Ajker Patrika

হতাশায় শেষ হচ্ছে ইলিশের মৌসুম, আসছে নিষেধাজ্ঞা

  • চার কারণে সাগরেও ইলিশ আহরণে ব্যর্থ।
  • জাটকা ধরায় সারা বছর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা।
  • ইলিশের মূল্য নির্ধারণে বৈঠক আজ।
  • ৫ অক্টোবর থেকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৮
ভরা মৌসুমেও দেখা নেই ইলিশের। যা জালে উঠেছে, তা-ই নিয়ে এসেছেন বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মোকামে। গতকাল সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভরা মৌসুমেও দেখা নেই ইলিশের। যা জালে উঠেছে, তা-ই নিয়ে এসেছেন বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মোকামে। গতকাল সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইলিশের ভরা মৌসুম শেষের দিকে। কিন্তু এবার মোকামে নেই আগের মতো ইলিশের দেখা; দামও অস্বাভাবিক। এসবের মধ্যেই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মা ইলিশ রক্ষায় আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এসব নিয়ে হতাশ জেলে, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের প্রশ্ন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ কি এ বছর আর মিলবে না। মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নানা প্রতিকূলতার কারণে নদীতে আর ইলিশ বাড়ানো সম্ভব নয়।

এদিকে চারটি কারণে সাগর মোহনায় জাটকা রক্ষা এবং ইলিশ আহরণে ব্যর্থতার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ। সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে মাছের মূল্য নির্ধারণী সভায় ইলিশের উৎপাদন কমা এবং অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল নগরের পোর্ট রোড ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের মোকামে ক্রেতার ঢল।

জায়গায় জায়গায় ইলিশ কেনাবেচা চলছে। গোটা মোকামেই ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের ওপরে। বাকি ২০ শতাংশ ইলিশ এলসি সাইজ এবং কোথাও কোথাও ১ কেজির সাইজের ইলিশ দেখা গেছে।

মোকামের লিয়া আড়তঘরের স্বত্বাধিকারী আড়তদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ইলিশের আমদানি কম। সোমবার দেড় শ মণের মতো মোকামে ইলিশ উঠেছে। এর আগের দিন ছিল আড়াই শ মণ। তিনি জানান, গত বছরের চেয়ে এবার কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকার বেশি ইলিশের দাম বেড়েছে। তা ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানির কারণে বড় আকৃতির ইলিশ বরিশালে এখন কম আসছে।’

পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, সোমবার ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২,১৭৫ টাকা। একইভাবে এলসি সাইজের (৭০০-৯০০) ইলিশ প্রতি কেজি ১,৯০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১,৫০০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ইলিশের দাম ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বেড়েছে।

এদিকে নদীতীরের জেলেরা ইলিশ নিয়ে আরও বেশি হতাশ। মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার মেঘনাতীরের জেলে তোফায়েল হোসেন, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর নদীতীরের জেলে আব্দুস সালাম জানান, ইলিশ এখন কিছু মিলছে। কিন্তু তাতে দাদন (ঋণ) মেটানো সম্ভব নয়। কারণ, আগামী মাসেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এখনো ধরা না পড়লে ইলিশ জালে কবে পাবেন তাঁরা?

মৎস্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ডিমওয়ালা মা ইলিশ রক্ষায় গত বছর নিষেধাজ্ঞা হয়েছিল ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সাধারণত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার ওপর নির্ভর করে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী এ বছর ৭ অক্টোবর পূর্ণিমা শুরু। এর ৩ দিন পিছিয়ে দেওয়া হলে এবার ৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে পারে। আর অমাবস্যা বিবেচনা করে নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেওয়া হলে পরের বছর মাছ উৎপাদন কমে যাবে। কারণ, অক্টোবরের ২১ তারিখ অমাবস্যা। ৩ দিন পিছিয়ে দিলে ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা হবে। এমনটা হলে মা ইলিশ নির্বিচার ধরার সুযোগ করে দেওয়া হবে।

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিছুর রহমান জানান, ডুবোচর, আবহাওয়া পরিবর্তন, পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাত হ্রাস, অবৈধ কারেন্ট জাল এবং জাটকা রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে ইলিশের আহরণ কমে আসছে।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং দাম বাড়ার বিষয়ে আমরা মনিটরিং করছি। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় এত চেষ্টার পরও সফলতা আসছে না। এর কারণ, আমরা সাগরে ইলিশ রক্ষা এবং আহরণে ব্যর্থ। ট্রলিং বোট, সাগরের মুখে জাল, বিদেশি বোট এবং বাণিজ্যিক ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা—এই চার কারণে ইলিশ উৎপাদন গত বছর প্রায় ৪০ হাজার টন কমে গেছে। এবারও ইলিশের উৎপাদন কমবে বলে তিনি মনে করেন।

এমদাদুল্যাহ আরও বলেন, নদীতে শত চেষ্টা করেও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পানিসংকট, ডুবোচর, নাব্যতাসংকটের কারণে নদীতে সব মাছের উৎপাদন কমছে।

বরিশাল জেলা মার্কেটিং অফিসার এস এম মাহবুব আলম বলেন, তাঁরা পণ্যের বাজারদর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। কিন্তু ইলিশের দাম বাড়ার রহস্য খোঁজার সুযোগ নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
গতকাল রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অফিসটিতে ঢুকে সাইনবোর্ড, একটি কক্ষের দরজা-জানালা এবং বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কুষ্টিয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও সাধারণ জনতা মিছিল করে। মিছিলকারীরা পরে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি শেষ হয় এবং রাত ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে প্রথম আলো অফিসসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ধরনের কিছু খবর শুনেছি। তবে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অরাজকতা রোধে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় পিটিয়ে হত্যার পর যুবকের মরদেহে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৪
বিক্ষুব্ধ জনতা নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষুব্ধ জনতা নিহত ব্যক্তির মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দিপু চন্দ্র দাসকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানার ভেতরে ও বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ দিপু চন্দ্রকে বের করে দিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া হয়।

পুলিশ দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রাত আড়াইটার দিকে দিপু চন্দ্র দাসের মরদেহ মর্গে পাঠায়।

ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। শুনেছি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন তাকে ডেকে নিলে শত শত লোক তাকে আক্রমণ করে। এখন নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে আসলে মামলা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো কার্যালয়ে পুলিশের ব্যারিকেড, সিআইডির নমুনা সংগ্রহ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী কারওয়ান বাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ভবনের সামনে চারপাশে হিসেবে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।

আজ শুক্রবার সকালে জমিনে দেখা গেছে, প্রথম আলো চারতলা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা ভবনটির চারপাশে ঘিরে রাখে।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করার জন্য প্রথম আলো ভবনে এসেছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ সময় সরেজমিনে দেখা গেছে, একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এরপর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর পরপরই ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিসংযোগের পর ভবনের ভেতর ৩০-৩৫ জন সাংবাদিক ও কর্মী আটকা পড়েন। বিক্ষোভের শুরুতেই রাত ১০টার সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন থেকে কয়েকটি ইউনিট ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়। তবে তাদের বাধা দেন বিক্ষুব্ধরা। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে ঝুলন্ত দুই মরদেহ উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলাদা স্থান থেকে দুটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রাম ও রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দেরগাঁও গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন খাজুরিয়া গ্রামের শফিউল্লা মোল্লার ছেলে বিটু মোল্লা (৪০) ও গাব্দেরগাঁও গ্রামের বাবুল ব্যাপারীর স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫০)।

বিটু মোল্লার স্বজন মিজান মোল্লা বলেন, ‘আমরা একই বাড়ির বাসিন্দা। শুনেছি রাতে বিটু মোল্লা ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়েছে। পরে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যায় বিটু মোল্লা নিজেদের বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে। পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।’

এদিকে সেলিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইব্রাহিম মৃধা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ করে তার এক ছেলেকে প্রবাসে পাঠানো হয়েছে। এখনো ঋণ পরিশোধ করা হয়নি, এর মধ্যে ছেলে বিদেশ থেকে চলে আসতে চায়। এই খবরে তার পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সেলিনা বেগম ঘুমিয়ে পড়লেও সকালে বসতঘরের পাশে একটি কাঁঠালগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্বজনেরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত