অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের রাতের বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই হামলার ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ হবে। তবে ভাষাগত এই প্রতিক্রিয়ার বাইরে ইরানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা মহলে এখন চলছে চরম পর্যায়ের আলোচনা—এখনই পাল্টা আঘাত করা হবে, নাকি কূটনৈতিক সমঝোতার পথে যাওয়া হবে?
এ বিষয়ে বিবিসির একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে ইরানের নীতিনির্ধারকেরা তিনটি সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে ভাবছেন। তবে এর প্রতিটিতেই রয়েছে ঝুঁকি। তাঁদের মূল চিন্তা একটাই—ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা।
এই অবস্থায় অনেকে প্রতিশোধের দাবিতে সরব। ইরান একের পর এক অপমানিত হয়েছে, প্রথমে ইসরায়েলের হাতে, এখন আবার ‘গ্রেট স্যাটান’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে আঘাতের পর ইরানের পাল্টা আঘাতের সংঘাত ১০ দিন ধরে চলছে। তবে সর্বশেষ ঘটনার জের ধরে ইরান যদি এবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত হানে, তবে পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পাবে। ইরান এখনো প্রায় ৩ হাজার ক্ষেপণাস্ত্রের অর্ধেক ধরে রেখেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের টার্গেটের আওতায় রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত প্রায় ২০টি মার্কিন ঘাঁটি।
সবচেয়ে কাছের ও সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সদর দপ্তর। তবে পার্শ্ববর্তী আরব রাষ্ট্রে হামলা ইরান হয়তো এড়িয়ে চলবে। এর বদলে ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলো হতে পারে তাদের হামলার লক্ষ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালে কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান ঠিক এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। যদিও তখন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণহানি এড়ানো হয়েছিল। এবার হয়তো সেই সংযম দেখা যাবে না।
অন্যদিকে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প দূরত্বের নৌযান ও ড্রোন দিয়ে ‘ঝাঁক হামলা’ চালানোর অনুশীলন করছে, যা দিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোকে বিপর্যস্ত করা সম্ভব। ইয়েমেনের হুতি মিত্রদের দিয়েও ভারত মহাসাগর ও লোহিতসাগর এলাকায় পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালাতে পারে ইরান।
সবচেয়ে গুরুতর ও অর্থনৈতিক আঘাত হতে পারে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়ে। এই পথে বিশ্বের ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়। সমুদ্র মাইন পুঁতে এই প্রণালি অচল করে দেওয়া হলে বিশ্বের অর্থনীতি কেঁপে উঠতে পারে। তবে এ ধরনের হামলা করলে ইরান আবার তার উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের শত্রুতে পরিণত হবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপে ইরান চাইলেই এখন উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার অপেক্ষা করতে পারে এবং পরে যখন মার্কিন ঘাঁটিগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা থেকে সরে যাবে, তখন আচমকা হামলা চালাতে পারে।
এই হামলা কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক মিশন বা মার্কিন ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে হতে পারে। তবে এতে নতুন করে মার্কিন প্রতিশোধের ঝুঁকিও থেকে যাবে; বিশেষ করে, যখন সাধারণ ইরানিরা শান্তিতে ফিরছে।
ইরানের জন্য তৃতীয় পদক্ষেপ হতে পারে সবচেয়ে কঠিন। এটি হলো কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো। এতে করে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী আঘাত থেকে রক্ষা পেতে পারে, এমনকি কূটনৈতিক পথে ফিরে আলোচনায়ও অংশ নিতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আলোচনায় তারা কখনোই পিছিয়ে যায়নি, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলই বারবার তা বানচাল করেছে।
তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হতে হলে ইরানকে একটি ‘লাল রেখা’ মেনে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের পরমাণু কর্মসূচির ইউরেনিয়াম দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালে ইরানের ‘ভয়ংকর প্রতিশোধের’ হুমকি ফাঁকা বুলি হিসেবে প্রমাণিত হবে। এটি দেশটির জনগণের চোখে শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করতে পারে।
ইরানের সামনে এখন প্রতিশোধ, কূটনীতি বা ধৈর্যের এক কঠিন সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে প্রতিটি পছন্দই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই পছন্দই নির্ধারণ করবে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ।
যুক্তরাষ্ট্রের রাতের বিমান হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই হামলার ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’ হবে। তবে ভাষাগত এই প্রতিক্রিয়ার বাইরে ইরানের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা মহলে এখন চলছে চরম পর্যায়ের আলোচনা—এখনই পাল্টা আঘাত করা হবে, নাকি কূটনৈতিক সমঝোতার পথে যাওয়া হবে?
এ বিষয়ে বিবিসির একটি বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে ইরানের নীতিনির্ধারকেরা তিনটি সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে ভাবছেন। তবে এর প্রতিটিতেই রয়েছে ঝুঁকি। তাঁদের মূল চিন্তা একটাই—ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা।
এই অবস্থায় অনেকে প্রতিশোধের দাবিতে সরব। ইরান একের পর এক অপমানিত হয়েছে, প্রথমে ইসরায়েলের হাতে, এখন আবার ‘গ্রেট স্যাটান’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে আঘাতের পর ইরানের পাল্টা আঘাতের সংঘাত ১০ দিন ধরে চলছে। তবে সর্বশেষ ঘটনার জের ধরে ইরান যদি এবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত হানে, তবে পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পাবে। ইরান এখনো প্রায় ৩ হাজার ক্ষেপণাস্ত্রের অর্ধেক ধরে রেখেছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের টার্গেটের আওতায় রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত প্রায় ২০টি মার্কিন ঘাঁটি।
সবচেয়ে কাছের ও সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের সদর দপ্তর। তবে পার্শ্ববর্তী আরব রাষ্ট্রে হামলা ইরান হয়তো এড়িয়ে চলবে। এর বদলে ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলো হতে পারে তাদের হামলার লক্ষ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালে কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান ঠিক এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। যদিও তখন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণহানি এড়ানো হয়েছিল। এবার হয়তো সেই সংযম দেখা যাবে না।
অন্যদিকে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে স্বল্প দূরত্বের নৌযান ও ড্রোন দিয়ে ‘ঝাঁক হামলা’ চালানোর অনুশীলন করছে, যা দিয়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোকে বিপর্যস্ত করা সম্ভব। ইয়েমেনের হুতি মিত্রদের দিয়েও ভারত মহাসাগর ও লোহিতসাগর এলাকায় পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালাতে পারে ইরান।
সবচেয়ে গুরুতর ও অর্থনৈতিক আঘাত হতে পারে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়ে। এই পথে বিশ্বের ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়। সমুদ্র মাইন পুঁতে এই প্রণালি অচল করে দেওয়া হলে বিশ্বের অর্থনীতি কেঁপে উঠতে পারে। তবে এ ধরনের হামলা করলে ইরান আবার তার উপসাগরীয় প্রতিবেশীদের শত্রুতে পরিণত হবে।
দ্বিতীয় পদক্ষেপে ইরান চাইলেই এখন উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার অপেক্ষা করতে পারে এবং পরে যখন মার্কিন ঘাঁটিগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা থেকে সরে যাবে, তখন আচমকা হামলা চালাতে পারে।
এই হামলা কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক মিশন বা মার্কিন ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে হতে পারে। তবে এতে নতুন করে মার্কিন প্রতিশোধের ঝুঁকিও থেকে যাবে; বিশেষ করে, যখন সাধারণ ইরানিরা শান্তিতে ফিরছে।
ইরানের জন্য তৃতীয় পদক্ষেপ হতে পারে সবচেয়ে কঠিন। এটি হলো কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানো। এতে করে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী আঘাত থেকে রক্ষা পেতে পারে, এমনকি কূটনৈতিক পথে ফিরে আলোচনায়ও অংশ নিতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আলোচনায় তারা কখনোই পিছিয়ে যায়নি, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলই বারবার তা বানচাল করেছে।
তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হতে হলে ইরানকে একটি ‘লাল রেখা’ মেনে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের পরমাণু কর্মসূচির ইউরেনিয়াম দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে সমৃদ্ধ করতে হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালে ইরানের ‘ভয়ংকর প্রতিশোধের’ হুমকি ফাঁকা বুলি হিসেবে প্রমাণিত হবে। এটি দেশটির জনগণের চোখে শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করতে পারে।
ইরানের সামনে এখন প্রতিশোধ, কূটনীতি বা ধৈর্যের এক কঠিন সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে প্রতিটি পছন্দই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এই পছন্দই নির্ধারণ করবে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ।
বিশ্বজুড়েই ছাত্র ইউনিয়নগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে। ইতিহাস বলে, এই ছাত্ররাই সরকারকে দায়বদ্ধ করে তোলে এবং তরুণদের অধিকার রক্ষা করে। বাংলাদেশে অনেক ছাত্র নেতা পরবর্তীকালে মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ...
১৬ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন ও বাংলাদেশের এক নতুন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতির আশায় হাজারো মানুষ গত সপ্তাহে ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বর্ষাস্নাত দিনটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতা, অধিকারকর্মীদের উপস্থিতিতে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ‘নয়া বাংলাদেশের’ ঘোষণাপত্র উন্মোচন করেছেন।
২ দিন আগেমিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে গত ২৪ জুলাই মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানির ওপর...
২ দিন আগে১৫৮ বছর আগে মাত্র ৭২ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলাস্কা বিক্রি করে দিয়েছিল রাশিয়া। আর ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র খুঁজতে সেখানেই বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। মার্কিন মুল্লুকের এত সব জৌলুস এলাকা বাদ দিয়ে কেন এই হিমশীতল অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে বেছে নেওয়া হলো? এর পেছনে রহস্য কী?
২ দিন আগে