Ajker Patrika

পাহাড়ের পর্যটনে ধস নেমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার  ১৪৪ ধারা জারি করার পর থমথমে রয়েছে পরিস্থিতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলার  ১৪৪ ধারা জারি করার পর থমথমে রয়েছে পরিস্থিতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের জেরে খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। নিরাপত্তার শঙ্কায় পাহাড়ে যাওয়া স্থগিত করছেন পর্যটকেরা, বাতিল করছেন হোটেল-মোটেলের বুকিং। এতে ধস নেমেছে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়।

পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই দুর্গাপূজার বন্ধ পড়েছে এবার। এ কারণে ভালো ব্যবসার আশায় ছিলেন পাহাড়ের হোটেল-মোটেলের মালিকেরা। কিন্তু হঠাৎ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি তাঁদের সে আশার গুড়ে বালি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা। কারণ সেখানকার হোটেল-মোটেলগুলোর সব বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। নিরাপত্তার কারণে হোটেলমালিকেরাও নতুন করে বুকিং নিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির অরণ্যক হোটেলের মালিক ও হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সহসভাপতি স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘চলতি পূজার বন্ধে আমাদের হোটেলে শতভাগ বুকিং ছিল, সব বুকিং বাতিল করেছেন পর্যটকেরা। শুধু হোটেল-মোটেল ব্যবসা নয়, পাহাড়ের পুরো অর্থনীতির সঙ্গে পর্যটনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’

সাজেক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সদস্য জ্যোতিময় চাকমা বলেন, ‘পাহাড়ে চলমান অস্থিরতার কারণে পর্যটন ব্যবসার বিরাট ক্ষতি হয়েছে। আমাদের আশা ছিল মৌসুমের শুরুতেই ভালো ব্যবসা করব। কিন্তু খাগড়াছড়ির অস্থিরতা আমাদের সব আশা হতাশায় পরিণত করল।’

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার গতকাল সোমবার বলেন, ‘আজ অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা এই অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। দেশের গণমাধ্যমকর্মীসহ সবার সহযোগিতা চাই।’

খাগড়াছড়ির তুলনায় রাঙামাটি ও বান্দরবানের অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো। কিন্তু আতঙ্কের কারণে পর্যটকেরা এই দুই জেলায় যেতে খুব একটা আগ্রহী নন বলে জানা গেছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, আজ (২৯ সেপ্টম্বর) রাঙামাটির ১০ উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রাঙামাটির হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুপ বলেন, ‘পূজার দীর্ঘ বন্ধে আমাদের ভালো ব্যবসার আশা ছিল। খাগড়াছড়ির অস্থিরতার খবরে হোটেলের বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকেরা। এতে ব্যবসায়ীদের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। আমাদের জেলা পর্যটননির্ভর একটি জেলা। পর্যটক না এলে অর্থনীতি অচল।’ এই জেলায় ৫৪টি বেসরকারি হোটেল-মোটেল রয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামের সরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তা মো. সোহেল খান বলেন, ‘পূজার বন্ধে পরিবার নিয়ে সাজেকে বেড়ানোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পাহাড়ে গোলযোগের কারণে আর সাজেকে যাওয়ার ইচ্ছা জাগছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগের কর্তৃত্ব হারাল পরিচালনা পর্ষদ

৪ দিন ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে আটক যুবকের মৃত্যু, ইনচার্জ গ্রেপ্তার

টিকটকে পরিচয়, মোবাইল উপহার দিতে ডেকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

খাগড়াছড়ি সহিংসতা: ‘ভুয়া ধর্ষণ’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন হান্নান মাসউদ

বিসিবিতে কাজ করতে আগ্রহী ওয়াসিম আকরাম, তবে...

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত