Ajker Patrika

২ মামলার সাজা নিয়ে পলাতক কাউন্সিলর, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ৫৩
২ মামলার সাজা নিয়ে পলাতক কাউন্সিলর, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

দুই মামলার সাজা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বরিশালের উজিরপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. খাইরুল আলম। এদিকে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর না থাকায় জন্মসনদ থেকে শুরু করে নাগরিক নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ওই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। 

জানা যায়, ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে উজিরপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন খাইরুল। এরপর থেকেই বিভিন্ন অর্থ আত্মসাতের কারণে গা ঢাকা দিতে থাকেন তিনি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পালিয়ে থাকার কারণে সাধারণ জনগণ তাঁদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন ওয়ারিশ সনদ, নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিভিন্ন ভাতা কার্যক্রম থেকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ জনগণের। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, খাইরুল আলম পালিয়ে গোপনে বিভিন্ন সময়ে পৌরসভায় এসে তাঁর বেতনভাতা তুলে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জব্বার রাড়ী জানান, জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিস সনদসহ এলাকার উন্নয়নে কোনো ভূমিকা নেই কাউন্সিলর খায়রুলের। কাউন্সিলর খাইরুল আলম টাকা আত্মসাৎ করে সাজা পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

এ বিষয়ে খাইরুল আলম মুঠোফোনে বলেন, টাকা-পয়সা জমা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। 

পৌরসভার সচিব ফারুক হোসেন জানান, ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে সাজা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। কাউন্সিলরের সম্মানী ভাতা উত্তোলনের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সচিব। পৌর মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বেপারীর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান, খাইরুল আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতি বিশ্বাস জানান, লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করা হবে। 

উল্লেখ্য, চেক ডিজঅনার এর পৃথক দুটি মামলায় ১০ মাস করে ২০ মাস এবং ৩১ লাখ টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে রায় ঘোষণা করেছেন বরিশাল ২য় দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ।

গত বছরের ২৫ জানুয়ারি পৃথক দুটি মামলায় এ রায় প্রদান করেন তিনি। রায় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উজিরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আ. জব্বার রাড়ীর কাছ থেকে ২০০৮ সালে ব্যবসার উদ্দেশ্যে খাইরুল আলম নগদ ১৭ লাখ টাকা এবং একই এলাকার সরোয়ার হোসেন খলিফার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ধার নেন। উক্ত টাকা ফেরত দিতে না পারায় উভয়কে একটি করে ব্যাংকের চেক প্রদান করেন। 

চেক দুটি ব্যাংকে জমা দিলে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় ব্যাংক চেক দুটি ডিজঅনার করেন। এর প্রেক্ষিতে জব্বার রাড়ী ও সরোয়ার হোসেন খলিফা বরিশাল ২য় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে মহামান্য আদালতের বিচারক ইফতেখার আহমেদ ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে দুই মামলায় ২০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি খাইরুল আলম পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত