নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
জনবলসংকট, যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে সরকারি এ হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও রোগীরা। এদিকে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি নদী বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সুগন্ধ্যা নদী পেরিয়ে বাবুগঞ্জের সাধারণ মানুষ সহসা ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চান না। তারওপর হাসপাতালে বিভিন্ন রকম সংকটে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল-সংলগ্ন কেবল দুটি ইউনিয়নের মানুষ সুগন্ধ্যার ওপারের বাসিন্দা। বাবুগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ বাকি চারটির মানুষকে নদী পেরিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বেগ পেতে হয়। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ হাসপাতালের সেবাবঞ্চিত রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে ডাক্তার থাকতে চান না। সীমিত জনবল দিয়েই হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে।
রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না। ফলে অনেককে বাধ্য হয়ে পাশের উপজেলা উজিরপুর, গৌরনদী কিংবা বরিশাল নগরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে সময়ের যেমন অপচয় হচ্ছে, তেমনি অর্থ ব্যয় হচ্ছে বেশি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনো ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই কার্যক্রম চলছে। ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৪ জন। ডাক্তারদের পাশাপাশি নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, কম্পাউন্ডার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঘাটতি রয়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় দুই শ রোগী দেখভালে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
গতকাল সোমবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ জন।
কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি রোগী রুবিনা আক্তার ও মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। তাঁরা জানান, ডাক্তার না থাকায়সেবা পাচ্ছেন না। নার্সও দরকারে খুঁজে পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত ওষুধও নেই। এমনকি এক্স-রে করতে বরিশালে যেতে হয়।
বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজর কানিজ ফাতিমা বলেন, ‘ডাক্তার ও জনবল সংকটে আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’ তিনি জানান, আন্ত বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন রোগী চিকৎসা নেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এদিকে সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়ার বাসিন্দা আরিফ হোসেন ফরাজী বলেন, এখানে ডাক্তার পাওয়া যায় না, টেস্টও বাইরে থেকে করাতে হয়।
আগরপুরের বাবলু মিয়া বলেন, ‘বাবুগঞ্জ হাসপাতালে সেবা না থাকায় আমরা গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা নিতে যাই।’
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবাস সরকার বলেন, ‘নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে ডাক্তার থাকতে চান না। সীমিত জনবল দিয়েই হাসপাতাল চালাচ্ছি। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিবেশ উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এনসিডি, আইএমসিআই, এএনসি-পিএনসি, অ্যাডোলেসেন্ট কর্নারসহ ডেন্টাল ইউনিট সচল করার মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, যদি সিসি ক্যামেরা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও ইন্টারকম সার্ভিস চালু করা যায়, তবে এ হাসপাতাল থেকেই উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
জনবলসংকট, যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে সরকারি এ হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও রোগীরা। এদিকে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে হাসপাতালটিতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
স্থানীয়রা বলছেন, একটি নদী বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সুগন্ধ্যা নদী পেরিয়ে বাবুগঞ্জের সাধারণ মানুষ সহসা ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে চান না। তারওপর হাসপাতালে বিভিন্ন রকম সংকটে ভোগান্তির শিকার হতে হয় রোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল-সংলগ্ন কেবল দুটি ইউনিয়নের মানুষ সুগন্ধ্যার ওপারের বাসিন্দা। বাবুগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ বাকি চারটির মানুষকে নদী পেরিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বেগ পেতে হয়। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এ হাসপাতালের সেবাবঞ্চিত রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে ডাক্তার থাকতে চান না। সীমিত জনবল দিয়েই হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে।
রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না। ফলে অনেককে বাধ্য হয়ে পাশের উপজেলা উজিরপুর, গৌরনদী কিংবা বরিশাল নগরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে সময়ের যেমন অপচয় হচ্ছে, তেমনি অর্থ ব্যয় হচ্ছে বেশি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনো ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই কার্যক্রম চলছে। ৯ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত মাত্র ৪ জন। ডাক্তারদের পাশাপাশি নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, কম্পাউন্ডার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঘাটতি রয়েছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় দুই শ রোগী দেখভালে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
গতকাল সোমবার হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩১ জন।
কথা হয় হাসপাতালে ভর্তি রোগী রুবিনা আক্তার ও মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। তাঁরা জানান, ডাক্তার না থাকায়সেবা পাচ্ছেন না। নার্সও দরকারে খুঁজে পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত ওষুধও নেই। এমনকি এক্স-রে করতে বরিশালে যেতে হয়।
বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজর কানিজ ফাতিমা বলেন, ‘ডাক্তার ও জনবল সংকটে আমরা রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।’ তিনি জানান, আন্ত বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন রোগী চিকৎসা নেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এদিকে সেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়ার বাসিন্দা আরিফ হোসেন ফরাজী বলেন, এখানে ডাক্তার পাওয়া যায় না, টেস্টও বাইরে থেকে করাতে হয়।
আগরপুরের বাবলু মিয়া বলেন, ‘বাবুগঞ্জ হাসপাতালে সেবা না থাকায় আমরা গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা নিতে যাই।’
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবাস সরকার বলেন, ‘নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে ডাক্তার থাকতে চান না। সীমিত জনবল দিয়েই হাসপাতাল চালাচ্ছি। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিবেশ উন্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এনসিডি, আইএমসিআই, এএনসি-পিএনসি, অ্যাডোলেসেন্ট কর্নারসহ ডেন্টাল ইউনিট সচল করার মাধ্যমে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, যদি সিসি ক্যামেরা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা ও ইন্টারকম সার্ভিস চালু করা যায়, তবে এ হাসপাতাল থেকেই উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
রংপুর বিভাগজুড়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি পশু জবাই করা হচ্ছে। কিন্তু এসব পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। বিভাগে ১ হাজার ৩০৩টি হাট-বাজার রয়েছে, তবে কোথাও নেই আধুনিক কসাইখানা বা ভেটেরিনারি সার্জনের উপস্থিতি।
১ ঘণ্টা আগেচারদিকে ঝোপঝাড়। বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন। নেই টিউবওয়েল। এ দৃশ্য রংপুরের পীরগাছা উপজেলার প্রতিপাল গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। বর্তমানে সেখানকার ২৮ ঘরই তালাবদ্ধ। বারান্দায় খড়, লাকড়ি স্তূপ করে রাখা। কোথাও ধরেছে ফাটল, কোথাও দেখা দিয়েছে ভাঙন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ না দিয়ে বাইরের...
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আফতাবনগরে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমবার রাতে আজকের পত্রিকাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত...
২ ঘণ্টা আগেএক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের জেরে খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। নিরাপত্তার শঙ্কায় পাহাড়ে যাওয়া স্থগিত করছেন পর্যটকেরা, বাতিল করছেন হোটেল-মোটেলের বুকিং। এতে ধস নেমেছে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়।
২ ঘণ্টা আগে