আরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
শহরের বাসস্ট্যান্ড, কলেজ মোড়, পূর্ব চাঁদকাঠি চৌরাস্তা, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সাধনার মোড়, কালীবাড়ি রোড, সদর চৌরাস্তা, কামারপট্টি, কুমারপট্টি গার্লস স্কুল রোড ও পালবাড়ী মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ২৯ জন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ১৬৮ জনে (পুরুষ ৩৭,৫২৬ ও নারী ৩৮,৬৪২ জন)। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বর্তমানে আনুমানিক ৬৮ থেকে ৭০ হাজার মানুষ শহরে বসবাস করছেন। প্রতিদিন কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও যাত্রী মিলিয়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করায় রাস্তায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, আগে ১ হাজার ১৭৫টি অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে বৈধ স্মার্ট লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৭৫০টি। কারণ একজন চালককে কিংবা গাড়ির মালিককে একটির বেশি লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন রাস্তায় কয়েক হাজার অটোরিকশা চলছে, যার অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশনবিহীন।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত এবং সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনা আক্তার বলেন, ‘অটোরিকশার কারণে শহরের মধ্যে এতটাই যানজট হয় যে, আমরা হেঁটেও স্কুলে পৌঁছাতে পারি না। এমনকি ফুটপাতগুলোও দখল করে রাখা হয়েছে।’
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালক বাচ্চু বলেন, ‘শহরের মধ্যে তীব্র যানজটের কারণে রোগী পরিবহনে আমরা বিপদে পড়ি। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি শব্দযন্ত্র ব্যবহার করলেও যানজটের কারণে পথ মেলে না।’
ভ্রাম্যমাণ বাজারে দুর্ভোগ চরমে
শহরের হোগলাপট্টি থেকে শীতলা খোলা মোড় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত প্রতিদিন মাছ, মুরগি, সবজি ও ফল বিক্রি হচ্ছে। কেউ ভ্যান গাড়িতে, কেউ মাটিতে পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন। এতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হোগলাপট্টি থেকে সাধনার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত স্থায়ী দোকানগুলোও দখল করে ব্যবসা করছে, যে কারণে পথচারীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।
জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা বলেন, ‘আমাদের দোকান ভাড়া দিয়ে এত খরচের মধ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। তাই রাস্তার ওপর বিকল্পভাবে কাজ করে কেবল জীবিকা নির্বাহ করছি। যদি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান বা বাজারের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হতো।’
অন্যদিকে স্থায়ী দোকানদারদের অভিযোগ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। অথচ রাস্তার দোকানদাররা বিনা মূল্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করে ক্রেতা টানছেন। ফলে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কালীবাড়ি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী তূর্য বলেন, ‘যানজট এবং ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে ক্রেতারা শহরে আসতে চায় না। ব্যবসা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রহমত মিয়া বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যানজট কমানো সম্ভব নয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, শহরে কোথাও আগুন লাগা বা দুর্ঘটনার খবর পেলে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বা আহতদের উদ্ধার কাজে দেরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান প্রায়ই লোকদেখানো। মাঝেমধ্যে পরিচালিত হলেও পরবর্তী সময়ে আগর মতো যানজট দেখা দেয়। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন বলেন, শহরের ভেতরে রাস্তার দুই পাশে দোকান বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। বর্ষাকালে গ্রামে কাজ কম থাকায় অনেকেই শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালাচ্ছেন। মানবিক কারণে কিছুদিন অভিযান শিথিল করা হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত ভিড় ও যানজটের কারণে এখন আবার অভিযান চলছে।

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
শহরের বাসস্ট্যান্ড, কলেজ মোড়, পূর্ব চাঁদকাঠি চৌরাস্তা, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সাধনার মোড়, কালীবাড়ি রোড, সদর চৌরাস্তা, কামারপট্টি, কুমারপট্টি গার্লস স্কুল রোড ও পালবাড়ী মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ২৯ জন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ১৬৮ জনে (পুরুষ ৩৭,৫২৬ ও নারী ৩৮,৬৪২ জন)। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বর্তমানে আনুমানিক ৬৮ থেকে ৭০ হাজার মানুষ শহরে বসবাস করছেন। প্রতিদিন কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও যাত্রী মিলিয়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করায় রাস্তায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, আগে ১ হাজার ১৭৫টি অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে বৈধ স্মার্ট লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৭৫০টি। কারণ একজন চালককে কিংবা গাড়ির মালিককে একটির বেশি লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন রাস্তায় কয়েক হাজার অটোরিকশা চলছে, যার অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশনবিহীন।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত এবং সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনা আক্তার বলেন, ‘অটোরিকশার কারণে শহরের মধ্যে এতটাই যানজট হয় যে, আমরা হেঁটেও স্কুলে পৌঁছাতে পারি না। এমনকি ফুটপাতগুলোও দখল করে রাখা হয়েছে।’
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালক বাচ্চু বলেন, ‘শহরের মধ্যে তীব্র যানজটের কারণে রোগী পরিবহনে আমরা বিপদে পড়ি। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি শব্দযন্ত্র ব্যবহার করলেও যানজটের কারণে পথ মেলে না।’
ভ্রাম্যমাণ বাজারে দুর্ভোগ চরমে
শহরের হোগলাপট্টি থেকে শীতলা খোলা মোড় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত প্রতিদিন মাছ, মুরগি, সবজি ও ফল বিক্রি হচ্ছে। কেউ ভ্যান গাড়িতে, কেউ মাটিতে পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন। এতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হোগলাপট্টি থেকে সাধনার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত স্থায়ী দোকানগুলোও দখল করে ব্যবসা করছে, যে কারণে পথচারীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।
জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা বলেন, ‘আমাদের দোকান ভাড়া দিয়ে এত খরচের মধ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। তাই রাস্তার ওপর বিকল্পভাবে কাজ করে কেবল জীবিকা নির্বাহ করছি। যদি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান বা বাজারের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হতো।’
অন্যদিকে স্থায়ী দোকানদারদের অভিযোগ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। অথচ রাস্তার দোকানদাররা বিনা মূল্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করে ক্রেতা টানছেন। ফলে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কালীবাড়ি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী তূর্য বলেন, ‘যানজট এবং ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে ক্রেতারা শহরে আসতে চায় না। ব্যবসা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রহমত মিয়া বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যানজট কমানো সম্ভব নয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, শহরে কোথাও আগুন লাগা বা দুর্ঘটনার খবর পেলে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বা আহতদের উদ্ধার কাজে দেরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান প্রায়ই লোকদেখানো। মাঝেমধ্যে পরিচালিত হলেও পরবর্তী সময়ে আগর মতো যানজট দেখা দেয়। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন বলেন, শহরের ভেতরে রাস্তার দুই পাশে দোকান বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। বর্ষাকালে গ্রামে কাজ কম থাকায় অনেকেই শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালাচ্ছেন। মানবিক কারণে কিছুদিন অভিযান শিথিল করা হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত ভিড় ও যানজটের কারণে এখন আবার অভিযান চলছে।
আরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
শহরের বাসস্ট্যান্ড, কলেজ মোড়, পূর্ব চাঁদকাঠি চৌরাস্তা, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সাধনার মোড়, কালীবাড়ি রোড, সদর চৌরাস্তা, কামারপট্টি, কুমারপট্টি গার্লস স্কুল রোড ও পালবাড়ী মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ২৯ জন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ১৬৮ জনে (পুরুষ ৩৭,৫২৬ ও নারী ৩৮,৬৪২ জন)। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বর্তমানে আনুমানিক ৬৮ থেকে ৭০ হাজার মানুষ শহরে বসবাস করছেন। প্রতিদিন কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও যাত্রী মিলিয়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করায় রাস্তায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, আগে ১ হাজার ১৭৫টি অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে বৈধ স্মার্ট লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৭৫০টি। কারণ একজন চালককে কিংবা গাড়ির মালিককে একটির বেশি লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন রাস্তায় কয়েক হাজার অটোরিকশা চলছে, যার অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশনবিহীন।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত এবং সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনা আক্তার বলেন, ‘অটোরিকশার কারণে শহরের মধ্যে এতটাই যানজট হয় যে, আমরা হেঁটেও স্কুলে পৌঁছাতে পারি না। এমনকি ফুটপাতগুলোও দখল করে রাখা হয়েছে।’
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালক বাচ্চু বলেন, ‘শহরের মধ্যে তীব্র যানজটের কারণে রোগী পরিবহনে আমরা বিপদে পড়ি। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি শব্দযন্ত্র ব্যবহার করলেও যানজটের কারণে পথ মেলে না।’
ভ্রাম্যমাণ বাজারে দুর্ভোগ চরমে
শহরের হোগলাপট্টি থেকে শীতলা খোলা মোড় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত প্রতিদিন মাছ, মুরগি, সবজি ও ফল বিক্রি হচ্ছে। কেউ ভ্যান গাড়িতে, কেউ মাটিতে পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন। এতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হোগলাপট্টি থেকে সাধনার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত স্থায়ী দোকানগুলোও দখল করে ব্যবসা করছে, যে কারণে পথচারীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।
জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা বলেন, ‘আমাদের দোকান ভাড়া দিয়ে এত খরচের মধ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। তাই রাস্তার ওপর বিকল্পভাবে কাজ করে কেবল জীবিকা নির্বাহ করছি। যদি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান বা বাজারের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হতো।’
অন্যদিকে স্থায়ী দোকানদারদের অভিযোগ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। অথচ রাস্তার দোকানদাররা বিনা মূল্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করে ক্রেতা টানছেন। ফলে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কালীবাড়ি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী তূর্য বলেন, ‘যানজট এবং ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে ক্রেতারা শহরে আসতে চায় না। ব্যবসা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রহমত মিয়া বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যানজট কমানো সম্ভব নয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, শহরে কোথাও আগুন লাগা বা দুর্ঘটনার খবর পেলে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বা আহতদের উদ্ধার কাজে দেরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান প্রায়ই লোকদেখানো। মাঝেমধ্যে পরিচালিত হলেও পরবর্তী সময়ে আগর মতো যানজট দেখা দেয়। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন বলেন, শহরের ভেতরে রাস্তার দুই পাশে দোকান বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। বর্ষাকালে গ্রামে কাজ কম থাকায় অনেকেই শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালাচ্ছেন। মানবিক কারণে কিছুদিন অভিযান শিথিল করা হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত ভিড় ও যানজটের কারণে এখন আবার অভিযান চলছে।

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
শহরের বাসস্ট্যান্ড, কলেজ মোড়, পূর্ব চাঁদকাঠি চৌরাস্তা, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সাধনার মোড়, কালীবাড়ি রোড, সদর চৌরাস্তা, কামারপট্টি, কুমারপট্টি গার্লস স্কুল রোড ও পালবাড়ী মোড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে মিনিটের পথ পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার জনসংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার ২৯ জন। ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ১৬৮ জনে (পুরুষ ৩৭,৫২৬ ও নারী ৩৮,৬৪২ জন)। দ্রুত নগরায়ণের ফলে বর্তমানে আনুমানিক ৬৮ থেকে ৭০ হাজার মানুষ শহরে বসবাস করছেন। প্রতিদিন কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও যাত্রী মিলিয়ে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ শহরে প্রবেশ করায় রাস্তায় তীব্র চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, আগে ১ হাজার ১৭৫টি অটোরিকশার লাইসেন্স থাকলেও বর্তমানে বৈধ স্মার্ট লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৭৫০টি। কারণ একজন চালককে কিংবা গাড়ির মালিককে একটির বেশি লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন রাস্তায় কয়েক হাজার অটোরিকশা চলছে, যার অধিকাংশই রেজিস্ট্রেশনবিহীন।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত এবং সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনা আক্তার বলেন, ‘অটোরিকশার কারণে শহরের মধ্যে এতটাই যানজট হয় যে, আমরা হেঁটেও স্কুলে পৌঁছাতে পারি না। এমনকি ফুটপাতগুলোও দখল করে রাখা হয়েছে।’
বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সচালক বাচ্চু বলেন, ‘শহরের মধ্যে তীব্র যানজটের কারণে রোগী পরিবহনে আমরা বিপদে পড়ি। অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি শব্দযন্ত্র ব্যবহার করলেও যানজটের কারণে পথ মেলে না।’
ভ্রাম্যমাণ বাজারে দুর্ভোগ চরমে
শহরের হোগলাপট্টি থেকে শীতলা খোলা মোড় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় পর্যন্ত প্রতিদিন মাছ, মুরগি, সবজি ও ফল বিক্রি হচ্ছে। কেউ ভ্যান গাড়িতে, কেউ মাটিতে পশরা সাজিয়ে বিক্রি করছেন। এতে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া হোগলাপট্টি থেকে সাধনার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত স্থায়ী দোকানগুলোও দখল করে ব্যবসা করছে, যে কারণে পথচারীরা ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন।
জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারেরা বলেন, ‘আমাদের দোকান ভাড়া দিয়ে এত খরচের মধ্যে ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। তাই রাস্তার ওপর বিকল্পভাবে কাজ করে কেবল জীবিকা নির্বাহ করছি। যদি ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থান বা বাজারের ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হতো।’
অন্যদিকে স্থায়ী দোকানদারদের অভিযোগ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। অথচ রাস্তার দোকানদাররা বিনা মূল্যে কম দামে পণ্য বিক্রি করে ক্রেতা টানছেন। ফলে তাঁদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কালীবাড়ি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী তূর্য বলেন, ‘যানজট এবং ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে ক্রেতারা শহরে আসতে চায় না। ব্যবসা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রহমত মিয়া বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে যানজট কমানো সম্ভব নয়। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, শহরে কোথাও আগুন লাগা বা দুর্ঘটনার খবর পেলে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় আগুন নিয়ন্ত্রণ বা আহতদের উদ্ধার কাজে দেরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান প্রায়ই লোকদেখানো। মাঝেমধ্যে পরিচালিত হলেও পরবর্তী সময়ে আগর মতো যানজট দেখা দেয়। এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. কাওছার হোসেন বলেন, শহরের ভেতরে রাস্তার দুই পাশে দোকান বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। বর্ষাকালে গ্রামে কাজ কম থাকায় অনেকেই শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চালাচ্ছেন। মানবিক কারণে কিছুদিন অভিযান শিথিল করা হয়েছিল। তবে অতিরিক্ত ভিড় ও যানজটের কারণে এখন আবার অভিযান চলছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৯ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪০ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৯ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪০ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪০ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৯ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

ঝালকাঠি শহরে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য এবং সড়কে ভ্রাম্যমাণ বাজারের কারণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোতে যানজট, দুর্ঘটনার ঝুঁকি এবং চলাচলে বিঘ্ন দেখা দেয়। এতে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৯ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৪০ মিনিট আগে