মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী (বরিশাল)
সাগর মোহনায় এসে আছড়ে পড়ছে ছোট ছোট ঢেউ। মাথার ওপরে খোলা আকাশ। মোহনায় ছোট-বড় মাছের ট্রলারের সারি। এসবের ফাঁকে দেখা মিলছে দুইটি ভাসমান দোকানের। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ ভেসে ভেসে চলে কেনাবেচার কারবার। সাগর মোহনায় ভাসমান এই দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। বিক্রি করতে পেরে দোকানি যেমন খুশি, জেলেরা এই ভাসমান দোকান পেয়ে তারাও অনেক খুশি।
উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠা সোনারচর ও কলাগাছিয়া চরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগরের মোহনায় ভেসে চলে দুটি দোকান। দিনের আলো শেষ হলেই ধীরে ধীরে দোকানের কোল ঘেঁষে প্রতিদিন নোঙর করে ১০০ টির মতো জেলেদের মাছের ট্রলার। কারণ মূলত জেলেরাই এই দোকানের মূল ক্রেতা। ক্রেতার সঙ্গে যেন রয়েছে দোকানির এক মধুর সম্পর্ক।
সাগর মোহনায় ভাসমান দোকান দুটি দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। মনে হবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার মাত্র। কিন্তু কাছে গিয়ে ট্রলারের ভেতরে ঢুকলে চোখে পরবে ভিন্ন চিত্র। নিত্য প্রয়োজনীয়, প্রায় সবকিছুই আছে সেই দোকানে।
গতকাল ট্রলারযোগে সোনারচর ভ্রমণে যাওয়ার পথেই হঠাৎ চোখে পড়ে একটি ভাসমান দোকান। অপর দিকে তাকিয়ে দেখা মেলে আরও একটি ভাসমান দোকানের। এ সময় দেখা যায়, জেলেদের একটি ট্রলার নোঙর করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছে ভাসমান দোকান থেকে।
জেলেরা জানায়, সাগর মোহনায় জেলেদের সুবিধার্থে জিয়া ফরাজী নামের এক ব্যবসায়ী প্রায় তিন বছর আগে ভাসমান দোকানের কার্যক্রম শুরু করে। তার দেখাদেখি পরের বছরই আরও একটি ভাসমান দোকানের কার্যক্রম শুরু হয়। এই দোকানের ক্রেতা শুধু ওখানে থাকা জেলেরাই নয়, প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি, সৌন্দর্যে ঘেরা সোনারচর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা প্রকৃতি প্রেমিরাও আসেন এখানে।
ভাসমান দোকানে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ তেল, গ্যাস, বিকাশ ফ্লেক্সিলোড, শুকনো খাবার থেকে শুরু করে মোটামুটি জেলেদের এবং পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করার সবকিছুই রয়েছে সেখানে। আছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও।
ভাসমান দোকানের ক্রেতা জেলে মিরাজ সরদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরতে গেলে এলাকা দিয়া সাত দিনের বাজার লইয়া যাই। মাঝে মাঝে হঠাৎ তৈল, সদায়, গ্যাস শ্যাষ (শেষ) হইয়া যায়। তহন (তখন) মোরা (আমরা) এই দোকানে আইয়া যা লাগে লইয়া যাই। অসুস্থ হইলে ওষুধ ও নি। এই দোকান দেওয়ায় আমাগো (আমাদের) অনেক ভালো হইছে।’
কথা হয় সোনারচর ঘুরতে আসা পর্যটক দোলন কুমারের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা পটুয়াখালী সদর থেকে বন্ধুরা মিলে সোনারচর ঘুরতে এসেছি। আসার পথে সাগর মোহনায় এই দোকান দেখে রীতিমত আমি অবাক। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাসমান দোকানে নেই এমন কোনো জিনিস।’
ভাসমান দোকানের দোকানি (কর্মচারী) নেছার উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হয়। তবে সকালে এবং বিকেলে বেশি বেচাকেনা হয়। আমরা এখানে তিন বছর যাবত ব্যবসা করি। আমরা এই সিজন ছাড়া দোকান করিনা। আমাগো দোকানে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। মাসে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়।
ভেসে চলা এই ভিন্নধর্মী দোকানের উদ্যোক্তা জিয়া ফরাজী বলেন, ‘সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে আসার পর অনেক জেলেদেরই তেল এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফুরিয়ে যায়। তখন তারা বিপাকে পড়ে যায়। এত দূর থেকে তাদের গিয়ে তা ক্রয় করা সম্ভব না তাদের এই দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই আমি এই উদ্যোগ নেই।’
সাগর মোহনায় এসে আছড়ে পড়ছে ছোট ছোট ঢেউ। মাথার ওপরে খোলা আকাশ। মোহনায় ছোট-বড় মাছের ট্রলারের সারি। এসবের ফাঁকে দেখা মিলছে দুইটি ভাসমান দোকানের। যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ ভেসে ভেসে চলে কেনাবেচার কারবার। সাগর মোহনায় ভাসমান এই দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। বিক্রি করতে পেরে দোকানি যেমন খুশি, জেলেরা এই ভাসমান দোকান পেয়ে তারাও অনেক খুশি।
উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে জেগে ওঠা সোনারচর ও কলাগাছিয়া চরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগরের মোহনায় ভেসে চলে দুটি দোকান। দিনের আলো শেষ হলেই ধীরে ধীরে দোকানের কোল ঘেঁষে প্রতিদিন নোঙর করে ১০০ টির মতো জেলেদের মাছের ট্রলার। কারণ মূলত জেলেরাই এই দোকানের মূল ক্রেতা। ক্রেতার সঙ্গে যেন রয়েছে দোকানির এক মধুর সম্পর্ক।
সাগর মোহনায় ভাসমান দোকান দুটি দূর থেকে বোঝার উপায় নেই। মনে হবে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার মাত্র। কিন্তু কাছে গিয়ে ট্রলারের ভেতরে ঢুকলে চোখে পরবে ভিন্ন চিত্র। নিত্য প্রয়োজনীয়, প্রায় সবকিছুই আছে সেই দোকানে।
গতকাল ট্রলারযোগে সোনারচর ভ্রমণে যাওয়ার পথেই হঠাৎ চোখে পড়ে একটি ভাসমান দোকান। অপর দিকে তাকিয়ে দেখা মেলে আরও একটি ভাসমান দোকানের। এ সময় দেখা যায়, জেলেদের একটি ট্রলার নোঙর করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছে ভাসমান দোকান থেকে।
জেলেরা জানায়, সাগর মোহনায় জেলেদের সুবিধার্থে জিয়া ফরাজী নামের এক ব্যবসায়ী প্রায় তিন বছর আগে ভাসমান দোকানের কার্যক্রম শুরু করে। তার দেখাদেখি পরের বছরই আরও একটি ভাসমান দোকানের কার্যক্রম শুরু হয়। এই দোকানের ক্রেতা শুধু ওখানে থাকা জেলেরাই নয়, প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি, সৌন্দর্যে ঘেরা সোনারচর সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা প্রকৃতি প্রেমিরাও আসেন এখানে।
ভাসমান দোকানে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ তেল, গ্যাস, বিকাশ ফ্লেক্সিলোড, শুকনো খাবার থেকে শুরু করে মোটামুটি জেলেদের এবং পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করার সবকিছুই রয়েছে সেখানে। আছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও।
ভাসমান দোকানের ক্রেতা জেলে মিরাজ সরদারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরতে গেলে এলাকা দিয়া সাত দিনের বাজার লইয়া যাই। মাঝে মাঝে হঠাৎ তৈল, সদায়, গ্যাস শ্যাষ (শেষ) হইয়া যায়। তহন (তখন) মোরা (আমরা) এই দোকানে আইয়া যা লাগে লইয়া যাই। অসুস্থ হইলে ওষুধ ও নি। এই দোকান দেওয়ায় আমাগো (আমাদের) অনেক ভালো হইছে।’
কথা হয় সোনারচর ঘুরতে আসা পর্যটক দোলন কুমারের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা পটুয়াখালী সদর থেকে বন্ধুরা মিলে সোনারচর ঘুরতে এসেছি। আসার পথে সাগর মোহনায় এই দোকান দেখে রীতিমত আমি অবাক। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভাসমান দোকানে নেই এমন কোনো জিনিস।’
ভাসমান দোকানের দোকানি (কর্মচারী) নেছার উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হয়। তবে সকালে এবং বিকেলে বেশি বেচাকেনা হয়। আমরা এখানে তিন বছর যাবত ব্যবসা করি। আমরা এই সিজন ছাড়া দোকান করিনা। আমাগো দোকানে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। মাসে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়।
ভেসে চলা এই ভিন্নধর্মী দোকানের উদ্যোক্তা জিয়া ফরাজী বলেন, ‘সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে আসার পর অনেক জেলেদেরই তেল এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফুরিয়ে যায়। তখন তারা বিপাকে পড়ে যায়। এত দূর থেকে তাদের গিয়ে তা ক্রয় করা সম্ভব না তাদের এই দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই আমি এই উদ্যোগ নেই।’
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষার্থীর। দুই বছর আগে বাবা মারা যান। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপত্তি বাধে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে ছুটতে হয়
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং কমলগঞ্জের ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সুনছড়া চা-বাগান। এর একটি টিলার ওপর টিনের জীর্ণ ঘর। বাইরে হেলে পড়া বাঁশে ঝুলে আছে জাতীয় পতাকা। ছোট্ট কক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে দুটি কক্ষ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। জীর্ণ ঘরের মত
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
৬ ঘণ্টা আগে