খান রফিক, বরিশাল
মা ইলিশ রক্ষায় নদ-নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এই সময়ে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে মাছ ধরা রোধই মূল উদ্দেশ্য মৎস্য অধিদপ্তরের। তবে ইলিশের খনি হিসেবে পরিচিত বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৮২ কিলোমিটার মেঘনা নদী নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির সহযোগিতা নেবে প্রশাসন। বিশেষ করে নৌ পুলিশ ও হিজলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে ড্রোন উড়িয়ে নজর রাখা হবে গোটা মেঘনায়। তা ছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য জেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার ৭৯ হাজার জেলে।
মৌসুম শেষ হলেও পেটপুরে ইলিশ খাওয়া হয়নি বরিশালের সাধারণ মানুষের। কারণ, এ বছর যেমন দাম চড়া, তেমনি আমদানিও কম। পাড়া-মহল্লায় জাটকা নিয়ে ক্রেতা ছুটলেও বড় ইলিশের দেখা মেলেনি। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, এত চেষ্টার পরও জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সফলতা আসছে না। গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন ইলিশ কমেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।
প্রতিবছর বরিশাল অঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে প্রজননক্ষম ইলিশ ধরা বন্ধে নানা কৌশল নেয় মৎস্য অধিদপ্তর। কিন্তু দেখা যায়, এ দুটি উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদদের দাদনের চাপে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও নদীতে নামতে বাধ্য হন জেলেরা।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, এবার দিনের বেলা জেলেদের নদীতে নামতে দেওয়া হবে না। রাতেও তাঁদের অভিযান চলবে। কিন্তু বিশাল মেঘনার ৮২ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও র্যাব তাঁদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে থাকবে। সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য। বিশাল মেঘনা নজরে রাখার জন্য তাঁরা এবার ড্রোন বসাবেন। অন্তত চারটি ড্রোন বসিয়ে যেখানে ইলিশ ধরা হবে, সেখানে স্পিডবোট নিয়ে অভিযান চালানো হবে।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওমর সানি বলেন, ‘আমরা মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনতা সভা করেছি। দুটি স্পিডবোট দিয়ে অন্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চলবে। দরকার হলে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হবে। থাকবেন তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট।’
বরিশাল নৌ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় ড্রোন দিয়ে নজর রাখা হবে।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় হতাশার সুর জেলেদের মধ্যে। তাঁরা জানান, সময়মতো চাল পান না। যা পান, তা-ও কম দেওয়া হয়। তা ছাড়া মহাজনের দাদনের চাপও রয়েছে।
মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘২৫ কেজি চাল দিয়ে প্রায় এক মাস সংসার কী চলে বলেন? এই বেকার সময়ে সরকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত।’
সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে সালাম মিয়া বলেন, এক মাসে যা ইলিশ পেয়েছেন, তাতে দাদন পরিশোধ হয় না। এখন অভিযানের সময় ঘরে বসে থাকা কষ্টকর। তাঁরা আইন মানতে চান, কিন্তু কী করে খাবেন, তার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় তাঁরা মৎস্যপল্লিগুলোয় প্রচার এবং মৎস্যজীবী, আড়তদার ও বরফকলের মালিকদের নিয়ে সভা করেছেন। ৫৯টি ইলিশসমৃদ্ধ ইউনিয়নের টাস্কফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলায় মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে থাকবে। দুষ্কৃতকারীদের ঠেকাতে মেঘনা নদীতে নজর রাখার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। নৌ পুলিশও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব স্থান থেকে জেলেরা নদীতে নামার চেষ্টা করবেন, সেখানে অভিযান চালাবে।
রিপন কান্তি জানান, মা ইলিশ নিধনকারীদের বিচারে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭৯ হাজার জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৬ হাজার ৫২৪ জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
মা ইলিশ রক্ষায় নদ-নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। এই সময়ে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে মাছ ধরা রোধই মূল উদ্দেশ্য মৎস্য অধিদপ্তরের। তবে ইলিশের খনি হিসেবে পরিচিত বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ৮২ কিলোমিটার মেঘনা নদী নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির সহযোগিতা নেবে প্রশাসন। বিশেষ করে নৌ পুলিশ ও হিজলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে ড্রোন উড়িয়ে নজর রাখা হবে গোটা মেঘনায়। তা ছাড়া অভিযান পরিচালনার জন্য জেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার ৭৯ হাজার জেলে।
মৌসুম শেষ হলেও পেটপুরে ইলিশ খাওয়া হয়নি বরিশালের সাধারণ মানুষের। কারণ, এ বছর যেমন দাম চড়া, তেমনি আমদানিও কম। পাড়া-মহল্লায় জাটকা নিয়ে ক্রেতা ছুটলেও বড় ইলিশের দেখা মেলেনি। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, এত চেষ্টার পরও জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সফলতা আসছে না। গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন ইলিশ কমেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।
প্রতিবছর বরিশাল অঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে প্রজননক্ষম ইলিশ ধরা বন্ধে নানা কৌশল নেয় মৎস্য অধিদপ্তর। কিন্তু দেখা যায়, এ দুটি উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা রাজনীতিবিদদের দাদনের চাপে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও নদীতে নামতে বাধ্য হন জেলেরা।
হিজলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন, এবার দিনের বেলা জেলেদের নদীতে নামতে দেওয়া হবে না। রাতেও তাঁদের অভিযান চলবে। কিন্তু বিশাল মেঘনার ৮২ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও র্যাব তাঁদের সঙ্গে যৌথ অভিযানে থাকবে। সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য। বিশাল মেঘনা নজরে রাখার জন্য তাঁরা এবার ড্রোন বসাবেন। অন্তত চারটি ড্রোন বসিয়ে যেখানে ইলিশ ধরা হবে, সেখানে স্পিডবোট নিয়ে অভিযান চালানো হবে।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওমর সানি বলেন, ‘আমরা মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনতা সভা করেছি। দুটি স্পিডবোট দিয়ে অন্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চলবে। দরকার হলে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হবে। থাকবেন তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট।’
বরিশাল নৌ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন মোল্লা বলেন, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় ড্রোন দিয়ে নজর রাখা হবে।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় হতাশার সুর জেলেদের মধ্যে। তাঁরা জানান, সময়মতো চাল পান না। যা পান, তা-ও কম দেওয়া হয়। তা ছাড়া মহাজনের দাদনের চাপও রয়েছে।
মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘২৫ কেজি চাল দিয়ে প্রায় এক মাস সংসার কী চলে বলেন? এই বেকার সময়ে সরকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা উচিত।’
সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের টুমচরের জেলে সালাম মিয়া বলেন, এক মাসে যা ইলিশ পেয়েছেন, তাতে দাদন পরিশোধ হয় না। এখন অভিযানের সময় ঘরে বসে থাকা কষ্টকর। তাঁরা আইন মানতে চান, কিন্তু কী করে খাবেন, তার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় তাঁরা মৎস্যপল্লিগুলোয় প্রচার এবং মৎস্যজীবী, আড়তদার ও বরফকলের মালিকদের নিয়ে সভা করেছেন। ৫৯টি ইলিশসমৃদ্ধ ইউনিয়নের টাস্কফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলায় মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে থাকবে। দুষ্কৃতকারীদের ঠেকাতে মেঘনা নদীতে নজর রাখার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। নৌ পুলিশও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব স্থান থেকে জেলেরা নদীতে নামার চেষ্টা করবেন, সেখানে অভিযান চালাবে।
রিপন কান্তি জানান, মা ইলিশ নিধনকারীদের বিচারে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭৯ হাজার জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৬ হাজার ৫২৪ জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহীতে গাছ কাটার ‘মহোৎসব’ শুরু হয়েছে। তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাটা পড়ছে ২ হাজার ৩২৩টি গাছ। ইতিমধ্যে এক প্রকল্পের ৪১৮টি গাছ কাটা শুরু হয়েছে। দ্রুত অন্য দুই প্রকল্প বাস্তবায়নে বাকি গাছগুলো কাটা শুরু হবে। গাছ কেটে এমন উন্নয়নে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে রাজশাহীর পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো।
৩৭ মিনিট আগেগাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের এক নিভৃত গ্রাম রতনপুর। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরঘেঁষা এ গ্রামের দৃশ্য এখন নদীভাঙনের করুণ চিত্র। শুকনো মৌসুমে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক মাসে গ্রামটির প্রায় ৫০ বিঘা জমি, অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লংপংপাড়া ও বুচিডংপাড়া এলাকায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)-রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারে বন বিভাগের আওতায় চারটি রেঞ্জে ২৩টি বাঁশমহাল রয়েছে। এই সব কটি বাঁশমহাল বর্তমানে ইজারাবিহীন। যদিও একসময় সেসব ইজারা দেওয়া হতো। রাজস্ব আদায় হতো কোটি টাকা। কিন্তু এবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও নেওয়ার লোক পায়নি বন বিভাগ। এ সুযোগে নির্বিচারে লুট হচ্ছে বনের বাঁশ ও বেত।
২ ঘণ্টা আগে