আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চার দশকের বেশি সময় ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও যুদ্ধ সামাল দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে চালানো অভূতপূর্ব সামরিক হামলা তাঁকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সামনে দাঁড় করিয়েছে। ৮৬ বছর বয়সী এই নেতা বর্তমানে অসুস্থ এবং তাঁর উত্তরসূরি এখনো নির্ধারিত নয়—এই অবস্থায় তাঁর সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথও সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার এ বিষয়ে এক নিবন্ধে সিএনএন বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি); যা দেশটির ইসলামি বিপ্লবের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরানের বহু অভিজ্ঞ কমান্ডার নিহত হয়েছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যা করা হয়েছে। ১২ দিনের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক বিনিয়োগ ধ্বংস হয়ে গেছে। আর এসবই ঘটেছে এমন এক সময়, যখন ইরান কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্বিষহ মুদ্রাস্ফীতির কবলে।
সাম্প্রতিক হামলার সময় কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না খামেনি। বক্তৃতাও দিয়েছেন অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে। যুদ্ধবিরতির পর কয়েক দিন পেরিয়ে গেলে তিনি একটি ভিডিও বার্তা দেন। এই বার্তায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের’ দাবি করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য তাঁর এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনি মার খেয়েছেন, ভয়াবহভাবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, একসময়ের চতুর কূটনীতিক হিসেবে খামেনি রাজনীতি ও অর্থনীতির মাঝে ভারসাম্য রেখে দেশ শাসন করেছেন। কিন্তু এখন তিনি একটি শক্তিহীন রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন—যেখানে পারমাণবিক কর্মসূচি স্থবির, আঞ্চলিক মিত্রগোষ্ঠীগুলো ভেঙে পড়েছে এবং উত্তরাধিকারীর সংকটে পড়েছে।
১৯৮৯ সালে ইরানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার ভেতর দিয়েই তিনি দেশকে গড়ে তুলেছেন। সাম্প্রতিক নারী অধিকার আন্দোলন, ২০০৯ সালের নির্বাচন-পরবর্তী গণবিক্ষোভ, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির মুখেও তিনি ক্ষমতায় থেকেছেন। কিন্তু এই প্রথম তাঁর দেশ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আক্রমণের শিকার হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর সম্ভাব্য হত্যার কথা প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, ইরানের প্রথাগত রণনীতি, বিশেষ করে আঞ্চলিক শক্তি প্রদর্শন ও প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো—এখন ব্যর্থ। তবু খামেনির নেতৃত্বাধীন শাসন এখনো টিকে রয়েছে, যদিও এখন তা অনেক বেশি দুর্বল মনে হচ্ছে।
এই সংকটপূর্ণ সময়েও একমাত্র খামেনিই হয়তো পারেন তাঁর দেশকে আবারও পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে। আবার তিনি চাইলে এখন জাতীয় ঐক্যের এই মুহূর্তকে ব্যবহার করে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপও নিতে পারেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা এসব সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে।
সর্বশেষ বক্তৃতায় খামেনি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের ভাষায় বলেছেন, ‘প্রায় ৯ কোটির দেশ এক কণ্ঠে, এক উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিল।’ তবে বাস্তবতা হলো, শীর্ষ পর্যায়ের গোয়েন্দা ব্যর্থতা, সামরিক বিপর্যয় ও একরকম কোণঠাসা অবস্থা থেকেই এখন তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—ইরান আগের পথেই চলবে, নাকি তিনি নিজের ক্ষমতা খর্ব করে নতুন পথ খুঁজবেন।
বলা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে ইরানের ভবিষ্যৎ এখন খামেনির কাঁধে—কিন্তু তাঁর সেই কাঁধ আগের মতো দৃঢ় আছে কি না, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
চার দশকের বেশি সময় ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও যুদ্ধ সামাল দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে চালানো অভূতপূর্ব সামরিক হামলা তাঁকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সামনে দাঁড় করিয়েছে। ৮৬ বছর বয়সী এই নেতা বর্তমানে অসুস্থ এবং তাঁর উত্তরসূরি এখনো নির্ধারিত নয়—এই অবস্থায় তাঁর সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথও সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার এ বিষয়ে এক নিবন্ধে সিএনএন বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি); যা দেশটির ইসলামি বিপ্লবের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরানের বহু অভিজ্ঞ কমান্ডার নিহত হয়েছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানীদের হত্যা করা হয়েছে। ১২ দিনের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক বিনিয়োগ ধ্বংস হয়ে গেছে। আর এসবই ঘটেছে এমন এক সময়, যখন ইরান কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্বিষহ মুদ্রাস্ফীতির কবলে।
সাম্প্রতিক হামলার সময় কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না খামেনি। বক্তৃতাও দিয়েছেন অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে। যুদ্ধবিরতির পর কয়েক দিন পেরিয়ে গেলে তিনি একটি ভিডিও বার্তা দেন। এই বার্তায় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিজয়ের’ দাবি করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য তাঁর এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনি মার খেয়েছেন, ভয়াবহভাবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, একসময়ের চতুর কূটনীতিক হিসেবে খামেনি রাজনীতি ও অর্থনীতির মাঝে ভারসাম্য রেখে দেশ শাসন করেছেন। কিন্তু এখন তিনি একটি শক্তিহীন রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন—যেখানে পারমাণবিক কর্মসূচি স্থবির, আঞ্চলিক মিত্রগোষ্ঠীগুলো ভেঙে পড়েছে এবং উত্তরাধিকারীর সংকটে পড়েছে।
১৯৮৯ সালে ইরানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থার ভেতর দিয়েই তিনি দেশকে গড়ে তুলেছেন। সাম্প্রতিক নারী অধিকার আন্দোলন, ২০০৯ সালের নির্বাচন-পরবর্তী গণবিক্ষোভ, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির মুখেও তিনি ক্ষমতায় থেকেছেন। কিন্তু এই প্রথম তাঁর দেশ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আক্রমণের শিকার হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর সম্ভাব্য হত্যার কথা প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, ইরানের প্রথাগত রণনীতি, বিশেষ করে আঞ্চলিক শক্তি প্রদর্শন ও প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো—এখন ব্যর্থ। তবু খামেনির নেতৃত্বাধীন শাসন এখনো টিকে রয়েছে, যদিও এখন তা অনেক বেশি দুর্বল মনে হচ্ছে।
এই সংকটপূর্ণ সময়েও একমাত্র খামেনিই হয়তো পারেন তাঁর দেশকে আবারও পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে। আবার তিনি চাইলে এখন জাতীয় ঐক্যের এই মুহূর্তকে ব্যবহার করে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপও নিতে পারেন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা এসব সম্ভাবনার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে।
সর্বশেষ বক্তৃতায় খামেনি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের ভাষায় বলেছেন, ‘প্রায় ৯ কোটির দেশ এক কণ্ঠে, এক উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিল।’ তবে বাস্তবতা হলো, শীর্ষ পর্যায়ের গোয়েন্দা ব্যর্থতা, সামরিক বিপর্যয় ও একরকম কোণঠাসা অবস্থা থেকেই এখন তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—ইরান আগের পথেই চলবে, নাকি তিনি নিজের ক্ষমতা খর্ব করে নতুন পথ খুঁজবেন।
বলা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে ইরানের ভবিষ্যৎ এখন খামেনির কাঁধে—কিন্তু তাঁর সেই কাঁধ আগের মতো দৃঢ় আছে কি না, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
দুই বছর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে আসছে।
৬ ঘণ্টা আগেরুশ প্রচারণা যেসব দাবি ছড়াচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাস্তবে তার উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে রণক্ষেত্রে। ইউক্রেন এখন পর্যন্ত লড়াইয়ে এগিয়ে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এবার স্বীকার করেছেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ‘লড়াই চালিয়ে যেতে এবং জয়লাভ করতে সক্ষম।’
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই এইচ-১বি ভিসার ফি ১ লাখ ডলার নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর চীনের দেখাদেখি দিল্লির নীতিনির্ধারকেরাও দক্ষ ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। ট্রাম্পের ভিসা নীতিতে কাড়াকাড়ি আরোপের পর অনেক চীনা শীর্ষস্থানীয় মার্কিন বিজ্ঞানী নিজ
১৭ ঘণ্টা আগেনোবেল কমিটিতে পাঠানো এক চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘গত এক বছরে বিশ্বের শান্তির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো অবদান আর কেউ রাখেননি। অনেকে শান্তি নিয়ে সুন্দরভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু তিনিই তা বাস্তবে অর্জন করেছেন।’
১ দিন আগে