Ajker Patrika

শাহ আমানত বিমানবন্দর

মন্ত্রীর ভাইয়ের দোকানের ভাড়া বাকি ২ কোটি টাকা

  • তিনটি দোকানই ভাড়া দেয় না। বকেয়া রয়েছে বিদ্যুৎ বিলও।
  • একটি দোকান ২০০৮ সাল থেকে, অন্য দুটি ২০১৪ সাল থেকে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না।
  • ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধ করে দিয়েছেন, রিটের দোহাই দিয়ে আবারও চালু।
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা। গত রোববার বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেন। তবে হাইকোর্টের একটি রিট আবেদন থাকায় দোকান আবারও চালু করেছেন তিনি।

বিমানবন্দরের সামনে পার্কিং এলাকায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাধীন তিনটি সরকারি স্ন্যাকস কর্নার রয়েছে। এর দুটির ইজারাদার মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন, আরেকটির ইজারাদার জসিম উদ্দিন মিন্টু। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিমানবন্দরের সামনে পার্কিং এলাকায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাধীন তিনটি সরকারি স্ন্যাকস কর্নার রয়েছে। এগুলোর ইজারাদারেরা হাইকোর্টে রিট করেছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা ভাড়া বেশি দিচ্ছেন। এ জন্য একটি দোকান ২০০৮ সাল থেকে, অন্য দুটি ২০১৪ সাল থেকে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না। এতে ২ কোটি টাকার বেশি ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের সামনে পার্কিং এলাকায় স্ন্যাকস কর্নারের এমএইচ-১ (মোশারফ হোসেন-১), এমএইচ-২-এর (মোশারফ হোসেন-২) ইজারাদার এমএইচ ট্রেডার্স গং। যার মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। এ দুটি স্ন্যাকস কর্নারের কাছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ৫৩৬ টাকা। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বাবদ ২০ লাখ ৮২ হাজার ৫৩১ টাকা এবং ইজারার ভাড়া ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫ টাকা।

আরেকটি দোকান শাহ আমানত স্ন্যাকস কর্নারের ইজারাদার জসিম উদ্দিন মিন্টু। তিনি ২০০৮ সালে ইজারা নেন। এর ইজারাদার ২০০৮ সালে দোকান নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ বন্ধ করে দেন। প্রতিবছর ভ্যাটসহ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা ইজারার ভাড়া পরিশোধ করার কথা। সেই হিসাবে গত ১৬ বছরে সরকারের পাওনা রয়েছে ৬৪ লাখ ৯ হাজার ৪৪০ টাকা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৩ লাখ ৫৭৯ টাকা। সব মিলিয়ে শাহ আমানত স্ন্যাকস কর্নারের ১৬ বছরে সরকারের ইজারার ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ পাওনা রয়েছে ৭৭ লাখ ১০ হাজার ২৯ টাকা।

এ বিষয়ে স্ন্যাকস কর্নার এমএইচ-১ ও এমএইচ-২-এর ম্যানেজার কাজী হৃদয় বলেন, ‘আমাদের এমএইচ ট্রেডার্সের মালিক মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন এবং তিনি সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের চাচাতো ভাই।’ দোকানের ভাড়া দেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা চলছে, তাই ভাড়া দিতে হয় না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত