আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও গবেষকদের চীনে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নজিরবিহীন ‘উল্টো মেধা-পাচার’-এর শিকার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশ ছাড়ার এই তালিকায় আছেন প্রিন্সটনের নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ, নাসার মহাকাশ নিয়ে কাজ করা প্রকৌশলী, ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)-এর নিউরোবায়োলজিস্ট, বিখ্যাত গণিতবিদ এবং অন্তত আধা ডজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের গবেষণা বাজেট কমানোর চেষ্টা, বিদেশি প্রতিভার আগমনের ওপর কড়াকড়ি বৃদ্ধি এবং চীনে ব্যাপক বিনিয়োগের কারণেই এই প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
সিএনএন-এর গণনা অনুসারে, গত বছরের শুরু থেকে কমপক্ষে ৮৫ জন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চীনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্ণকালীন চাকরি নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বিজ্ঞানী চলতি বছর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য এই বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অনেকেই চীনা বংশোদ্ভূত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময় থেকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যের মূলে ছিল বিদেশি বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করার সক্ষমতা। কিন্তু ইদানীংকালের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেক এবং সামরিক হার্ডওয়্যারের মতো শিল্পগুলোতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের আধিপত্যের লড়াইয়ে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফেডারেল গবেষণা বাজেটে ব্যাপক কাটছাঁটের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১-বি ভিসার ফি নাটকীয়ভাবে বাড়ানো হয়েছে। এক লাফে বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করা হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এখন চীনা গবেষকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’-এর মতো কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচির পুনরুজ্জীবনের দাবি উঠেছে। এই প্রোগ্রামটি ২০২২ সালে বাতিল করা হলেও, এর পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা চীনা বংশোদ্ভূত শিক্ষাবিদদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গবেষণা তহবিল হ্রাস: ট্রাম্প প্রশাসনের গবেষণা তহবিল পুনর্বিন্যাস এবং কাটছাঁটের পদক্ষেপগুলো অ্যাকাডেমিক ল্যাবগুলোতে স্থায়ী অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
মূলত এসব কারণে উল্টো মেধা পাচারের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইউ জি এই পরিস্থিতিকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ‘ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি উপহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২০২৩ সালের এক গবেষণা অনুসারে, ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’ কার্যকর হওয়ার পরে চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানীদের দেশ ছাড়ার হার ৭৫ শতাংশ বেড়েছিল। তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশই চীনে চলে গিয়েছিলেন।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং বর্তমানে চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির প্রোটিন কেমিস্ট লু উয়ুয়ান বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, বর্তমান প্রশাসনের দূরদৃষ্টিহীন নীতিগুলো কার্যকরভাবে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পারস্পরিক লাভজনক সিনো-মার্কিন সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই স্ব-আরোপিত ক্ষতি চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বেশি মারাত্মক হতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত শিথিলতার সুযোগ নিচ্ছে চীন। চীনা সরকার বিদেশে থাকা প্রতিভাবান চীনা গবেষকদের দেশে ফেরাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে। এর মধ্যে আছে গবেষণা তহবিলে অগ্রাধিকার, মোটা অঙ্কের বোনাস, আবাসন সুবিধা এবং পরিবারকে সহায়তা। উহান বিশ্ববিদ্যালয় রোবোটিকস বা এআই বিশেষজ্ঞদের জন্য ৩০ লাখ ইউয়ান (৪ লাখ ডলারেরও বেশি) পর্যন্ত তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীন সরকার সম্প্রতি ‘কে ভিসা’ নামে তরুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিভাদের জন্য একটি নতুন ভিসা ক্যাটাগরি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হবে। এই ভিসায় কোনো ধরনের জব অফার ছাড়াই চীনে যাওয়া যাবে।
এ ছাড়া, কিমিং কর্মসূচির মতো উদ্যোগের মাধ্যমে সেমিকন্ডাক্টর এবং পরবর্তীকালে এআই ও কোয়ান্টাম বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ পেশাদার গবেষকদের আকৃষ্ট করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা মেটাতে চীন ‘আঞ্চলিক সীমানা জানে না’ বলে এক নিয়োগকর্তা উল্লেখ করেছেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলিতে চীনকে পশ্চিমা দেশের ‘বেপরোয়া হস্তক্ষেপের’ শিকার বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের জন্য ‘নিরাপদ আশ্রয়’ এবং ‘উৎকর্ষের মঞ্চ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চীনের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা দশকের পর দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে চীন গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) প্রায় ৭৮০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ছিল প্রায় ৮২৩ বিলিয়ন ডলার।
এই বিনিয়োগের ফলস্বরূপ চীন ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে, যেমন:
চীন গত বছর চাঁদের দূরবর্তী মেরু থেকে বিশ্বের প্রথম নমুনা নিয়ে এসেছে।
তারা নবায়নযোগ্য শক্তি, কোয়ান্টাম যোগাযোগ এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘নেচার ইনডেক্স’ অনুসারে, চীনা বিজ্ঞানীরা বর্তমানে তাঁদের মার্কিন সহকর্মীদের তুলনায় উচ্চ মানের ভৌত ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সাময়িকীগুলোতে বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন।
তবে, এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অর্থনীতি ধীর গতিতে চলায় আরঅ্যান্ডডি-তে প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণও শিক্ষাজীবনে ভিন্ন এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার পার্থক্যের কারণেও বিজ্ঞানীরা দ্বিধাগ্রস্ত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যাটিস্টিক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী চীনা গ্র্যাজুয়েটদের ৮৩ শতাংশের বেশি ২০২৩ সালেও যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলেন।
তবে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অবসর নিয়ে চীনে চলে যাওয়া বিখ্যাত গণিতবিদ ইয়াউ শিং-টুং সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভুল করে এবং সেরা ব্যক্তিদের হারায়—সেটা শুধু চীনের কাছে নয়, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের কাছেও—তবে তা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ও গবেষকদের চীনে চলে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নজিরবিহীন ‘উল্টো মেধা-পাচার’-এর শিকার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশ ছাড়ার এই তালিকায় আছেন প্রিন্সটনের নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ, নাসার মহাকাশ নিয়ে কাজ করা প্রকৌশলী, ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)-এর নিউরোবায়োলজিস্ট, বিখ্যাত গণিতবিদ এবং অন্তত আধা ডজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের গবেষণা বাজেট কমানোর চেষ্টা, বিদেশি প্রতিভার আগমনের ওপর কড়াকড়ি বৃদ্ধি এবং চীনে ব্যাপক বিনিয়োগের কারণেই এই প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
সিএনএন-এর গণনা অনুসারে, গত বছরের শুরু থেকে কমপক্ষে ৮৫ জন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চীনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্ণকালীন চাকরি নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বিজ্ঞানী চলতি বছর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য এই বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অনেকেই চীনা বংশোদ্ভূত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময় থেকে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যের মূলে ছিল বিদেশি বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করার সক্ষমতা। কিন্তু ইদানীংকালের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেক এবং সামরিক হার্ডওয়্যারের মতো শিল্পগুলোতে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের আধিপত্যের লড়াইয়ে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফেডারেল গবেষণা বাজেটে ব্যাপক কাটছাঁটের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১-বি ভিসার ফি নাটকীয়ভাবে বাড়ানো হয়েছে। এক লাফে বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করা হয়েছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এখন চীনা গবেষকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’-এর মতো কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচির পুনরুজ্জীবনের দাবি উঠেছে। এই প্রোগ্রামটি ২০২২ সালে বাতিল করা হলেও, এর পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা চীনা বংশোদ্ভূত শিক্ষাবিদদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গবেষণা তহবিল হ্রাস: ট্রাম্প প্রশাসনের গবেষণা তহবিল পুনর্বিন্যাস এবং কাটছাঁটের পদক্ষেপগুলো অ্যাকাডেমিক ল্যাবগুলোতে স্থায়ী অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
মূলত এসব কারণে উল্টো মেধা পাচারের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইউ জি এই পরিস্থিতিকে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ‘ট্রাম্পের পক্ষ থেকে একটি উপহার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২০২৩ সালের এক গবেষণা অনুসারে, ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’ কার্যকর হওয়ার পরে চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানীদের দেশ ছাড়ার হার ৭৫ শতাংশ বেড়েছিল। তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশই চীনে চলে গিয়েছিলেন।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং বর্তমানে চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির প্রোটিন কেমিস্ট লু উয়ুয়ান বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, বর্তমান প্রশাসনের দূরদৃষ্টিহীন নীতিগুলো কার্যকরভাবে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পারস্পরিক লাভজনক সিনো-মার্কিন সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এই স্ব-আরোপিত ক্ষতি চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই বেশি মারাত্মক হতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত শিথিলতার সুযোগ নিচ্ছে চীন। চীনা সরকার বিদেশে থাকা প্রতিভাবান চীনা গবেষকদের দেশে ফেরাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।
চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে। এর মধ্যে আছে গবেষণা তহবিলে অগ্রাধিকার, মোটা অঙ্কের বোনাস, আবাসন সুবিধা এবং পরিবারকে সহায়তা। উহান বিশ্ববিদ্যালয় রোবোটিকস বা এআই বিশেষজ্ঞদের জন্য ৩০ লাখ ইউয়ান (৪ লাখ ডলারেরও বেশি) পর্যন্ত তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীন সরকার সম্প্রতি ‘কে ভিসা’ নামে তরুণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিভাদের জন্য একটি নতুন ভিসা ক্যাটাগরি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে এটি কার্যকর হবে। এই ভিসায় কোনো ধরনের জব অফার ছাড়াই চীনে যাওয়া যাবে।
এ ছাড়া, কিমিং কর্মসূচির মতো উদ্যোগের মাধ্যমে সেমিকন্ডাক্টর এবং পরবর্তীকালে এআই ও কোয়ান্টাম বিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞ পেশাদার গবেষকদের আকৃষ্ট করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা মেটাতে চীন ‘আঞ্চলিক সীমানা জানে না’ বলে এক নিয়োগকর্তা উল্লেখ করেছেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলিতে চীনকে পশ্চিমা দেশের ‘বেপরোয়া হস্তক্ষেপের’ শিকার বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের জন্য ‘নিরাপদ আশ্রয়’ এবং ‘উৎকর্ষের মঞ্চ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চীনের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা দশকের পর দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০২২ সালে চীন গবেষণা ও উন্নয়নে (আরঅ্যান্ডডি) প্রায় ৭৮০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ছিল প্রায় ৮২৩ বিলিয়ন ডলার।
এই বিনিয়োগের ফলস্বরূপ চীন ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে, যেমন:
চীন গত বছর চাঁদের দূরবর্তী মেরু থেকে বিশ্বের প্রথম নমুনা নিয়ে এসেছে।
তারা নবায়নযোগ্য শক্তি, কোয়ান্টাম যোগাযোগ এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘নেচার ইনডেক্স’ অনুসারে, চীনা বিজ্ঞানীরা বর্তমানে তাঁদের মার্কিন সহকর্মীদের তুলনায় উচ্চ মানের ভৌত ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সাময়িকীগুলোতে বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন।
তবে, এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের অর্থনীতি ধীর গতিতে চলায় আরঅ্যান্ডডি-তে প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণও শিক্ষাজীবনে ভিন্ন এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার পার্থক্যের কারণেও বিজ্ঞানীরা দ্বিধাগ্রস্ত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যাটিস্টিক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী চীনা গ্র্যাজুয়েটদের ৮৩ শতাংশের বেশি ২০২৩ সালেও যুক্তরাষ্ট্রেই ছিলেন।
তবে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে অবসর নিয়ে চীনে চলে যাওয়া বিখ্যাত গণিতবিদ ইয়াউ শিং-টুং সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভুল করে এবং সেরা ব্যক্তিদের হারায়—সেটা শুধু চীনের কাছে নয়, ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের কাছেও—তবে তা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে।’
২১শ শতকের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মূল হাতিয়ার হচ্ছে প্রযুক্তি। আর প্রযুক্তিকে সচল রাখে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস বা বিরল খনিজ ধাতু। ১৭টি ধাতুর এই গ্রুপ ছাড়া আধুনিক অর্থনীতি কার্যত অসম্ভব। ডিসপ্রসিয়াম ও টার্বিয়ামের মতো ভারী চুম্বক তৈরি করে বৈদ্যুতিক মোটর, সেমিকন্ডাক্টর, রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র, স্মার্টফোন...
৩ দিন আগেলাদাখ অ্যাপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আজ লাদাখের ইতিহাসের রক্তাক্ত দিন। আমাদের তরুণদের হত্যা করা হয়েছে—যাঁরা সাধারণ মানুষ, শুধু অনশনের দাবিকে সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর ধরে সরকারের ভুয়া প্রতিশ্রুতিতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।
৫ দিন আগেনেপালের শুরুটা হয়েছিল ভক্তপুর শহরে এক রাজনীতিবিদের মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে। সে সময় খবর ছড়ায়—ভিআইপি অতিথিদের জন্য শহরের প্রধান সড়ক ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ ছিল এবং এতে বড় ধরনের যানজট তৈরি হয়।
৬ দিন আগেজাতিসংঘের মঞ্চে ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতা রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের স্বীকৃতি শতবর্ষী ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। তবে এটি এক ধরনের কূটনৈতিক ঝুঁকিও। কারণ, বড় ইউরোপীয় শক্তিগুলো মনে করছে—সংঘাত এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
৬ দিন আগে