পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
তারিকুল ইসলাম কাজী রাকিব, পাথরঘাটা (বরগুনা)
অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবস্থা এতটাই নাজুক যে সেখানে কোনো রোগী মারা গেলেও অফিশিয়ালি ‘মৃত ঘোষণা’ করা যায় না। কারণ এখানে নেই ইসিজি বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু চিকিৎসার সংকট নয়, অবকাঠামোগত দিক থেকেও পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা করুণ। হাসপাতালটির স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাঙাচোরা। রোগী ও স্বজনদের জন্য থাকা শৌচাগারে দরজা নেই, পানির সরবরাহ অপ্রতুল। নারী রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি ভিআইপি কেবিনের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অপর দিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন।
এ দিকে হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী ২০৭ জনের পদ থাকলেও ১১৪টি পদ খালি। এর মধ্যে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। যাঁরা আছেন তাঁদেরও অনেকে ছুটিতে বা প্রশিক্ষণে থাকেন, ফলে প্রতিদিনের ডিউটিতে উপস্থিত থাকেন দু-তিনজন চিকিৎসক। একইভাবে ৩৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন, আর সহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিলিয়ে জনবল অর্ধেকের কম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানকার একমাত্র ইসিজি মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে কোনো রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না রোগী জীবিত না মৃত। বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি মেশিন এনে পরীক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়, পাশাপাশি বাড়ে খরচ। ভোগান্তি তো রয়েছেই।
হাসপাতালে রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বলা হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে।
পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল জানান, সম্প্রতি এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ পর বাইরে থেকে ইসিজি মেশিন আনিয়ে পরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল হামিদ নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা নিতে এলে মনে হয় সরকারি হাসপাতাল নয়, জরাজীর্ণ কোনো পরিত্যক্ত ভবন। ডাক্তার পাওয়া যায় না, টয়লেটে দরজা নেই, রোগীরা গরমে কষ্টে ছটফট করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই পুরোনো ও বিকল। নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অনেক পরীক্ষা হাসপাতালের ভেতরে করা সম্ভব হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্র এনে রোগী পরীক্ষা করি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নীল রতন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা বেহাল।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজের মধ্যেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ সামলাচ্ছি। শুধু ডাক্তার বা নার্সের সংকট নয়, এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাচ্ছি। ইতিমধ্যে ইসিজি মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বা সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।’
অব্যবস্থাপনাসহ নানা সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এ দিকে হাসপাতালের ইসিজি মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে সেখানে ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যায় না। ফলে রোগীরা চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অবস্থা এতটাই নাজুক যে সেখানে কোনো রোগী মারা গেলেও অফিশিয়ালি ‘মৃত ঘোষণা’ করা যায় না। কারণ এখানে নেই ইসিজি বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য যন্ত্রপাতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নীল রতন সরকার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু চিকিৎসার সংকট নয়, অবকাঠামোগত দিক থেকেও পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা করুণ। হাসপাতালটির স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভাঙাচোরা। রোগী ও স্বজনদের জন্য থাকা শৌচাগারে দরজা নেই, পানির সরবরাহ অপ্রতুল। নারী রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি ভিআইপি কেবিনের বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। অপর দিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকে ৬০ থেকে ৭০ জন।
এ দিকে হাসপাতালটির অনুমোদিত জনবলকাঠামো অনুযায়ী ২০৭ জনের পদ থাকলেও ১১৪টি পদ খালি। এর মধ্যে ৩১ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। যাঁরা আছেন তাঁদেরও অনেকে ছুটিতে বা প্রশিক্ষণে থাকেন, ফলে প্রতিদিনের ডিউটিতে উপস্থিত থাকেন দু-তিনজন চিকিৎসক। একইভাবে ৩৬ জন নার্সের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ২২ জন, আর সহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিলিয়ে জনবল অর্ধেকের কম।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানকার একমাত্র ইসিজি মেশিনটি কয়েক বছর ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। এতে কোনো রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে বা হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন না রোগী জীবিত না মৃত। বাধ্য হয়ে রোগীর স্বজনদের দিয়ে স্থানীয় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি মেশিন এনে পরীক্ষা করতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয়, পাশাপাশি বাড়ে খরচ। ভোগান্তি তো রয়েছেই।
হাসপাতালে রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীদের বলা হয় বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে।
পাথরঘাটার স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সোহেল জানান, সম্প্রতি এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ পর বাইরে থেকে ইসিজি মেশিন আনিয়ে পরীক্ষা করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল হামিদ নামের এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে চিকিৎসা নিতে এলে মনে হয় সরকারি হাসপাতাল নয়, জরাজীর্ণ কোনো পরিত্যক্ত ভবন। ডাক্তার পাওয়া যায় না, টয়লেটে দরজা নেই, রোগীরা গরমে কষ্টে ছটফট করে।’
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা যন্ত্রপাতির অনেকগুলোই পুরোনো ও বিকল। নতুন সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে অনেক পরীক্ষা হাসপাতালের ভেতরে করা সম্ভব হয় না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যন্ত্র এনে রোগী পরীক্ষা করি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানিয়েছি। এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) নীল রতন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ বছর ধরেই পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা বেহাল।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি অফিশিয়াল কাজের মধ্যেও জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগ সামলাচ্ছি। শুধু ডাক্তার বা নার্সের সংকট নয়, এখানে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীও নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করাচ্ছি। ইতিমধ্যে ইসিজি মেশিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বা সরবরাহের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান আসবে।’
শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামীকাল বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইশতেহার থেকে শুরু করে প্রচার—সবখানে প্রার্থীরা ছিলেন সরব। তবে শেষ মুহূর্তে প্রকাশ্যে এল ছাত্রদলের অন্তর্কোন্দল।
২ ঘণ্টা আগেস্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তবে একসঙ্গে আবাসনের ব্যবস্থা; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মাসিক ভর্তুকি প্রদান; লাইব্রেরি, সেমিনার ও রিডিং রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা—এমন শত শত প্রতিশ্রুতি উঠে এল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ
২ ঘণ্টা আগেসরকারি নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে মুন্সিগঞ্জের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে চলছে মা ইলিশ শিকারের ‘উৎসব’। দিনরাত জাল ফেলে মা ইলিশ ধরে চলেছেন অসাধু কিছু জেলে। মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন অভিযান চালিয়েও জেলেদের রুখতে পারছে না। প্রশাসনের অভিযান শেষে কর্মকর্তারা নদী থেকে চলে গেলেই আবারও জাল ফেলছেন জেলেরা।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুর করেছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত তিন শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে একজনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে