অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কে গণতন্ত্র আজ ভয়াবহ হুমকির মুখে। চলতি মাসের (জুলাই) শুরুতেই বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) অন্তত ১৭ জন মেয়রকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাঁদের সবাই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ৫ জুলাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদানা, আদিয়ামান ও আনতালিয়ার মেয়রদের। এর আগের দিন ইজমিরের সাবেক মেয়র ও সিএইচপির স্থানীয় নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনগুলোতে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বড় জয় পায় সিএইচপি। ১৯৭৭ সালের পর এটাই দলটির সবচেয়ে বড় অর্জন। ৮১টি প্রদেশের মধ্যে তারা ৩৫টিতে জয় লাভ করে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একে পার্টির কাছ থেকে ১০টি প্রদেশ দখল করে নেয়। জরিপ বলছে, যদি এখনই জাতীয় নির্বাচন হয়, তাহলে সিএইচপিই সরকার গঠন করবে।
সিএইচপি পার্টির এই উত্থানের জবাবে এরদোয়ান শুরু করেছেন নজিরবিহীন দমন-পীড়ন। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গত মার্চে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশজুড়ে বিশাল বিক্ষোভ হয়। ২০ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ইমামোগলু তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিচারকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অথচ এরদোয়ান এসব দমনমূলক পদক্ষেপকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান বলে দাবি করছেন।
এরদোয়ানের লক্ষ্য সিএইচপিকে ভেঙে দেওয়া ও দুর্বল করা। কিন্তু সিএইচপির নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ থেমে নেই। ৬ জুলাই দলটির নেতা ওজগুর ওজেল এরদোয়ানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি হুঁশে ফিরে আসুন। না হলে তাহরির স্কয়ারের মতো গণ-আন্দোলনের মুখে পড়বেন।’
পরদিনই অবশ্য ওজগুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, তিনি অপরাধে উসকানি, সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি ও প্রেসিডেন্টকে অপমান করেছেন।
এরদোয়ান হয়তো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন করতে পারছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে—এই শাসনব্যবস্থা আর টেকসই নয়। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে শান্তি আলোচনা আবার শুরু হলেও কুর্দিপন্থী ডেম পার্টিও এরদোয়ানের দমননীতিকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে নিন্দা জানিয়েছে।
২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ সেনা কর্মকর্তাদের এবং ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গুলেনপন্থীদের দমন করার সময় এরদোয়ান বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর সমর্থকদেরও একটি বড় অংশ মনে করে, এসব গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১৩ সালের গেজি পার্ক আন্দোলনের সময় এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র মানেই ব্যালট বাক্স।’ কিন্তু এখন ব্যালটে জনগণের রায় স্পষ্ট হওয়ার পর সেই রায়কে অবজ্ঞা করে তিনি গণতন্ত্রকেই অস্বীকার করছেন।
ইতিহাসও যেন ফিরে আসছে। ১৯৫০-এর দশকে সিএইচপিকে দমন করতে গিয়ে সাংবাদিক ও সংসদ সদস্যদের জেলে পুরেছিলেন আরেক জনপ্রিয় নেতা ও এরদোয়ানের রাজনৈতিক আদর্শ আদনান মেনদেরেস। শেষ পর্যন্ত সেই দমননীতিই সামরিক অভ্যুত্থানের জন্ম দেয় এবং মেনদেরেসের শাসনের পতন ঘটে।
আজকের এরদোয়ানও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে নিজের শাসনের অবসান ডেকে আনছেন। এই দমননীতি শুধু বিরোধীদের নয়, গোটা তুরস্ককেই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নিবন্ধটির লেখক হালিল কারাভেলি সেন্ট্রাল এশিয়া-ককেশাস ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো এবং ‘হুয়াই তুর্কি ইজ অথোরিটেরিয়ান: ফ্রম আতাতুর্ক টু এরদোয়ান’ বইয়ের লেখক।
তুরস্কে গণতন্ত্র আজ ভয়াবহ হুমকির মুখে। চলতি মাসের (জুলাই) শুরুতেই বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) অন্তত ১৭ জন মেয়রকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাঁদের সবাই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ৫ জুলাই পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদানা, আদিয়ামান ও আনতালিয়ার মেয়রদের। এর আগের দিন ইজমিরের সাবেক মেয়র ও সিএইচপির স্থানীয় নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনগুলোতে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বড় জয় পায় সিএইচপি। ১৯৭৭ সালের পর এটাই দলটির সবচেয়ে বড় অর্জন। ৮১টি প্রদেশের মধ্যে তারা ৩৫টিতে জয় লাভ করে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একে পার্টির কাছ থেকে ১০টি প্রদেশ দখল করে নেয়। জরিপ বলছে, যদি এখনই জাতীয় নির্বাচন হয়, তাহলে সিএইচপিই সরকার গঠন করবে।
সিএইচপি পার্টির এই উত্থানের জবাবে এরদোয়ান শুরু করেছেন নজিরবিহীন দমন-পীড়ন। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গত মার্চে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশজুড়ে বিশাল বিক্ষোভ হয়। ২০ মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ইমামোগলু তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া বিচারকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অথচ এরদোয়ান এসব দমনমূলক পদক্ষেপকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান বলে দাবি করছেন।
এরদোয়ানের লক্ষ্য সিএইচপিকে ভেঙে দেওয়া ও দুর্বল করা। কিন্তু সিএইচপির নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ থেমে নেই। ৬ জুলাই দলটির নেতা ওজগুর ওজেল এরদোয়ানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি হুঁশে ফিরে আসুন। না হলে তাহরির স্কয়ারের মতো গণ-আন্দোলনের মুখে পড়বেন।’
পরদিনই অবশ্য ওজগুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, তিনি অপরাধে উসকানি, সরকারি কর্মকর্তাদের হুমকি ও প্রেসিডেন্টকে অপমান করেছেন।
এরদোয়ান হয়তো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন করতে পারছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে—এই শাসনব্যবস্থা আর টেকসই নয়। কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে শান্তি আলোচনা আবার শুরু হলেও কুর্দিপন্থী ডেম পার্টিও এরদোয়ানের দমননীতিকে গণতন্ত্রবিরোধী বলে নিন্দা জানিয়েছে।
২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ সেনা কর্মকর্তাদের এবং ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গুলেনপন্থীদের দমন করার সময় এরদোয়ান বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর সমর্থকদেরও একটি বড় অংশ মনে করে, এসব গ্রেপ্তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১৩ সালের গেজি পার্ক আন্দোলনের সময় এরদোয়ান বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র মানেই ব্যালট বাক্স।’ কিন্তু এখন ব্যালটে জনগণের রায় স্পষ্ট হওয়ার পর সেই রায়কে অবজ্ঞা করে তিনি গণতন্ত্রকেই অস্বীকার করছেন।
ইতিহাসও যেন ফিরে আসছে। ১৯৫০-এর দশকে সিএইচপিকে দমন করতে গিয়ে সাংবাদিক ও সংসদ সদস্যদের জেলে পুরেছিলেন আরেক জনপ্রিয় নেতা ও এরদোয়ানের রাজনৈতিক আদর্শ আদনান মেনদেরেস। শেষ পর্যন্ত সেই দমননীতিই সামরিক অভ্যুত্থানের জন্ম দেয় এবং মেনদেরেসের শাসনের পতন ঘটে।
আজকের এরদোয়ানও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে নিজের শাসনের অবসান ডেকে আনছেন। এই দমননীতি শুধু বিরোধীদের নয়, গোটা তুরস্ককেই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
নিবন্ধটির লেখক হালিল কারাভেলি সেন্ট্রাল এশিয়া-ককেশাস ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো এবং ‘হুয়াই তুর্কি ইজ অথোরিটেরিয়ান: ফ্রম আতাতুর্ক টু এরদোয়ান’ বইয়ের লেখক।
১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
৬ ঘণ্টা আগেট্রাম্প মনে করছেন, তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভাব দিয়ে সরাসরি আলোচনায় ক্রেমলিনকে যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে রাজি করানো সম্ভব। ছয় মাসের স্থবিরতার পর ট্রাম্প-পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক হয়তো ক্রেমলিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারে, কিন্তু পুতিন সম্প্রতি স্পষ্ট করেছেন, তাঁর কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের জনগণ এক এবং যেখানে রুশ
১ দিন আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের ফলে ভারত এক গুরুতর বাণিজ্য সংকটের মুখে পড়েছে। যদি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্কের হার ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে, যা ভারতের রপ্তানি খাতকে প্রায় অচল করে দিতে পারে। ভারত এখন আলোচনার জন্য ট্রাম্পের কাছে ভারত
২ দিন আগেতবে শুধু চীন নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন বড় ভূমিকা রাখছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক সহযোগিতা নয়, বরং দুই দেশের কৌশলগত লক্ষ্য—বিশেষ করে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা এবং দুই দেশেরই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আগ্রহ—এই সবকিছুরই মিলনস্থল।
৩ দিন আগে