পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
‘বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, ছোট ভাই-বোন স্ত্রী আর আড়াই বছরে একটি মেয়ে আছে। পরিবারের খরচ জোগাতে সাগরে মাছ শিকারে যাই। বৈরী আবহাওয়াসহ নানা ধরনের প্রতিকূলতার শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিন জলদস্যু থেকে নিরপরাধ থাকলেও এবারের ঘটনায় আমরা বিস্মিত। একটি বয়ায় আটজন ছিলাম। একে একে চারজন মারা গেছে। সবাইকে হাত থেকে ছেড়ে দিয়েছি বঙ্গোপসাগরে। প্রতিটি মুহূর্তে মনে হচ্ছিল এখুনি বুঝি মারা যাব।’
কথাগুলো প্রতিবেদককে বলছিলেন বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় ৭০ ঘণ্টা ভাসমান থাকার পর উদ্ধার হওয়া এফবি ভাই ভাই ট্রলারে সহকারী মাঝি শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ডলুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর মরখালি গ্রামের মাহতাব হাওলাদারের ছেলে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বিশ বছর ধরে সাগরে নৌকা বাইচ করি। সাগরে যদি বাঁচতেই না পারি তাহলে গিয়ে কি করব? যখন পানির তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যায় তখন লবণ পানি মুখে দিয়ে কুলি করি। ওই পানি খাওয়া যায় না। ওই সময় নিয়ত করেছি এইবার যদি বাড়িতে ফিরতে পারি আর কোনো দিন সাগরে মাছ শিকারে যাব না।’
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাগরে হঠাৎ ডাকাতির ঘটনায় উপকূলীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফিরে আসা অনেক জেলেই সাগরে মাছ শিকারে যেতে চাচ্ছেন না।’
এদিকে যারা জেলে পেশা ছেড়ে দিতে চাচ্ছে তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা কথা বলেন গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গত সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারের মাঝি শফিক, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, জামাল ও আব্দুল হাইকে কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এফবি মা মরিয়ম নামে এক মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা তাঁদের গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন।
‘বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, ছোট ভাই-বোন স্ত্রী আর আড়াই বছরে একটি মেয়ে আছে। পরিবারের খরচ জোগাতে সাগরে মাছ শিকারে যাই। বৈরী আবহাওয়াসহ নানা ধরনের প্রতিকূলতার শিকার হতে হয়। দীর্ঘদিন জলদস্যু থেকে নিরপরাধ থাকলেও এবারের ঘটনায় আমরা বিস্মিত। একটি বয়ায় আটজন ছিলাম। একে একে চারজন মারা গেছে। সবাইকে হাত থেকে ছেড়ে দিয়েছি বঙ্গোপসাগরে। প্রতিটি মুহূর্তে মনে হচ্ছিল এখুনি বুঝি মারা যাব।’
কথাগুলো প্রতিবেদককে বলছিলেন বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় ৭০ ঘণ্টা ভাসমান থাকার পর উদ্ধার হওয়া এফবি ভাই ভাই ট্রলারে সহকারী মাঝি শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ডলুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর মরখালি গ্রামের মাহতাব হাওলাদারের ছেলে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বিশ বছর ধরে সাগরে নৌকা বাইচ করি। সাগরে যদি বাঁচতেই না পারি তাহলে গিয়ে কি করব? যখন পানির তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যায় তখন লবণ পানি মুখে দিয়ে কুলি করি। ওই পানি খাওয়া যায় না। ওই সময় নিয়ত করেছি এইবার যদি বাড়িতে ফিরতে পারি আর কোনো দিন সাগরে মাছ শিকারে যাব না।’
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাগরে হঠাৎ ডাকাতির ঘটনায় উপকূলীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফিরে আসা অনেক জেলেই সাগরে মাছ শিকারে যেতে চাচ্ছেন না।’
এদিকে যারা জেলে পেশা ছেড়ে দিতে চাচ্ছে তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা কথা বলেন গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গত সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলারের মাঝি শফিক, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, জামাল ও আব্দুল হাইকে কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। পরে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এফবি মা মরিয়ম নামে এক মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা তাঁদের গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন।
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
৪ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
৪ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
৪ ঘণ্টা আগে