মনোনয়ন পাওয়ায় প্রথমবার মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে গৌরীপুরে যান ধানের শীষের প্রার্থী এম ইকবাল হোসাইন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন বলেন, ‘পূর্বঘোষিত নারী সমাবেশ চলছিল আমাদের। হঠাৎ করে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনুষ্ঠানের পেছন দিক দিয়ে হামলা হয়। গৌরীপুরে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইকবাল হোসাইনের নাম আসায় সাধারণ মানুষ শুরু থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বিগত ১৭ বছর নানা জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল—দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। তা বিবেচনায় দিতে তাঁরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে প্রতিপক্ষ পরিবেশ অশান্ত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পর একটি পক্ষের অস্ত্রের মুখে এলাকায় আসতে পারিনি। মনোনয়ন চাওয়া দুজন ইতিমধ্যে আমার হয়ে কাজ করছে। হিরন নানা কর্মসূচি পালন করছে, কিন্তু মানুষ আমার পক্ষেই রয়েছে। হিরন আমার লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া তার জন্যই হয়েছে।’

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০-১২ নভেম্বর বেলুন উড়িয়ে প্রচারের পরিকল্পনা আ.লীগের, ২৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর জানাল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১০-১২ নভেম্বর বেলুন উড়িয়ে প্রচারের পরিকল্পনা আ.লীগের, ২৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর জানাল ডিএমপি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের স্লোগানযুক্ত এক লাখ গ্যাস বেলুন ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। ১০ থেকে ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের স্লোগানযুক্ত এক লাখ গ্যাস বেলুন ওড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।

ডিবির নয়টি বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ডিবি মিরপুর বিভাগে তিনজন, রমনা বিভাগে তিনজন, সাইবার বিভাগে দুজন, মতিঝিল বিভাগে চারজন, ওয়ারী বিভাগে পাঁচজন, উত্তরা বিভাগে দুজন, তেজগাঁও বিভাগে দুজন, লালবাগ বিভাগে তিনজন ও গুলশান বিভাগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নওপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রূপচান ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক আবরার খান তাহমিদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রায়হান খান আজাদ, শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এ বি এম নুরুল হক ওরফে ছোটন চৌধুরী, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য গিয়াস উদ্দিন খোকন, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া ও ভাষানটেক থানা যুবলীগের সদস্য সিরাজুল ইসলাম।

আরও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদপুর শ্রমিক লীগের সাবেক সহসভাপতি জসিম ওরফে বিল্লাল, গেন্ডারিয়া মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব রহমান, শ্যামপুর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, আশুলিয়া ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাহজালাল, রায়েরবাগ যুবলীগের সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন পলাশ, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস সরদার, পল্টন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, একই থানার সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সামছুদ্দিন আহমেদ সেলিম, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন রেহান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সহসম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন প্রিন্স।

অন্যরা হলেন সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম পারভীন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির সরকার ওরফে গলাকাটা নাছির, নেত্রকোনার পূর্বধলা শ্রমিক লীগের সদস্য আলী হোসেন, কুমিল্লার নিকলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক খন্দকার এবং বরগুনার তালতলী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান কামাল।

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিবি। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা খোকনের বিরুদ্ধে মহিলা দল নেত্রীর মামলা

­যশোর প্রতিনিধি
দেলোয়ার হোসেন খোকন। ছবি: সংগৃহীত
দেলোয়ার হোসেন খোকন। ছবি: সংগৃহীত

হত্যার হুমকির অভিযোগে যশোরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর আমলি) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান। আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাদীর অভিযোগ, ৮ নভেম্বর দুপুরে যশোর রেড ক্রিসেন্ট অফিসের দ্বিতীয় তলায় সভা শুরুর আগে আলাপ-আলোচনার একপর্যায়ে উপস্থিত অ্যাডভোকেট আবু ইসহ্‌ক, ব্যবসায়ী গোলাম রেজা দুলু, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ব্যক্তিবর্গের সামনে বাদীকে থাপ্পড় মারার জন্য তেড়ে আসেন আসামি।

এ সময় তিনি বাদীকে বলেন, ‘বেয়াদব, নষ্টা মহিলা; মেরে তোর আর তোর ছেলের পাছার চামড়া তুলে নেব এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তোকে আর তোর ছেলেকে পুলিশ দিয়ে তুলে আনব।’

তখন উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ আসামির হাত থেকে বাদীকে কোনোমতে রক্ষা করেন। বাদী এবং আসামির হট্টগোলের বিষয়ে জ্ঞাত হয়ে ২ ও ৩ নম্বর সাক্ষী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

আসামি বাদীকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘অত্র বিষয় লইয়া কোনো মামলা-মোকদ্দমা করিলে তোকে প্রাণে খুন করিয়া ফেলিব।’ বাদী লজ্জায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বাদী কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে আদালতে মামলার করার পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা হয়েছে শুনেছি। অভিযোগে যা বলা হয়েছে; তেমন কিছু ঘটেনি। তার অভিযোগ মিথ্যা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজির অভিযোগে ইউপিডিএফের সদস্যকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ

রামগড় (খাগড়াছড়ি), প্রতিনিধি
অস্ত্রসহ আটক দুর্গা চাকমা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রসহ আটক দুর্গা চাকমা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার খাগড়াবিল এলাকায় অস্ত্রসহ চাঁদাবাজির সময় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করেছে। পরে তাঁকে গণপিটুনির পর গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে সিন্দুকছড়ি জোনের সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আটক ব্যক্তির নাম দুর্গা চাকমা (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি স্থানীয় ইউপিডিএফ নেতা জিয়ন চাকমার অধীনে অনেক দিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং চাঁদাবাজি করছেন।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, আজ রোববার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে খাগড়াবিল বাজারে দুর্গা চাকমা অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন লোক তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। পরে উত্তেজিত জনতা তাঁকে গণপিটুনি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তাঁরা আরও জানান, দুর্গা চাকমা অনেক দিন ধরে বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধমূলক কাজ চালাচ্ছেন।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, দুর্গা চাকমার কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত