ফিলিস্তিনের গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর যখন ইসরায়েল হামলা চালাল, তখন থেকেই বড় আশঙ্কা ছিল, এটা আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেবে। এই সংঘাত শুধু গাজার মধ্যে থেমে থাকবে না। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর দিক থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাবে। ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীরা হামলা চালাবে। ইরাক থেকে ছায়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ইরান। ইসরায়েল এর জবাব দিতে বাধ্য হবে। এতে করে ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে তারা। একটি বৃহত্তর যুদ্ধের মুখে পড়বে বিশ্ব।
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, এক বছরের মধ্যেই এসব ঘটনাই ঘটে গেল। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল। লেবাননে এখন হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই করছে ইসরায়েলি সেনারা। ফলে সংঘাত একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংঘাত কি বাড়বে নাকি পরিস্থিতি শান্ত হবে।
ইসরায়েলের নেতারা এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। গত এপ্রিলে যখন ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান, এর জবাবে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েল সংযত ছিল, প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুধু একটি ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় আঘাত করেছিল। তবে এবার ইরান গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে যে হামলা চালাল, তা ভয়ংকর। ইসরায়েলে কয়েকটি ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ঘাঁটিগুলোর খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে এক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটার জবাব দেওয়া হবে, নাকি ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটার জবাব দেওয়া হবে—এই প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইরান অবশ্য তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তারা বলছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইরান। জুলাইয়ে তেহরানের মাটিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর পাল্টা হিসেবে বড় হামলার দাবি ছিল ইরানের জনগণের। তবে এ ক্ষেত্রে ইরান সংযত আচরণ করেছে।
আর এই হামলার বিপরীতে কড়া বার্তা উচ্চারণ করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বলেছেন, ইরান বড় ভুল করেছে হামলা চালিয়ে। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেথ বলেছেন, তিনি চান হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানো হোক। তাঁর মতে, ইরানের দুই শক্তি হামাস এবং হিজবুল্লাহ এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ইরানে হামলা চালানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
এই হামলা হলে পরিণতি যে ভয়ংকর হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। হিজবুল্লাহকে এখন আপাতত দুর্বল মনে হতে পারে। তবে এখনো তাদের কী ক্ষমতা আছে, সেটা অজানা। কারণ, ইরান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, তারা শুধু বোমা বানাতে পারে। পরে দেখা গেল, তাদের পারমাণবিক সক্ষমতাও আছে। এখন ইসরায়েল হামলার মাধ্যমে জবাব দিলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, সেটা যে কারোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
ফিলিস্তিনের গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর যখন ইসরায়েল হামলা চালাল, তখন থেকেই বড় আশঙ্কা ছিল, এটা আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেবে। এই সংঘাত শুধু গাজার মধ্যে থেমে থাকবে না। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর দিক থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাবে। ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীরা হামলা চালাবে। ইরাক থেকে ছায়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ইরান। ইসরায়েল এর জবাব দিতে বাধ্য হবে। এতে করে ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে তারা। একটি বৃহত্তর যুদ্ধের মুখে পড়বে বিশ্ব।
সিএনএনের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, এক বছরের মধ্যেই এসব ঘটনাই ঘটে গেল। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল। লেবাননে এখন হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই করছে ইসরায়েলি সেনারা। ফলে সংঘাত একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এই সংঘাত কি বাড়বে নাকি পরিস্থিতি শান্ত হবে।
ইসরায়েলের নেতারা এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন। গত এপ্রিলে যখন ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান, এর জবাবে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েল সংযত ছিল, প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুধু একটি ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় আঘাত করেছিল। তবে এবার ইরান গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে যে হামলা চালাল, তা ভয়ংকর। ইসরায়েলে কয়েকটি ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ঘাঁটিগুলোর খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে এক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইসরায়েলে সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তার উদ্দেশ্য কী ছিল, সেটার জবাব দেওয়া হবে, নাকি ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটার জবাব দেওয়া হবে—এই প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইরান অবশ্য তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তারা বলছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইরান। জুলাইয়ে তেহরানের মাটিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর পাল্টা হিসেবে বড় হামলার দাবি ছিল ইরানের জনগণের। তবে এ ক্ষেত্রে ইরান সংযত আচরণ করেছে।
আর এই হামলার বিপরীতে কড়া বার্তা উচ্চারণ করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বলেছেন, ইরান বড় ভুল করেছে হামলা চালিয়ে। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেথ বলেছেন, তিনি চান হামলার জবাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালানো হোক। তাঁর মতে, ইরানের দুই শক্তি হামাস এবং হিজবুল্লাহ এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ইরানে হামলা চালানোর এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
এই হামলা হলে পরিণতি যে ভয়ংকর হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। হিজবুল্লাহকে এখন আপাতত দুর্বল মনে হতে পারে। তবে এখনো তাদের কী ক্ষমতা আছে, সেটা অজানা। কারণ, ইরান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, তারা শুধু বোমা বানাতে পারে। পরে দেখা গেল, তাদের পারমাণবিক সক্ষমতাও আছে। এখন ইসরায়েল হামলার মাধ্যমে জবাব দিলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, সেটা যে কারোর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল শনিবার নবম দিনে গড়িয়েছে। এই ৯ দিনে দুপক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, যদিও ইরানের ক্ষয়ক্ষতি ইসরায়েলের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে..
১৪ ঘণ্টা আগেইরানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের এই সময়ে ভূকম্পন ইরানের গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের করণীয় কী হওয়া উচিত—তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আগের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরালো করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে ইরানি তেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর...
২০ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্রুত বাড়তে থাকা উত্তেজনাকে চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর বিশ্বব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার একটি মোক্ষম সুযোগ হিসেবে দেখছে বলে মনে করছেন অনেকে। ফোনালাপে পুতিন এবং সি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত
২১ ঘণ্টা আগে