Ajker Patrika

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি 
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

বরিশালের মুলাদীতে প্রবেশপত্র আটকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ছয় কলেজের বিরুদ্ধে। উপজেলার বেসরকারি কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এই টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরীক্ষাকেন্দ্র ফি, খরচ, বকেয়াসহ নানা অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলায় একটি সরকারি, ছয়টি বেসরকারি কলেজের জন্য পাঁচটি এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। এ বছর মুলাদী সরকারি কলেজ থেকে ৯৩৯ জন, পূর্ব হোসনাবাদ মহাবিদ্যালয়ে ১৪২ জন, নাজিরপুর ইউনাইটেড কলেজের ২০২, চরকালেখান আদর্শ কলেজের ১৪৮, মুলাদী মহিলা কলেজের ২১, আরিফ মাহমুদ কলেজের ১৮৩ এবং হাজী সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজের ১৩৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ বছর মুলাদী সরকারি কলেজে প্রবেশপত্র বিতরণে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। কিন্তু অন্য ছয়টি কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে।

সফিপুর ইউনিয়নের বালিয়াতলী গ্রামের অভিভাবক আবুল হাসেম জানান, এ বছর নতুন কেন্দ্র হওয়ায় হাজী সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজশিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচ বাবদ ২ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

আরিফ মাহমুদ কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্র বিতরণে শিক্ষার্থীপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা করে আদায় করেছে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এমনকি এক-দুই বিষয়ের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ১ হাজার ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নাজিরপুর ইউনাইটেড কলেজসহ অন্যান্য কলেজেও শিক্ষার্থীপ্রতি ১ হাজার টাকা এবং পূর্ব হোসনাবাদ কলেজ ৫০০ টাকা করে নিয়ে প্রবেশপত্র বিতরণ করেছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে হাজী সৈয়দ বদরুল হোসেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্র খরচ কিংবা প্রবেশপত্রের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। শুধু বকেয়া টাকা আদায় করা হয়েছে।’

আরিফ মাহমুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষার ফরমপূরণের সময় কম টাকা দিয়েছিল। প্রবেশপত্র বিতরণের সময় সেই টাকা আদায় করা হয়েছে। বাড়তি কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।’ তবে সব পরীক্ষার্থী থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষার ফরমপূরণের সময় শিক্ষার্থীদের থেকে কেন্দ্র ফি নেওয়া হয়। প্রবেশপত্র বিতরণের সময় টাকা নেওয়ার বৈধতা নেই।’

মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এইচএসসির প্রবেশপত্র বিতরণে টাকা নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত