অনলাইন ডেস্ক
বলা হচ্ছে, শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতেই হঠাৎ করে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজন করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে এবার ন্যাটো সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা তাঁর জন্য লালগালিচাও বিছিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কী এমন ঘটল—ট্রাম্পকে খুশি করতে যেন একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা ইউরোপ!
আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে ইউরোপ নতুন এক সামরিকীকরণ যুগের সূচনা করছে। এমন এক সময়ে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং ট্রাম্প নিজেকে ‘বিশ্ব শান্তির রক্ষাকর্তা’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই মঞ্চ তাই তাঁর জন্য যেন এক বিজয় উদ্যাপনের ক্ষেত্র।
উদ্যাপনের আরও কিছু কারণ আছে বটে! ইউরোপীয় দেশগুলো ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করার অঙ্গীকার করেছে। এর মধ্যে ৩.৫ শতাংশ ব্যয় হবে অস্ত্র, সৈন্য ও গোলাবারুদের মতো ‘হার্ড ডিফেন্সে’ এবং ১.৫ শতাংশ ‘সফট ডিফেন্সে’, যেমন সাইবার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে। স্পেন ছাড়া সবাই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ব্রিটেন ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২টি এফ-৩৫-এ যুদ্ধবিমান কিনবে, যাতে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা যাবে।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে খুশি করতে তাঁর মোবাইলে নানা ধরনের তোষামোদি বার্তা পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প অবশ্য এসব বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস করে দিয়ে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। ট্রাম্পের উদ্দেশে রুটে লিখেছেন, ‘আপনি এমন কিছু অর্জন করতে যাচ্ছেন, যা গত কয়েক দশকে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পারেননি।’ বার্তাগুলো ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রুটেকে এখন অনেকে তামাশা করে ‘ট্রাম্প বিশারদ’ বলে ডাকছেন!
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার ন্যাটো সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক অংশ অনেক সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ট্রাম্পের মনোযোগ ধরে রাখতেই। ঐতিহ্যবাহী তিনটি সভার পরিবর্তে এবার মাত্র আড়াই ঘণ্টার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন শেষে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তা-ও মাত্র পাঁচ প্যারাগ্রাফে সীমাবদ্ধ।
ইউক্রেন ও ইরান প্রসঙ্গেও সম্মেলনে আলোচনা সীমিত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নৈশভোজে আমন্ত্রিত হলেও আজকের মূল বৈঠকে তাঁকে রাখা হয়নি—যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণেই। আর ইরান প্রসঙ্গ সম্মেলনের মূল আলোচ্য নয়, যদিও একাধিক দেশ পৃথকভাবে আলোচনা করতে পারে।
বিশ্লেষক ড্যান স্যাব্বাগ মনে করেন, এই সম্মেলন মূলত ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য সাজানো। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প এখানে প্রধান আকর্ষণ, আবার অস্থিরতার উৎসও।’ তবে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে কেন্দ্র করে সম্মেলনের রূপ দিতে চাইলেও প্রশ্ন থেকেই যায়—ন্যাটোর মতো জোটের ভবিষ্যৎ কি এমন একজন অনিশ্চিত নেতার ওপর নির্ভর করে থাকা উচিত?
বলা হচ্ছে, শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতেই হঠাৎ করে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজন করেছে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে এবার ন্যাটো সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা তাঁর জন্য লালগালিচাও বিছিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কী এমন ঘটল—ট্রাম্পকে খুশি করতে যেন একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা ইউরোপ!
আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলন ঘিরে ইউরোপ নতুন এক সামরিকীকরণ যুগের সূচনা করছে। এমন এক সময়ে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং ট্রাম্প নিজেকে ‘বিশ্ব শান্তির রক্ষাকর্তা’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই মঞ্চ তাই তাঁর জন্য যেন এক বিজয় উদ্যাপনের ক্ষেত্র।
উদ্যাপনের আরও কিছু কারণ আছে বটে! ইউরোপীয় দেশগুলো ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করার অঙ্গীকার করেছে। এর মধ্যে ৩.৫ শতাংশ ব্যয় হবে অস্ত্র, সৈন্য ও গোলাবারুদের মতো ‘হার্ড ডিফেন্সে’ এবং ১.৫ শতাংশ ‘সফট ডিফেন্সে’, যেমন সাইবার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে। স্পেন ছাড়া সবাই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ব্রিটেন ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২টি এফ-৩৫-এ যুদ্ধবিমান কিনবে, যাতে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করা যাবে।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পকে খুশি করতে তাঁর মোবাইলে নানা ধরনের তোষামোদি বার্তা পাঠিয়েছেন। ট্রাম্প অবশ্য এসব বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস করে দিয়ে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। ট্রাম্পের উদ্দেশে রুটে লিখেছেন, ‘আপনি এমন কিছু অর্জন করতে যাচ্ছেন, যা গত কয়েক দশকে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পারেননি।’ বার্তাগুলো ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রুটেকে এখন অনেকে তামাশা করে ‘ট্রাম্প বিশারদ’ বলে ডাকছেন!
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার ন্যাটো সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক অংশ অনেক সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ট্রাম্পের মনোযোগ ধরে রাখতেই। ঐতিহ্যবাহী তিনটি সভার পরিবর্তে এবার মাত্র আড়াই ঘণ্টার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলন শেষে যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে, তা-ও মাত্র পাঁচ প্যারাগ্রাফে সীমাবদ্ধ।
ইউক্রেন ও ইরান প্রসঙ্গেও সম্মেলনে আলোচনা সীমিত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নৈশভোজে আমন্ত্রিত হলেও আজকের মূল বৈঠকে তাঁকে রাখা হয়নি—যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণেই। আর ইরান প্রসঙ্গ সম্মেলনের মূল আলোচ্য নয়, যদিও একাধিক দেশ পৃথকভাবে আলোচনা করতে পারে।
বিশ্লেষক ড্যান স্যাব্বাগ মনে করেন, এই সম্মেলন মূলত ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য সাজানো। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প এখানে প্রধান আকর্ষণ, আবার অস্থিরতার উৎসও।’ তবে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে কেন্দ্র করে সম্মেলনের রূপ দিতে চাইলেও প্রশ্ন থেকেই যায়—ন্যাটোর মতো জোটের ভবিষ্যৎ কি এমন একজন অনিশ্চিত নেতার ওপর নির্ভর করে থাকা উচিত?
ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্র সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে নজরদারির মধ্যে থাকা জায়গাগুলোর একটি। ২০০৯ সালে পশ্চিমা গোয়েন্দারা গোপন এই পারমাণবিক স্থাপনাটির তথ্য প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে সম্প্রতি সেখানেই বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
৯ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিরতি যে কতটা অস্থির ও অনির্ভরযোগ্য, তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ঘোষণার পরই ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টা হামলা, সামাজিক মাধ্যমে মরিয়া সতর্কবার্তা ও নেতানিয়াহুকে ফোন করে শান্ত থাকার অনুরোধ—সবই তাঁর গভীর হতাশার ইঙ্গিত দেয়।
১ দিন আগেইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। উভয় পক্ষই লক্ষ্য অর্জনের দাবি করছে। এই ১২ দিনের যুদ্ধের জয়-পরাজয় ও বিভিন্ন পক্ষের অর্জন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
২ দিন আগে১৯৭৮ সালের অক্টোবর। তৎকালীন ইরানি শাহ সরকারের বিরোধী দুই নেতা— সেক্যুলার নেতা করিম সানজাবি এবং শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি প্যারিসের শহরতলি নফল-ল্য-শ্যাতোতে বৈঠকে বসেন। সেখানে বিপ্লব-পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য নির্ধারণে একটি খসড়া ঘোষণাপত্র তৈরি হয়। সানজাবির ভাষ্য অনুযায়ী...
২ দিন আগে